মঙ্গলবার ● ২ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের প্রতি আরো তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দিলেন দীপংকর তালুকদার এম.পি
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের প্রতি আরো তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দিলেন দীপংকর তালুকদার এম.পি
শাহ আলম, রাঙামাটি :: খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এম.পি বলেছেন, রাঙামাটিতে আওয়ামীলীগ দলকে নিচিহ্ন করতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীরা কিলিং মিশনে নেমেছে। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটির আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাছাই করে করে একের পর এক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের প্রতি আরো তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। শীঘ্রই রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষথেকে সকল হত্যাকান্ডের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়ে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে জনগণ ও নেতাকর্মীদের সজাগ সতর্ক থাকার আহব্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার ২ নভেম্বর বিকাল ৫টায় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যেগে আয়োজিত বার্ষিক বর্ধিত সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের সাংগঠনিক তৎপরতা ও গতিশীল করার লক্ষ্যে আজকের এই বর্ধিত সভা জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা কালীন সরকার ও সরকারের পাশাপাশি আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে। তারা একটি বারও সাধারন মানুষের খবর নেইনি। বিশেষ করে আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমতি কোন ভূমিকা রাখেনি। এসব সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে দলের সকল নেতাকর্মীকে তিনি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করতে হবে।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, রাঙামাটি জেলার আওয়ামীলীগে কিছু অসাদু নেতার আশ্রয়ে জামায়াত-বিএনপিসহ আঞ্চলিক সংগঠনের লোকজনের দলে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। নিজ পাল্লা-বাড়ি করতে এসব করছে কিছু অসৎ নেতা-কর্মীরা। দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ দলের জন্য আতœঘাতি হবে। দলকে বাচাতে হলে দলে হাইব্রিড নেতার প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি সেসকল নেতাকর্মীদের সংশোধন হওয়ার আহব্বান জানান। দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি, গতিশীল ও শক্তিশালী করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে রাঙামাটি জেলা ও উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিট সমূহে যেকোন সময় সম্মেলন পরবর্তী কাউন্সিল করা হবে। তাই তিনি মেয়াদ উর্ত্তীণ প্রত্যেক ইউনিটকে প্রতিনিধি সভা আহব্বান করার জন্য নির্দেশ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কাউখালী উপজেলার সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রেয়াজা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মুছা মাতব্বর, সদস্য ও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওয়াদুত ভূইয়া, কাউখালী উপজেলার আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সামশুদ্দোহা চৌধুরী, সহ-সভাপতি ক্যাচিং মং মারমা, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।