বৃহস্পতিবার ● ২১ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » ঈশ্বরগঞ্জের যুদ্ধাপরাধ মামলার ৩ আসামি গ্রেফতারের পর কারাগারে
ঈশ্বরগঞ্জের যুদ্ধাপরাধ মামলার ৩ আসামি গ্রেফতারের পর কারাগারে
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্র্রাইব্যুনালে’র মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের ইটাউলিয়া গ্রামের সমশের আলীর ছেলে তারা মিয়া (৭০), কালিয়ান গ্রামের মেফর আলীর ছেলে মোঃ রুস্তম আলী (৮১) ও সোহাগী বাজার এলাকার মৃত হোসাইন আহম্মেদের ছেলে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান (৭২)কে পুলিশ যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার করে পৃথক আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহের পৃথক বিজ্ঞ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চীফ জুডিশিয়াল আদালতের কোর্ট পরিদর্শক প্রসুন কান্তি দাস।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আসামি সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানকে চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুল হাইয়ের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একইদিন সন্ধ্যার দিকে আসামি তারা মিয়া ও মো. রুস্তম আলীকে চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মাহবুবা আক্তারের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শাহ কামাল আকন্দ এ ব্যাপারে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্র্রাইব্যুনালে’র মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে অভিযান চালিয়ে আসামি সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানকে নগরীর এবিগুহ রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন,‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্র্রাইব্যুনালে’র মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে অভিযান চালিয়ে তারা মিয়া ও মো. রুস্তম আলীকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গ্রেফতারকৃতরা মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। তারা ছাড়াও মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তারা মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা ভোগ করছিলেন।