মঙ্গলবার ● ১২ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীদের কৌশল বদল
নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীদের কৌশল বদল
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: গত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন না দেওয়ায় এবার বিদ্রোহী প্রার্থীর স্ত্রীদেরকে মাঠে নামানো হচ্ছে। স্ত্রী ছাড়াও অনেকেই কৌশল বদলে নিজের বদলে নিজের ছেলে, ভাই ও কাছের লোকের সিভি জমা দিচ্ছেন কেন্দ্রে। ঝিনাইদহের হরিশংকরপুর ইউপি নির্বাচনে হটাৎ শামসুন্নাহার নামের এক প্রার্থীর প্রচারণা নজর কেড়েছে ভোটারদের। ফেসবুকেও প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে তাকে। শামসুন্নাহার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের স্ত্রী ও আস্ সুন্নাহ ট্রাস্টের মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ নিজেও রয়েছেন ভোটের মাঠে। কিন্তু ২০১৬ সালের প্রথম দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয় না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০২১ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে না এমন নির্দেশনার পর নিজের পরিবর্তে স্ত্রীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমনটি মনে করছেন ভোটাররা। গণসংযোগে তিনি সদর উপজেলার ১০ নং হরিশংকরপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন। এ নিয়ে কথা উঠলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার ফারুজ্জামান ফরিদ। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে নাম নেই তার। এই বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি নূর জাহান বেগম (সাবেক এমপি) জানান, আমি ৭৫ সালের পর থেকে মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আছি। এই জেলায় প্রত্যেকটা সম্মেলনে আমি গিয়েছি। মহিলা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছি। ২০০৩-০৪ সালে সদর উপজেলার কমিটিগুলো করা হয়। এর পরে আর কোন কমিটি করা হয়নি। শামসুন্নাহার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নয়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিয়া সুলতানা শম্পা ও সাধারণ সম্পাদিকা নাহিদ কাইয়ুম রঞ্জু জানিয়েছেন, এই ইউনিয়নে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৪ সালে। শামসুন্নাহার এই ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নয়। তবে কারা এই কমিটি চালাচ্ছেন তাও তারা বলতে পারেন নি। এই বিষয়ে শামসুন্নাহার জানান, তিনিই ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ফলে এবার নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান।
ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে দুই লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই
ঝিনাইদহ :: ব্যাংক থেকে টাকা তুলে রাস্তা পার হওয়ার সময় পারভিন খাতুন নামের এক নারীর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারী বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন। সাথে থাকা ১১ বছরের ছেলে মাকে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছিল। ঘটনাটি গটেছে গতকাল সোমবার সকাল ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক শাখা’র সামনে। পারভিনা খাতুন হরিনাকুন্ডু উপজেলার রথখোলা গ্রামের বাবলুর রশিদের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, পারভিনা খাতুন বোরকা পরিহিত অবস্থায় ব্যাংকের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিল। এমন সময় কয়েক জন দুর্বৃত্ত এসে তাকে ঘিরে ফেলে এবং মহিলার সাথে ধস্তাধস্তি করে। লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছানের আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ওই মহিলা তখন বলতে থাকেন তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে। মহিলাটি কাঁদতে কাঁদতে আবার ব্যাংকে প্রবেশ করেন এবং বার বার মুর্ছা যান। মহিলার ছেলে শিশু জিহাদ জানান, সকালে আমি মায়ের সাথে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকে টাকা উঠাতে আসি। পরে ব্যাংক থেকে দুই লক্ষ তিন হাজার ৪শ’ ৬০ টাকা তুলে ব্যাংক থেকে নিচে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় মুখে মাস্ক পড়া ৪/৫ জন লোক আমাদের ঘিরে দরে এবং ব্যাগের মধ্যে থেকে কিছু টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আমরা গুনে দেখি এক লাখ টাকার একটি বান্ডিল নেই। পারভিনার ভাসুর হুমায়ুন কবীর জানান, জানান, আমি খবর পেয়ে ব্যাংকে এসে দেখি পারভিনা বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার জাকির হোসেন জানান, ওই মহিলা ১১টার দিকে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি আবার ব্যাংকের ফিরে এসে আমাদের জানান তার টাকা ছিনতাই হয়েছে। একথা বলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকে ব্যাংকের একটি রুমে রেখে আমরা পুলিশকে বিষয় সম্পর্কে পুলিশকে অবগত করায়।
অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব হারালেন গরু ব্যবসায়ী
ঝিনাইদহ :: যশোরের চৌগাছায় অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব হারালেন ঝিনাইদহের শেখ হালিম রহমান (৫০) নামে এক গরু ব্যবসায়ী। রোববার বিকেলে চৌগাছা-মহেশপুর রুটে যাত্রীবাহী একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাথানগাছি-বেলেমাঠ গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, মহেশপুর থেকে চৌগাছার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস চৌগাছায় পৌঁছানোর পর সব যাত্রী নেমে গেলেও একজন যাত্রী না নামায় বাসের শ্রমিক তার কাছে গিয়ে দেখেন তিনি অজ্ঞান অবস্থায় আছেন। তারা দ্রুত চৌগাছা থেকে যশোর ট্রিপে যাবেন বলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি ভ্যানে করে উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-মামুন বলেন, বিকেলে এক ভ্যানচালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করান। তখন তিনি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। পরে তার কাছে থাকা মুঠোফোনে কল দিলে জলিয়ারা বেগম নামে এক নারী তার দুলাভাই বলে তাকে শনাক্ত করেন। মুঠোফোনে জলিয়ারা বেগম বলেন, তার দুলাভাই গরু কেনাবেচার ব্যবসা করেন। রোববার চৌগাছা-মহেশপুর রুটে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহীবাসে করে চৌগাছার গরুর হাটে গিয়েছিলেন। তিনি জানানতার কাছে গরু কেনার টাকা ছিল। পরিমাণ না বলতে পারলেও তিনি জানান, গরুর দাম হিসেবে লক্ষাধিক টাকাতার কাছে ছিল। পরে সন্ধ্যায় তার পরিবারের লোকজন হাসপাতলে আসেন।