শুক্রবার ● ২২ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » দুই হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাইফুল অবশেষে পুলিশের খাঁচায়
দুই হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাইফুল অবশেষে পুলিশের খাঁচায়
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথের আলোচিত স্কুলছাত্র সুমেল ও কৃষক ছরকুম আলম দয়াল হত্যা মামলার প্রধান আসামী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলমকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার রমনা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার পরে সেগুন বাগিচার কাঁচা বাজার এলাকার নাভানা টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান। সাইফুল উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, প্রকৃত মৎস্যজীবিদের বঞ্চিত করে বিশ্বনাথের সবচেয়ে বড় জলমহাল চাউলধনী হাওর ইজারা নিয়ে আলোচনায় আসেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম। এরপর হাওরকে কেন্দ্র করে জন্ম দিতে থাকেন একের পর এক ঘটনার।
বিগত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে চাউলধনী হাওরে পানি সেচকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছরকুম আলী দয়াল (৭০) নামে এক কৃষক মারা যান। তার পরিবার অভিযোগ তুলে, হাওরের ইজারাদার সাইফুলের নেতৃত্বে তার লোকজনের মারধরে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় সাইফুলকে প্রধান আসামী করে মামলাও দায়ের করেন ওই কৃষকের পরিবার।
এ রকম নানা আলোচিত ঘটনায় হাওরপারে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেন সাইফুল।
সুবিধাভোগিদের ছত্রছায়ায় নিজগ্রাম ইসলামপুর ও চৈতননগরে বিস্তার করেন একক আধিপত্য। গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী। তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘটে একের পর এক সংঘর্ষ, দখল, সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর।
সর্বশেষ, গত ১ মে বিকেলে চৈতননগর গ্রামের সড়কে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের নজির পক্ষ ও ইসলামপুর গ্রামের সাইফুল পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্কুলছাত্র সুমেল নিহত হন।
তিনি একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় শাহজালাল (রহঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ঘাতক সাইফুল আলমকে প্রধান আসামী করে ৩ মে রাতে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ৪।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী ইতোমধ্যে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেছেন। গ্রেপ্তার সাইফুল আলমকে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসা হবে।’