বুধবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সংসার ভাঙল শৈলকুপার ৪০ ইঞ্চি খর্বাকৃতি দম্পতির
সংসার ভাঙল শৈলকুপার ৪০ ইঞ্চি খর্বাকৃতি দম্পতির
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: আব্বাস ম-ল (৩০), উচ্চতা ৪০ ইঞ্চি। পরিবারের বড় সন্তান। প্রথম সন্তান খর্বাকৃতি হওয়ায় একটা বিয়ের জন্য বাবা-মায়ের চেষ্টার অন্ত ছিলনা। শেষ মেষ সন্ধান পেয়েছিল পুত্রবধূ মিম খাতুনের (১৮)। তার উচ্চতা ৪২ ইঞ্চি। কাধে-কাধ মিলিয়ে গত ৯ এপ্রিল-২০২১ সালে রাতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। ৪০ ইঞ্চি বর আর ৪২ ইঞ্চি কনের এ বিয়ের খবর ১০ এপ্রিল প্রকাশের পর তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে বেশি দিন স্থায়ী হলো না তাদের সংসার জীবন। ৬ মাসের মাথায় গত ২০ অক্টোবর বুধবার বিয়ে বিচ্ছেদ হলো এ দম্পতির। খর্বাকৃতি বর আব্বাস ম-ল ঝিনাইদহের শৈলকুপার আউশিয়া গ্রামের আজিবর ম-লের ছেলে ও কনে মিম খাতুন একই উপজেলার লক্ষন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্যার মেয়ে। বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে আব্বাস ম-লের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈধ ভাবে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে বলে তিনি জানান। আব্বাস ম-লের বাবা আজিবর ম-ল বলেন, আশা করে তিনি ছেলেকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্ত বিয়ে বিচ্ছেদে তিনি মর্মাহত। আউশিয়া গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, মুসলিম বিধান অনুযায়ী আব্বাস ম-লের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। সবাই চেয়েছিলেন এ দম্পতির সুখি সংসার জীবন।
যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালীতে পুলিশের বাঁধা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে যুবদলের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। তবে পুলিশের বাঁধায় র্যালী করতে না পারেনি দলটি। বুধবার দুপুরে শহরের কলাবাগান এলাকা থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি কলাবাগান মোড় এলাকায় পৌঁছারে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এতে র্যালীটি পন্ড হয়ে যায়। পরে নেতাকর্মীরা শহরের এইচএসএস সড়কের জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে জড়ো হয়। পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. এস এম মশিয়ুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. এম এ মজিদ। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান, জাহিদুজ্জামান মনা, থানা বিএনপির আহ্বায়ক মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব দলের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আনন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবুল বাশার বাশি, যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান গামা, আবুল কালাম আজাদ, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্যান্যরা। এসময় বক্তারা, সামনের দিনে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের করার আহ্বান জানান। শেষে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ‘আইকন’ নজরুল ইসলামের কারিশমা
ঝিনাইদহ :: হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে অনেকের সন্দেহ ও নানাবিধ প্রশ্ন থাকলেও দেশের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের একটি বড় অংশ এখন এই চিকিৎসার উপর পুরোপুরি আস্থা এনেছেন। সঠিক ভাবে ডায়াগনোসিসের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ করলে জটিল ও কঠিন রোগ হোমিওপ্যাথি ওষুধে যে ভালো হয় তার নজীর স্থাপন করেছেন হোমিও চিকিৎসক নজরুল ইসলাম। নব্বই দশকে তিনি ইউরোপে গিয়ে নিজের বিপন্ন জীবনকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে হোমিও চিকিৎসার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। তার হোমিও চিকিৎসক হয়ে ওঠার গল্প যেমন চমকপ্রদ, তেমনি কষ্টেরও। এখন তিনি হোমিওপ্যাথি নিয়ে গবেষনা করেন। জটিল ও কঠিন কেস হিষ্ট্রি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই চিকিৎসা শাস্ত্রকে নিয়ে গেছেন সাফল্যের চুড়ায়। বোন ক্যান্সার, ব্রেষ্ট টিউমার, পোষ্টেড ক্যান্সার ও বৃদ্ধি, বেষ্ট্র ক্যান্সার, টিবি, পিত্তথলিতে পাথর, ক্লোন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সারসহ নানা ধরণের জটিল ও কঠিন রোগীদের আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রশাসনের উচ্চ স্তরের কর্মকর্তাসহ সমাজের হতদরিদ্র নিন্ম আয়ের মানুষ এখন তার রোগী। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উপর পেয়েছেন দেশী-বিদেশী পুরস্কার ও ডিগ্রী। স্বনামধন্য অনেক প্রতিষ্ঠান তাকে সম্মাননা ও ক্রেষ্ট দিয়ে ভুষিত করেছেন। বহু জার্নালে স্থান পেয়েছে তার চিকিৎসা পদ্ধতি। ভারতের নামি দামী হোমিও চিকিৎসকরা এখন তাকে এই চিকিৎসার ‘আইকন’ মনে করেন। নজরুল ইসলাম ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রামনগর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন ১৯৭৫ সালে। তার পিতার নাম গোলাম রব্বানী। ১৯৯৮ সালে তিনি ইটালী পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত হন। নিজের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি আস্থা খুঁজে পান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায়। ইটালী, জার্মান, ভারত ও বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে নিয়েছেন প্রশিক্ষন। বর্তমান তিনি কুষ্টিয়ার পিসি লাহেরী লেন, গোশালা রোডে স্থায়ী ভাবে বসবাস ও রোগী দেখছেন। প্রতি সোমবার হরিণাকুন্ডু শহরের হল বাজার এলাকার আয়েশা মার্কেটে “সাদিয়া হেলথ কেয়ার” চেম্বারে রোগী দেখছেন। ২০১৬ সাল থেকে নজরুল ইসলাম পুরোপুরি ভাবে হোমিও চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করেন। হরিণাকুন্ডুর সাদিয়া হেলথ কেয়ার কথা হয় হরিণাকুন্ডুর কালাপাড়িয়া গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ সুরুজ মালিথার সঙ্গে। তিনি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। তার ভাষ্যমতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। জীবনের আশা ছেড়ে দিয়ে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নজরুল ইসলামের কাছে চিকিৎসা নেন। এখন তিনি অনকটাই সুস্থ বলে জানান সুরুজ মালিথার পুত্রবধু স্বপ্না খাতুন। হরিণাকুন্ডুর শ্রীপুর গ্রামের বিশ্ববিদল্রালয়ের ছাত্র তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ভুগছিলেন কিডনির পাথরে। ৩ ডোজ ওষুধ সেবনের পর তিনি এখন সুস্থ বলে নিজেই জানান। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শিলা খাতুন টিবি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসকরা তার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নজরুল ইসলামের চিকিৎসায় তিনি আরোগ্য লাভ করেছেন। ব্রেষ্ট ক্যান্সারে কুষ্টিয়ার লক্ষিপুরের সাবিনা ইয়াসমিন ও লতা খাতুনের জীবন হয়ে ওঠে বিষাদময়। পুঁজ ও দগদগে ঘাঁ গোটা স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি করে। জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত তারা হোমিও চিকিৎসক নজরুলামের দারস্থ হন। তার দেওয়া ওষুধ সেবন করে এখন দুজনাই সুস্থ। দৌলতপুরের জুলেখা খাতুন, পশ্চিম আবদালপুরের সহিদা খাতুন ও হরিণাকুন্ডুর হরিয়ারঘাট গ্রামের লিপি খাতুন ব্রেষ্ট, বোন ও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এর মধ্যে লিপি খাতুন ২০ বছর ধরে ভুগছিলেন টিবি রোগে। তার একটি লাঙ্ক কেটে ফেলা হয়। ৪৬ দিন বক্ষব্যাধী হাসপাতালে ছিলেন অচেতন। আর্থিক অনটন ও জীবন সায়াহ্নে নজরুল ইসলামের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহন করে লিপি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানান। হরিণাকুন্ডুর রামনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও কুষ্টিয়ার কলেজ ছাত্রী ফারজানা ভুগছিলেন সরিয়াসিস রোগে। এই রোগ নিরাময় খুবই কঠিন। চিকিৎসা ভাষায় এটিকে বলা হয় দুরারোগ্য চর্ম রোগ। হোমিও চিকিৎসায় তারা এখন সম্পুর্ন সুস্থ। কুষ্টিয়া থানা পাড়ার খোকন সরকার গ্যংরিনে আক্রান্ত হয়ে তার দুই পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। পায়ে তার দগদগে ঘা ও পোকায় বাসা বেধেছে। পঁচা দুর্গন্ধে স্বজনরা কেউ কাছে যেতেন না। মৃত্যুর কথা ভেবে বার বার মুর্ছা যেতেন খোকন সরকার। শেষবারের মতো তিনি হোমিও চিকিৎসা নিতে যান নজরুল ইসলামের কাছে। তার চিকিৎসার তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। দুই পা আর কাটতে হয়নি খোকন সরকারের। এ ভাবে শত শত জটিল ও কঠিন রোগীর চিকিৎসা দিয়ে নজরুল ইসলাম আলোচনায় উঠে এসেছেন। তার চিকিৎসা দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছে ভারত বর্ষেও। নিজের চিকিৎসা পদ্ধতি ও সাফল্য নিয়ে হোমিও চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, একজন রোগীর সবচে বড় প্রয়োজন ভরসা ও সাহস যোগানো। তারপর সঠিক ভাবে রোগ নির্নয়ের পর ওষুধ নির্বাচন করা। তিনি বলেন, ডায়াগনোসিস হচ্ছে রোগীর পুর্ব পুরষদের কেস হিষ্ট্রি পর্যালোচনা করা। সফল ভাবে এই কাজটি করতে পারলে জটিল ও কঠিন রোগী হোমিও চিকিৎসায় ভালো হতে বাধ্য। আর তিনি এই কাজটিই সব সময় করে থাকেন। তিনি বলেন হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি এখন আর অসহায় হতদরিদ্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সমাজের উচু স্তরের মানুষও এই চিকিৎসার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনছেন। অচিরেই হোমিও চিকিৎসা সব মানুষের মনে আস্থা করে নিতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
কালীগঞ্জ সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষকের খুটির জোর কোথায়?
ঝিনাইদহ :: স্কুলের ছাত্রীদের শ্লিলতাহানীর ঘটনাই দুইবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর এবার অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার দায়ে তৃতীয়বারের মতো সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন হাফিজুর রহমান নামে এক শিক্ষক। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদৌরা আক্তার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ৪/৫ জন শিক্ষকের সামনে শিক্ষক হাফিজুর রহমান অনুচ্চারণযোগ্য কুরুচিপূর্ণ ভাষা প্রয়োগ করেন। তার এই আচরণ প্রতিষ্ঠান বিরোধী ও চাকুরি বিধি লঙ্ঘন। ফলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর কার্য নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে হাফিজুর রহমানকে দুই বার কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে তৃতীয়বারের মতো তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকালীন সময়ে শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। তবে বিদ্যালয়ের পাঠদান, অতিরিক্ত পাঠদানসহ কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পারবেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারে তিনি এখনো কোন চিঠি পাননি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদৌরা আক্তার জানান, স্কুলটির সভাপতি স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ঢাকা থেকে তিনি আসলে সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক হাফিজুর রহমান স্কুলের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুইবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান। এছাড়াও তুচ্ছ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ১৬ ছাত্রীকে মারপিটে করে আলোচনায় আসেন শিক্ষক হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬’র হাতে দুই ভারতীয় নাগরিক আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ র্যাব-৬ সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে জটির বক্স মন্ডল ও শাহাবুদ্দীন মন্ডল নামে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে। মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন বড়বলদিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। জটির বক্স মন্ডল ভারতের নদীয় জেলার কৃষ্ণপুর থানার হুদাদিগম গ্রামের আকবর আলী মন্ডলের ও শাহাবুদ্দীন মন্ডল একই গ্রামের ইউসুফ আলী মন্ডলের ছেলে। তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যাতিত অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বড় বলদিয়া গ্রামে অবস্থান করছিল বলে র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। র্যাব আরো জানায় তাদের উপস্থিতি টের পেয় ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। আসামীদেরকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
১৫’শ কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে সার ও বীজ বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে ১৫’শ কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে রাসায়নিক সার ও সরিষা’র বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ সার-বীজ বিতরণ করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শাহীনের সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুর রশিদ, উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জুনাইদ হাবীব, ইমদাদুল হাসান। কৃষি বিভাগ জানায়, রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদণা কর্মসূচীর আওতায় ১৫’শ কৃষকদের মাঝে ২০ কেজি করে করে রাসায়নিক সার ও ১ কেজি উন্নত জাতের সরিষা’র বীজ বিতরণ করা হয়।
অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় মহেশপুর সীমান্তে আটক ৩
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। সীমান্তের শুন্য লাইন থেকে মাটিলা বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান জানান, বিনাপাসপোর্টে অবৈধভাবে ভারতে যওয়ার সময় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালোপাড়া গ্রামের মোঃ নুর ইসলাম (২৩), তার স্ত্রী রিতা বেগম (১৯) ও একই উপজেলার আশকরপুর গ্রামের মোছাঃ মর্জিনা বেগম (২৩)। আটককৃতদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ্দ করা হয়েছে।