রবিবার ● ২৪ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » দীঘিনালায় প্রতিপক্ষের গুলিতে দীপন নিহত : ইউপিডিএফ বলছে দীপনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার
দীঘিনালায় প্রতিপক্ষের গুলিতে দীপন নিহত : ইউপিডিএফ বলছে দীপনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালার বাঘাইছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে দীপনজ্যোতি চাকমা (৪০) নামে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মুল) গ্রুপের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
আজ রবিবার ২৪ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে দীঘিনালা ইউনিয়নের বাঘাইছড়িমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সে উপজেলার কবাখালি ইউনিয়নের হাচিনসনপুর এলাকার দীপঙ্কর চাকমার ছেলে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান প্রজ্ঞান জ্যোতি চাকমা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিপক্ষ চলে যাওয়ার পর নিহত দীপনজ্যোতির লাশ নিজ দলের লোকেরা নিয়ে গেছে।
ইউপিডিএফ-মুল সাজেক থানার সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা জানান, নিহত দীপন জ্যোতি ইউপিডিএফের বিচার বিভাগীয় শাখার প্রধান। তিনি ঘটনার আগে ওই এলাকায় একটি বিচার কাজে গিয়েছিলেন। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলকে দায়ী করেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান প্রজ্ঞানজ্যোতি চাকমা নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনের বিরোধের জের ধরে দীপনজ্যোতি প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
ঘটনাটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
দীঘিনালায় ইউপিডিএফ সংগঠক দীপন জ্যোতির উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা
ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে আজ রবিবার ২৪ অক্টোবর ২০২১ দুপুরে জেলার দীঘিনালায় ইউপিডিএফ সংগঠক দীপন জ্যোতি চাকমা (৪৫)-এর উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আজ দুপুর ২টার সময় ইউপিডিএফ সংগঠক দীপন জ্যোতি চাকমা সারাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলার বাঘাইছড়ি গ্রামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মিটিং করছিলেন। এমন সময় দীঘিনালা সদরের গাড়ি স্টেশন থেকে সিএনজিযোগে রাজিব চাকমার নেতৃত্বে শাসকগোষ্ঠীর মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী উক্ত স্থানে গিয়ে অতর্কিতভাবে দীপন জ্যোতি চাকমার উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে দীপন জ্যোতি চাকমা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে আবারো ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু হয়েছে ভেবে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তবে সন্ত্রাসীদের গুলি ও ইটের আঘাতের পরও তিনি কোন রকমে প্রাণে বেঁচে যান।
পরে স্থানীয়রা দীপন জ্যোতি চাকমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
বিবৃতিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত উস্কে দিতে শাসকগোষ্ঠী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকে ইউপিডিএফ সংগঠক দীপন জ্যোতির উপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
অংগ্য মারমা অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসী দলটি যখন দীপন জ্যোতির উপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছিল তখন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর একদল সদস্য সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তায় রাস্তায় টহল জোরদার করে। এতেই স্পষ্ট হয় যে, তারাই সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত উস্কে দেয়ার ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসীদের মদদদান বন্ধ করার দাবি জানান। একই সাথে তিনি শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দিয়ে জনগণের কাতারে এসে জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।