মঙ্গলবার ● ১৯ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » ২১ অক্টোবর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস পালন করবে বাম জোট
২১ অক্টোবর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস পালন করবে বাম জোট
আজ ১৯ অক্টোবর ২০২১ বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, চৌমুহনীতে বিভিন্ন পূজামন্ডপ, মন্দির, বাড়ীঘর-দোকানপাট পরিদর্শন এর অভিজ্ঞতা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে এবং আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ গত ১৭ অক্টোবর ২০২১ বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসব এলাকা পরিদর্শনে যান। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলো মোশাররফ হোসেন নান্নু, মানস নন্দী, আকবর খান ও বাচ্চু ভূইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ। সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা কমরেড মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) নেতা বিধান রায়, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, ইউসিএলবি নেতা অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার।
সংবাদ সম্মেলন থেকে সারা দেশে অব্যাহত সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করে অবিলম্বে বিভিন্ন ধর্মের লোকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের ইঙ্গিত ছাড়া কয়েক দিন ধরে দেশব্যাপী অব্যাহতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা চলতে পারে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও সরকারের হুকুম ছাড়া নিরব ভূমিকা পালন করতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধে নিন্মোক্ত ৭ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
১. কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, চৌমুহনী, রামগঞ্জ, রামগতি, চট্টগ্রাম, বাঁশখালী, কক্সবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, খুলনা, ফেনী, নাটোর, রংপুরসহ সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলাকারী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
২. সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির কমিটিকে ও বাড়ীঘর, দোকানপাটের মালিকদের এবং নিহত আহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩. মন্দির, মন্ডপে হামলার দায় সরকারের। ব্যর্থতার দায়ে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপসারণ করতে হবে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলা-উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলা-ব্যর্থতার অপরাধে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. সংবিধানের ৩২ ধারা পুনস্থাপন করে ধর্মীয় রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫. সংবিধান, রাষ্ট্রীয় আইন-বিধিবিধান, পাঠ্যপুস্তক থেকে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য, লেখাসহ সকল উপাদান বাদ দিতে হবে।
৬. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৭. ধর্মীয় বক্তব্যের নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানী দেয়া শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউবে সাম্প্রদায়িক বয়ান নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ করতে হবে।