বুধবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » চোরাই গরু উদ্ধার করে বিপাকে পুলিশ
চোরাই গরু উদ্ধার করে বিপাকে পুলিশ
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে দুই চোরসহ একটি গরু আটক করে বিপাকে পড়েছে
থানা পুলিশ।
জানা গেছে, চোর দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও, গরুটির মালিক না পাওয়ায় নিজ খরচে খাবার দিতে হচ্ছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।
রাখা হয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গেল ১ আগস্ট রাত ৪টায় একটি প্রাইভেটকারে গরুটি নিয়ে যাচ্ছিল চোরেরা।
উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের গোলচন্দ বাজার থেকে ভুরকি বাজারের দিকে যাচ্ছিল তারা। বাজারে প্রবেশ করে সমসু মিয়ার দোকানের সামনে তাদের গতিরোধ করে স্থানীয় জনতা।
তখন গাড়ি থেকে নেমে দৌড় দেয় তিন-চারজন। গরু ও প্রাইভেটকারসহ ধরা পড়ে দুইজন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে তাদের। তারা হলেন, উপজেলার উদয়পুর গ্রামের ছমছু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৩৫) ও বিয়ানীবাজার থানার চরিয়া দক্ষিণ (মেওয়া) গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে আমীর উদ্দিন হীরা।
জব্দ করা হয় একটি লাল রঙের (চাঁনকপালী) গবাদি পশু, মূল্য আনুমানিক ২০ হাজার টাকা। সিলভার রঙের প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো গ-২৭-০৫১৯) ও নগদ ৯৩ হাজার ৯০ টাকা।
পরদিন বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোপেশ চন্দ্র দাস তাদের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ এনে মামলা (নাম্বার-০৩, তাং-০২-০৮-২০২১ইং)
এরপর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে, তাদের পলাতক সহযোগী উপজেলার উদয়পুর গ্রামের ওয়াছুব উল্লাহর ছেলে মো. আলী (৩৫), বিয়ানীবাজার থানার চরিয়া দক্ষিণ (মেওয়া) গ্রামের আলমাছ মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৫), ও খাড়াবড়া গ্রামের জসনু মিয়ার (৩২) নাম প্রকাশ করলেও গবাদি পশুর মালিকের পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ।
মালিক না পাওয়ায় ওই দিন থেকেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায় রেখে নিজ পকেটের টাকায় খাবার দিচ্ছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মালিক খুঁজে না পাওয়ায় নিজেকেই উদ্ধার হওয়া গবাদি পশুর খাবারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
মালিক খুঁজতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ছবি দেখে কেউ শনাক্ত করলে, প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ বিশ্বনাথ থানায় দ্রুত যোগাযোগ করবেন বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে প্রতারনা মামলায় ৩ আসামির জামিন না মঞ্জুর
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতারনা মামলার ৩আসামিকে জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানী করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে।
আসামিরা হলেন, শাহীন, জলিল ও জুনাব আলী।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবি এএসএম গফুর।
আসামী পক্ষে শুনানীতে ছিলেন, এ্যাভোকেট গিয়াস উদ্দিন। বাদি পক্ষের আইনজীবি শুনানীকালে আদালতকে জানান, আসামিরা অর্থের বিনিময়ে সরকারি বেসরকারি কাগজপত্র জাল তৈরী করে দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: নাম দিয়ে চাউলধনী হাওরটি লীজ নিয়ে সাবলীজ দেয়।
সাবলীজ গ্রহীতারা আইনের তোয়াক্কা না করে হাওরের পানি সেচ দিয়ে শুকিয়ে মাছ নিধন করত এবং দীর্ঘদিন এ হাওরটি লীজের নামে মালিকানা জমিও তারা ভোগ করে।
এতে কয়েক হাজার কৃষক ব্যুারো ফসল ফলাতে না পারায় বিরাট ক্ষতির সম্মুখিন হন। এ ঘটনায় দশঘর ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মো: রুশন আলী বাদি হয়ে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে ২৪জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় উপরোক্ত ৩আসামিকে শোনএরেস্ট দেখানো হয়। এর মধ্যে ১২জন জামিনে নিয়েছেন এবং বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।