সোমবার ● ১৪ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগাতে হবে - রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ
সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগাতে হবে - রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ
কামরুল ইসলাম বাবু : রাউজান(চট্টগ্রাম) :: (১৪ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪০মিঃ) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ বলেছেন- বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ ৷ এদেশের রয়েছে বিপুল মানব সম্পদ, উর্বর কৃষিভূমি এবং সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ ৷ জনবহুল এ দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত উপায়ে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার ৷ প্রকৌশলীগণ উন্নয়নের কারিগর ৷ তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা ৷ তাই প্রকৌশলীদের চিন্তা ও চেতনায় থাকবে দূরদৃষ্টির সুস্পষ্ট প্রতিফলন ৷
১৪ মাচ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমার্বতনে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচায্য মোঃ আবদুল হামিদ ৷
সভাপতির বক্তব্য তিনি আচায্য বলেন- নানা চড়াই-উত্রাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছেন ৷ এ রূপকল্প বাসত্মবায়নে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে ৷ আজকের শিক্ষিত তরুণরাই এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস৷
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জাতি গঠনের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান; যেখানে মেধা বিকাশের সব পথ উন্মুক্ত থাকে৷ কেবল পুঁথিগত বিদ্যা নয়, বরং দেশ বিদেশের সর্বশেষ তথ্য সমৃদ্ধ শিক্ষা, গবেষণা এবং সৃজনশীল কর্মকান্ডে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে তার দ্বার উন্মোচন করবে বিশ্ববিদ্যালয়৷ প্রকৌশল শিক্ষা যদিও হাতে কলমে শিক্ষা, তা সত্ত্বেও এতে সৃজনশীলতার প্রচুর সুযোগ রয়েছে ৷
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট প্রকৌশল শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ৷
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ৷ ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন চুয়েটের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম৷ মঞ্চে আরো উপবিষ্ট ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: হযরত আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মাহববুবুল আলম, তড়িত্ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মোসত্মফা কামাল এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারম্নক-উজ-জামান চৌধুরী ৷
২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এ সমাবর্তনে অংশগ্রহন করে ৷ এছাড়াও দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথি, সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রীয় ৩০০০ হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন ৷
এবারের সমাবর্তনে মোট ১৬০৩ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয় ৷ এর মধ্যে স্নাতক রয়েছেন ১৫৬৪ জন, মাস্টার্স ৩২ জন, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ০৪ জন এবং পিএইচডি ০৩ জন৷ কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য উক্ত সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক চারজনকে গোল্ড মেডেল প্রধান করা হয় ৷ সমাবর্তন শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং সমাবর্তনের মুল অনুষ্ঠান শেষে প্রাক্তন গ্রাাজুয়েটদের নিয়ে একটি পুর্নমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ৷