বুধবার ● ৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » শহিদুলের মনোনয়ন উচ্চ আদালতে বহাল
শহিদুলের মনোনয়ন উচ্চ আদালতে বহাল
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক বাতিলকৃত শহিদুল ইসলামের মনোনয়ন উচ্চ আদালতে বৈধতার প্রেক্ষিতে প্রচারণা ও অফিস স্থাপনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন (নং-৯৫৩৪/২০২১) মোতাবেক ৩১অক্টোবর মনোনয়নপত্র বহালের আদেশের প্রেক্ষিতে এ অনুমতি প্রদান করেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন’২০২১।
জানা যায়, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা তবলছড়ি ৩নং ওয়ার্ডের প্রার্থী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাতিলের অভিযোগে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন’২০২১ মনোনয়নপত্রের বৈধতা দেন। কিন্তু জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান গত ২৫অক্টোবর প্রার্থীতা বাতিল করেন।
মনোনয়নপত্র প্রার্থিতা ফিরে পেতে জেলা নির্বাচন অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে
উচ্চ আদালতে আপিল করেন তবলছড়ি ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মো.শহিদুল ইসলাম।
এ আপিলের প্রেক্ষিতে গত ৩১অক্টোবর(রবিবার) তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত।
প্রার্থী মো.শহিদুল ইসলাম(টিউবওয়েল প্রতীক) বলেন, আমার প্রতিপক্ষ ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো.নজরুল ইসলাম আমার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের আলোকে প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন’২০২১আমার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করলেও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোনয়ন বাতিল
করেন।
মনোনয়ন বাতিলের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করায় আমার মনোনয়ন বৈধতা দেয়া হয়।
এলাকার নির্বাচনের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিরাশি টিলা কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। এ কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যাতে করে সর্বস্তরের ভোটারগণ নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনে মাটিরাঙা উপজেলা ও গুইমারা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২১অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই, ২৬অক্টোবর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ, ২৭অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ
১১নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী পেয়ার আহম্মদ জনপ্রিয়তার শীর্ষে
খাগড়াছড়ি :: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাটিরাঙ্গার ১নং তাইন্দং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মো. পেয়ার আহম্মদ মজুমদার।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) সরেজমিনে এলাকার বেশ কিছু উঠোন বৈঠকে উপস্থিত থেকে ও অপরাপর এলাকা বিচরণ করে এ চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
পূর্ব থেকেই জনসেবার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে অল্প সময়ে সু-পরিচিতি লাভ করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এ উদীয়মান রাজনীতিবিদ।
সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করেছেন সাধারণ মানুষকে। ঘূর্ণিঝড় ও মহামারী করোনায় পাশে ছিলেন সাধারণ মানুষের। তিনি নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান।
স্থানীয় বাজারের দোকানদার মো.জসিম উদ্দীন, তানাক্কা পাড়ার মো. আক্কাস, বটতলীর মো. জয়নাল বলেন, তিনি চেয়ারম্যান না হয়েও সবসময় সকল বিপদে আপদে জনসাধারণের পাশে এগিয়ে আসেন। রাত-দিন যখনই চাই আমরা তাকে পাশে পাই।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের স্বার্থে সমাজসেবক পেয়ার আহম্মদ মজুমদারকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান এলাকাবাসী।
দূর্গম তানাক্কা পাড়া বান্দরশীং, বি টিলা থেকে শুরু করে সীমান্তবর্তী বিশাল এলাকায় উঠোন বৈঠক ও নানা প্রচারণার মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে এ ইউনিয়নকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত করার ধারণা দিয়ে তিনি তার নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন রাত-দিন নিরলসভাবে।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পেয়ার আহম্মদ মজুমদার বলেন, যদি জনগণ তাদের সেবা করার সুযােগ দেয়, তাহলে আমি নির্বাচিত ১নং তাইন্দং ইউনিয়নকে একটি রােল মডেল ইউনিয়ন হিসেবে উপহার দিবাে।
তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন এলাকাবাসীর সেবা করা।এলাকার বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখে সুখে দুঃখে পাশে থাকতে এলাকাবাসীর সমর্থন চাই।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১নং তাইন্দং ইউনিয়নের প্রার্থী হয়েছি।এজন্য আপনাদের সবার দোয়া-ভালোবাসাপূর্ণ সমর্থন একান্ত কাম্য।