বুধবার ● ২০ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » গাজিপুর » শেরপুরে জাকের পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পন্ন
শেরপুরে জাকের পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পন্ন
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), স্টাফ রিপোর্টার :: প্রগতিশীল, আলোকিত, সুখী, সমৃদ্ধ, কল্যাণমুখী বাংলাদেশ, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্ব এবং বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও জাকের পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
২০ অক্টোবর বুধবার জাকের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ব ওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) কেবলাজান ছাহেবের পবিত্র রওজা শরীফ যিয়ারত করা হয়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও জাকের পার্টির ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেরপুর জেলার পাকুড়িয়ায় বিশ্ব আবির্ভাব মঞ্জিলে মঙ্গলবার মাগরিব ওয়াক্ত থেকে তাৎপর্যময় অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
৩ দিনের প্রবল বর্ষণ উপেক্ষা করে জাকের পার্টি ও সহযোগী সংগঠন সমূহের নেতা,কর্মী, সমর্থক,শুভানুধ্যায়ী এবং ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হন অনুষ্ঠানে। তাদের প্রাণময় উপস্থিতি এবং সত্য ও ন্যায়ের আদর্শ সমুন্নত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নতুন মাত্রা তৈরী করে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশ্ব ওলীর (কুঃ ছেঃ আঃ) আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকার ও জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী অত্যন্ত গুরুগম্ভীর বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিঁনি প্রকৃত ইসলামের উদারনৈতিক মানবিক রূপ, বহুসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, পরমত সহিষ্ণুতা এবং ঐক্য ও প্রগতির সন্মিলনে আলোকিত জীবন সংস্কৃতি রচনার অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান সম্ভাব্য দুর্যোগ, বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। সকলকে সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ় একতাবদ্ধ থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান। তিঁনি টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সকলের সফলতা ও কল্যাণ কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) কেবলাজান ছাহেব ১৯৮৯ সালের ১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সাঃ) দিনে জাকের পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দেশে বিদেশে জাকের পার্টির নেতা, কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীগণ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা ও আবেগঘন আবহে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও জাকের পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী একসাথে উদযাপন করছেন।
ওয়াক্তিয়া নামাজের সাথে রাতভর নফল ইবাদত বন্দেগী, তেলাওয়াতে কালামে পাক, মোরাকাবা মোশাহেদা, জেকের আসকার, দফায় দফায় মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত এবং পবিত্র রজনীর তাৎপর্য আলোকপাত করে ওয়াজ নসিহত অনুষ্ঠানমালায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রকৃত ইসলামের মানবিক আদর্শে জীবন গড়ার উজ্জীবনী চেতনা নিয়েই বাড়ী ফিরেছেন সকলে।