বৃহস্পতিবার ● ২১ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » পাবনা » এসবি রেলওয়ে কলোনী স্কুল এন্ড কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাত
এসবি রেলওয়ে কলোনী স্কুল এন্ড কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাত
সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: আজাহার আলী। রেলওয়েতে স্টেশন মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সারাজীবন টিকিট ব্লাকে বিক্রি করে অবৈধ উপার্জন করেছেন। চাকুরী শেষে তদবির করে সিরাজগঞ্জ এসবি রেলওয়ে কলোনী স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্বপান। কথায় আছে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। আজহার আলীর অবস্থা ঠিক তেমনি। টিকিট ব্ল্যাকে বিক্রি করার মতো অধ্যক্ষকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে স্কুল ফান্ডের টাকা আত্মসাত ও অধ্যক্ষের কাছে চা-সিগারেট ও বাসার বাজার করার জন্যই ভিক্ষুকের মতো টাকা নিতে শুরু করেন। স্কুলের বেঞ্চের জন্য দেয়া অনুদানের ২৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। কিন্তু সভাপতির মেয়াদ শেষ হবার একমাস আগে অধ্যক্ষের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। টাকা না দেয়ায় গভর্নিং বডির পরপর তিনটি সভা বর্জন করে চলে যান। আর হাতিয়ার হিসেবে গভর্নিং বডির সদস্য ধান্ধাবাজ রজব আলী ও আরিফ নামে স্কুলের এক ধুরন্ধর শিক্ষককে ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে, সভাপতির নিকৃষ্টতম আচরন ও অর্থনৈতিক লোভ-লালসার কারনে গভর্নিং বডির দুই সদস্য পদত্যাগ করেন। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষিকাদের জড়িয়ে কুরুচিপুর্ন মন্তব্য করায় তিনজন শিক্ষিকা জেলা প্রশাসক বরাবর সভাপতির পদত্যাগ চেয়ে আবেদন করেছেন। কমিটির ৯ সদস্যের মধ্যে সভাপতিসহ মাত্র ৪জনকে নিয়ে রাতের আধারে ভুয়া মিটিং এবং নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য অবৈধভাবে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করায় তদন্তপুর্বক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক. জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অধ্যক্ষ আবেদন করেছেন। এছাড়াও ধুরন্ধর সভাপতি আজাহার আলী মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীকে দিয়ে ইউএনও বরাবর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করান। পরবর্তীতে এলাকাবাসী তাদের ভুল এবং আজাহার আলীর ধান্ধার বিষয়টি বুঝতে পেরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে সভাপতি আজাহার আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুনরায় ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন।
গভর্নিং বডির সদস্যপদ হতে পদত্যাগ করা বিদ্যুতসাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মহর আলী পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালে ৫ ডিসেম্বর হতে তিনি গভর্নিং বডির বিদ্যুতসাহী সদস্য মনোনীত হন। সে মোতাবেক তিনি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু সভাপতি আজাহার আলী অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধার জন্য প্রায়ই অধ্যক্ষের সাথে অশালীন আচরন করেন। এতামবস্থায় ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কমিটির সভায় অধ্যক্ষের সাথে হৈ-হট্টোগোলে লিপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে চলে যান। সদস্যদের সাথে কোন পরামর্শ এবং মিটিং ছাড়াই মনগড়াভাবে সম্পুর্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ মহোদয়কে কারন দর্শানের নোটিশ প্রদান করেন। যার কারনে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সকলের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সে কারনে ব্যথিত ও ক্ষুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে গভর্নিং বডি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
গভর্নিং বডি থেকে পদত্যাগ করা আরেক সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য মোছা. মাসুদা সুলতানা পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন সভাপতি আজাহার আলী টাকা-পয়সার জন্য প্রায়ই অধ্যক্ষকে মহোদয়ের সাথে অশালীন আচরন করেন। দিনে দিনে অর্থনৈতিক লোভ বেড়ে যাওয়ায় অধ্যক্ষ মহোদয় কমিটির মিটিংয়ে অর্থ প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে সভাপতি ও দুই সহযোগী সদস্য প্রায়ই অধ্যক্ষের সাথে খারাপ আচরন করেন-যা সকল শিক্ষক-কর্মচারী অবগত রয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় সভাপতির মতো অর্থলোভীর সাথে কমিটিতে কাজ করা সম্ভব নয় বিধায় স্বজ্ঞানে পদত্যাগ করেন।
শিক্ষিকাদের নিয়ে কুরুচিপুর্ন, মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করায় প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা মাসুদা সুলতানা, সহকারী শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন ও সহকারী শিক্ষিকা মোছা সেলিনা আকতার সভাপতি আজাহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালে ৭ নভেম্বর অনুমোদিত গভর্নিং বডির সভাপতি হবার পরই আজাহার আলীসহ কতিপয় সদস্য অনৈতিক অর্থ লাভের জন্য প্রাইয় অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে অশালীন আচরন করে আসছেন। তাদের এ আচরনে শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকগনের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর-২১ গভর্নিং বডির সভায় উপস্থিত হয়ে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা না করে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে অশালীন আচরন করায় অধ্যক্ষ প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে অধ্যক্ষকে চাকুরীচ্যুতসহ ব্যক্তিগত ক্ষতি সাধনের হুমকি-ধামকি দিয়ে কতিপয় সদস্য নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে সভাপতি শিক্ষিকামন্ডলীদের জড়িয়ে কুরুচিপুর্ন বাক্য ব্যবহার করে সম্মানিত অধ্যক্ষ মহোদয়কে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। কারণ দর্শানো নোটিশে কুরুচিপুর্ন, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য আমাদেরকে ব্যথিত ও সম্মানহানি করেছে-যা শিক্ষিকা হিসেবে মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের অসৎ, নোংরা মানসিকতা সস্পন্ন ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। এ ধরনের ব্যক্তিকে গভর্ণিং বডির পদ থেকে অপসারন করা জরুরী। বিষয়টি তদন্তপুর্বক অসৎ, অর্থলোভী, কুরুচিপুর্ন সম্পন্ন ব্যক্তি আজাহার আলীকে এসবি রেলওয়ে কলোনী স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিয় বডির সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন জানানো হয়।
অধ্যক্ষকে দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশের অভিযোগগুলো মিথ্যা-বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমুলক উল্লেখ করে অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম জবাবে লিখেছেন, করোনাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সভাপতির কাছে স্টেশন ত্যাগের অনুমতি নিয়ে নিয়ে পারিবারিক ভ্রমনে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। প্রতিবছরেই স্বচছতার সাথে হিসাব-নিকাশ কমিটির সভায় উপস্থাপনসহ অনুমোদন হয়েছে। অতীতে কোন অনিয়মের অভিযোগ নেই। গত ১৮ সেপ্টেম্বর-২১ তারিখ সভায় হিসাব দাখিল সংক্রান্ত আলোচ্য বিষয় ছিল এবং ১ জানুয়ারী-২০ থেকে ৩০ জুন-২১ পর্যন্ত দেড় বছরের খাতওয়ারী হিসাবসহ যাবতীয় বিল ভাউচার সভায় উপস্থাপন করা হয় কিন্তু অজ্ঞাত কারনে আলোচ্য বিষয় নিয়ে সভা না করেই সভাপতি হৈহট্টোগোল করে চলে যান। প্রতিষ্ঠানের মুল্যায়নকৃত পুরাতন উত্তরপত্র সমুহ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিক্রয় কমিটির মাধ্যমে বিক্রয় করে টাকা ক্যাশ বইয়ে জমা দেয়া হয়। শিক্ষিকাদের নিয়ে কুরুচিপুর্ন অভিযোগ তুলে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন সভাপতি। বিষয়টি শিক্ষিকাদের জন্য মানহানিকর হওয়ায় শিক্ষিকাগন সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। উক্ত কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেয়ার পর কোন ধরনের মিটিং ছাড়াই এবং কোন তদন্ত কমিটি গঠনপুর্বক তদন্ত না করেই সভাপতি অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। যা সম্পুর্ন অবৈধ ও সম্পুর্ন বিধি বর্হিভুত।
কথায় আছে চোর চুরি করলেও কিছু না কিছু প্রমান রেখে যায়। ধুরন্ধর আজাহারেও ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামকে বরখাস্তের জন্য প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে মিটিং দেখানো হলেও অফিসে কোন মিটিং হয়নি। কারন অফিসের নোটিশ খাতা ও রেজুলশেন বই অফিসে সংরক্ষিত আছে এবং যে সময়টিতে মিটিং দেখানো হয়েছে সে সময় অফিস কক্ষ বন্ধ ছিল। নিয়ম অনুযায়ী মিটিং সদস্য সচিব আহবান করবে কিন্তু মিটিং আহবান করার তো দুরের কথা সদস্য সচিব মিটিং সম্পর্কে অবগত নয়। এছাড়াও নয় সদস্যের কমিটির মধ্যে দুজন অনুপস্থিত, দুজন পদত্যাগ করেছেন এবং সদস্য সচিব মিটিং সম্পর্কে অবগত নয়। এ কারনে মাত্র চারজনকে নিয়ে মিটিং ডাকা বা মিটিং করার বৈধতাই নেই-যেখানে গভর্নিং বডির প্রবিধান মালার ৩৩ (৩) বিধি অনুসারে সদস্য সচিব মিটিং আহবান করবেন মর্মে উল্লেখ আছে। এছাড়াও একটি মিটিংয়ে সকল সদস্যদের নাম অন্তভর্’ক্ত থাকবে এবং যারা উপস্থিত থাকবেন তারা সই করবেন। কিন্তু কথিত ভুয়া মিটিংয়ে দাতা সদস্য জুয়েল মিয়া এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পলাশ হোসেন, সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, বিদ্যুাতসাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মোহর কারো নাম নাই। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাসুদা সুলতানা ০৮-৯-২০২১ তারিখে পদত্যাগ করলেও ১৭-০৯-২০২১ তারিখে মিটিংয়ে তার নাম লেখা হয়েছে। ভুয়া মিটিংটি ১৭-৯-২০২১ সাল রাত সাড়ে ৬টায় অফিসকক্ষে দেখানো হলেও সে সময় অধ্যক্ষের অফিস কক্ষসহ সব কক্ষই তালাবদ্ধ ছিল। আবার মিটিংতে ১৮-৯-২০২১ তারিখের অধ্যক্ষ মহোদয়ের আচরন অশালীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ১৭-৯-২০২১ তারিখে মিটিংয়ে কিভাবে একদিন পরের অর্থাৎ ১৮-৯-২০২১ তারিখের কথা উল্লেখ করা হলো। একমাত্র মানসিক বিকৃতরাই এমন আবোল-তবোল কথা বলতে পারে। সভাপতির স্বাক্ষরিত কারন দর্শানো নোটিশে ২৮-২-২০২১ থেকে ৬-৩-২০২১ পর্যন্ত কক্সবাজারে ভ্রমনের কথা হলেও কথিত ১৭-৯-২০২১ তারিখের মিটিংয়ে ২৪-৪-২১ ইং তারিখে কক্সবাজার ভ্রমনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতেই প্রমান হয় মিটিংটি মনগড়া এবং বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমুলক। এরপর ৯-১০-২১ তারিখে আরো একটি ভুয়া মিটিং দেখানো হয়েছে। সেখানেও সদস্য সচিবসহ দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের নাম নেই। ওই মিটিংয়ে অধ্যক্ষের কারন দর্শানো নোটিশ সন্তোষজনক নয় মর্মে তাকে অবৈধভাবে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর কমিটি সন্তোষ্ট না হলে উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগের বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমানসহ তদন্তে অভিযুক্ত হলে তারপর পুনরায় আত্মপক্ষ সমর্থনের নোটিশ প্রদানপুর্বক জবাব প্রাপ্তি সাপেক্ষে মিটিংয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে তারা কোন নিয়মনীতি অনুসরন করেনি। যে কারণে মিটিংটি যেমন অবৈধ তেমটি সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তও অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভুত। মুলত ব্যক্তি আক্রোশ, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি হাসিল ও ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই সভাপতি আজাহার আলী এমন কান্ড করেছেন।
আজাহার আলী স্বাক্ষরিত অবৈধ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বাতিলকরন ও সভাপতির অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য অধ্যক্ষ মো. আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সভাপতি আজাহার আলী সভাপতির দায়িত্বগ্রহনের পর থেকেই অনৈতিক অর্থলাভের জন্য অধ্যক্ষ মহোদয়কে চাপ সৃষ্টি করে থাকেন এবং তার এ অনৈতিককাজে সহযোগিতা না করায় গত ৩-৪-২০২১, ১৭-৪-২০২১ এবং ১৮-৯-২০২১ তারিখ সমুহের যথাসময়ে গভর্নিং বডির নোটিশ প্রাপ্ত হয়েও এবং মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে অশালীন আচরন এবং চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দিয়ে মিটিং না করেই চলে যান। ১৮-৯-২০২১ তারিখে ১১টি আলোচ্য বিষয় থাকলেও অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের এজেন্ডা ছিল না। অথচ উক্ত ১৮-৯-২০২১ তারিখে সভাপতি স্বাক্ষরিত ষড়যন্ত্রমুলকভাবে মিথ্যা বানোয়াট মনগড়াভাবে অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ মহোদয়কে নোটিশ প্রদান করেন। এছাড়াও আজাহার আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দুর্নীতির কারনে সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মো. আশরাফুল ইসলামকে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা প্রসঙ্গে আবেদন করেছে। প্রশ্ন ওঠেছে কোন তদন্ত হলো না? তদন্ত ছাড়াই একজন সম্মানিত অধ্যক্ষকে কিভাবে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করা হলো.? এটা সভ্য সমাজ কোনমতেই মেনে নিতে পারছে না। আরেক চিঠিতে তিনি সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য জন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন। বাস্তবে অত্র প্রতিষ্ঠানের রফিকুল ইসলাম নামে কোন সহকারী শিক্ষক নেই।
সার্বিক বিষয়ে এসবি রেলওয়ে কলোনী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম জানান, সভাপতি যে সমস্ত অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এছাড়াও যেখানে দুজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন এবং দুজন অনুপস্থিত আর সদস্য সচিবের অজ্ঞাতে ও প্রতিষ্ঠানের বাইরে কথিত মিটিং সম্পুর্ন বেআইনী, অবৈধ ও বিধি বহিভর্’ত। মুলত প্রশ্নবিদ্ধ এ সভাপতির মিটিং করার কোন এখতিয়ার নেই। তিনি বেআইনী ও বিধিবর্হিভুত সাময়িক বরখাস্তকরন আদেশ বাতিলপুর্বক বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ সভাপতি আজাহার আলীর বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আহবান জানান।
এ বিষয়ে গভর্ণিং বডির সভাপতি আজাহার আলীকে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সঠিক জবাব দিতে পারেনি। এখন ব্যস্ত রয়েছি। কিছু মনে করতে পারছি না। পরবর্তীতে সামনা-সামনি দেখা হলে কথা বলব বলে ফোন রেখে দেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ জানান, সকল অভিযোগ তদন্তপুর্বক সুষ্ঠ সমাধান করা হবে।