শুক্রবার ● ৮ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটে করোনা ও উপসর্গে আরও ৮ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটে করোনা ও উপসর্গে আরও ৮ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মমেক হাসপাতালে পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্টে ২২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
চলতি অক্টোবর মাসে এ পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত জুলাই, আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ময়মনসিংহ মেডিকেলে করোনা ও উপসর্গে ১ হাজার ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শুক্রবার ৮ অক্টোবর সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের (ফোকাল পার্সন) আবাসিক কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খান মুন এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন-ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার তাহমিনা (২৬)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা।
আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতরা হলেন-ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মোক্তারউদ্দীন (৬০), ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আমেনা (২০), তারাকান্দার আব্দুল হাকিম (৫০), জামালপুরের বকশিগঞ্জের সাজেদা (৪০), নেত্রকোণার কেন্দুয়ার রহিমা আক্তার (৫০), গাজীপুর সদরের আব্দুল হাসেম (৪০) এবং শ্রীপুর উপজেলার প্রদীপ (৭০)।
জেলাওয়ারী করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃতদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ৩ জন, জামালপুর জেলার ১ জন, নেত্রকোণা জেলার ১ জন এবং গাজীপুর জেলার ২ জন রয়েছেন।
ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খান মুন আরও জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪০২ আসনের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছেন ৯২ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৭ জন। ওই সময়ে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।
এদিকে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্টে ২২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ২০৩ জন।