সোমবার ● ২৫ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » অন্ধ বৃদ্ধ জলিল ভাগ্যে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর মিলেনি
অন্ধ বৃদ্ধ জলিল ভাগ্যে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর মিলেনি
রাজস্থলী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি :: রাঙামাটি জেলা রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত শফিপুর মুন্সি পাড়া গ্রামের অধীবাসী অসহায় এক পরিবার মো. আব্দুল জলিল (৭৫) দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্ট জীবন মধ্যে দিয়ে কোন রকম একটি কুঁড়ে ঘরে বসবাস দিন পাড় করছে, তার সম্পত্তি বলতে কিছু নেই একটি মাত্র বেড়াকুঁড়ে ঘর, সেই বেড়া কুঁড়েঘরেই একা দীর্ঘদিন ধরে বসত করছেন এই বৃদ্ধ মো. আবদুল জলিল।
আবদুল জলিল বলেন,১২ বছর আগে নিয়মিত চোখের চিকিৎসা অভাবে চোখ হারান, এখন প্রায় ১৩ বছর ধরে দুচোখ অন্ধ জীবন নিয়ে কস্টের মধ্যে বেঁচে আছি। এই বৃদ্ধ পুরুষ পাশে আছেন তার মেঝ মেয়ে দেখাশোনা করছে,কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে বাবা খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বর বা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেন কবে কখন আল্লাহ আমাকে সুন্দর একটি থাকার ব্যবস্থা ঘর করে দিবেন,কখন মো. আবদুল জলিল সুখে থাকা পরিবর্তনমুখ দেখব, সে অসহায়ত্বের দুঃখের দূরদর্শা পরিত্রাণ পেতে পারি।
দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কি সেই অসহায় বৃদ্ধ অ ন্ধ পুরুষ করুন দুঃখের কান্না কি শুনতে পাবেন ? বিভিন্ন কথা অকপটে বলে ফেললেন মো. আবদুল জলিল মেয়ে জেসমিন গণমাধ্যমকে আরো বলেন আমি যখন যা পাই তাই করি দিন মজুরী দিনে আনে দিনে খায়, আমরা আমাদের সংসার চালাই, এতে বাবাকে ভরণ পোষণ করতে হয়।
মহামারী করোনা চলাকালীন সরকারী কোন ত্রাণ সুযোগ-সুবিধা আমরা পা্য়নি। বাবার নামে ঘর আসলে ও সেই ঘরে পাচ্ছে পয়সাওয়ালা ও নেতাদের লোক নিকট আত্মীয়স্বজনরা। আমরা তো ত্রিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে পারি নাই, তাই গৃহহীন ঘর পাইনা।
দুচোখ অন্ধ মো. আবদুল জলিল পাশে সরকার বিনয়ে দাঁড়ানো উচিত বলে স্থানীয়রা মনে করেন। অসহায় গরীব বৃদ্ধ সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য রাজস্থলী উপজেলা এবং জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।