সোমবার ● ৮ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাইক কিনতে নিজের কিডনি বিক্রির চেষ্টাকালে যশোর হাসপাতালে আটক যুবক
বাইক কিনতে নিজের কিডনি বিক্রির চেষ্টাকালে যশোর হাসপাতালে আটক যুবক
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান বাপ্পী মোল্লা (২৫)। তবে তার বাবা তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেননি। তাই নিজের কিডনি বিক্রি করে মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নেন বাপ্পী। কিডনি বিক্রির জন্য তিন দিন ধরে তিনি এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কিডনি বিক্রির বিষয়টি বেআইনি জেনেও নিরুপায় হয়ে ক্রেতার খোঁজ করছেন বাপ্পী। রবিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাকে আটক করেছে। বর্তমানে তিনি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। আটক বাপ্পী মোল্লা ঝিনাইদহের নারকেলবাড়িয়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর। বাপ্পী মোল্লা জানান, চার-ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি ও তার হতদরিদ্র বাবা এলাকায় পরের জমিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। চার মাস আগে মাগুরার বারাসি গ্রামের শরীফ হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কৃষি কাজ করে ভালোমতো সংসার খরচ না চলায় স্ত্রী ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শেই বাপ্পী তার বাবার কাছে মোটরসাইকেল কেনার টাকা চান। কিন্তু বাপ্পীকে মোটরসাইকেল কিনে না দিয়ে তার বাবা ছোট ভাই সাগরকে মোটরসাইকেল কিনে দেন। এতে গত ৪ নভেম্বর বাবার সঙ্গে তার বাগবিতন্ড হয়। সেই দিনই তার স্ত্রী পারিবারিক কলহের কারণে বাবার বাড়িতে চলে যান। তারপর বাবার প্রতি রাগ করে মোটরসাইকেল কিনে বাড়িতে ফিরবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন বাপ্পী। গত তিন দিন ধরে তিনি ঝিনাইদহ ও যশোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিডনির ক্রেতার খোঁজে। সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকাল থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কিডনির ক্রেতা খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তার চলাফেরা সন্দেহজনক মনে হলে ওয়ার্ডবয়রা তাকে হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাতে তুলে দেন। হাসপাতালে দায়িত্বরত কনস্টেবল সৌরভ বলেন, ঝিনাইদহের ওই যুবক নিজের কিডনি বিক্রি করবেন বলে ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেসবুকে পরিচয়; জমকালো আয়োজনে ঝিনাইদহ-যশোরের বাকপ্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন’র খবর ভাইরাল
ঝিনাইদহ :: সৌরভ ও তামান্না দুজনেই কথা বলতে পারেন না। মনের ভাব মুখে প্রকাশ করতে অক্ষম তারা। তবে মন খুঁজে নিয়েছে অন্যের মনের ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা গড়িয়েছে বিয়েতে। নিজেরাই জীবনসঙ্গী খুঁজে নিয়েছেন সৌরভ-তামান্না। তবে তাদের গল্পটা ভিন্ন। একে অন্যকে ‘আবিষ্কার’ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এই প্লাটফর্মে তাদের পরিচয়। সেখান থেকে মনের লেনদেন এবং বিয়ে। তবে তাদের এই বিয়েতে আয়োজনের কমতি রাখেনি পরিবার। খুশি তারাও। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়ায় কনের মামাবাড়িতে জমকালো আয়োজনে বিয়ে সম্পন্ন হয় এই যুগলের। বর ঝিনাইদহ জেলার চরবর্ণী গ্রামের রেজাউল করিমের বড় ছেলে শামীমুর রহমান সৌরভ এবং কনে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সদুল্যাপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ কেয়ামত হোসেনের মেয়ে তামান্না খাতুন। তারা দুজনেই জন্ম থেকে কথা বলতে পারেন না। জানা গেছে, সৌরভের বন্ধুরাই এ বিয়ের ঘটক। তারাই কনের ছবি সৌরভকে দেন। ফেসবুকে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। দুজনের পছন্দ হওয়ায় পারিবারিক ভাবে দেখাদেখির পর বিয়ে সম্পন্ন হয়। সৌরভ-তামান্নার এই বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। বিয়ের আয়োজনও ছিল জমকালো। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় বর-কনে ছিল হাস্যোজ্জ্বল। ভাগ্নির বিয়ের আয়োজনের কোনো কমতি রাখেননি মামা বাঘারপাড়ার কসমেটিক্স ব্যবসায়ী এনামুল কবির। কনে তামান্নার মা পারভীনা খাতুন বলেন, ‘আমার বিয়ে হয় নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বাবলা গ্রামে। দীর্ঘদিন আমি বাবার বাড়ি সদুল্যপুরেই আছি। একমাত্র মেয়ে তামান্না স্থানীয় ইন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া শেষ করে খুলনার গোয়ালখালি প্রতিবন্ধী স্কুলে ভর্তি হয়। সেখান থেকে এসএসসি পাশ করে। বর্তমানে সেখানকার এইচএসসি পরীক্ষার্থী।’ তামান্নার মামা এনামুল হোসেন বলেন, ‘তামান্না আমাদের খুব আদরের। কখনো ভাবিনি যে এমন মিলের একটা মানুষ তার ভাগ্যে জুটবে। ছেলেটা শিক্ষিত। তাদের এই সম্পর্ককে সম্মান জানিয়ে গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে বিয়েটা ধুমধাম করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
খুব শ্রীঘ্রই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : শাজাহান খান এমপি
ঝিনাইদহ :: মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এমপি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বাচন আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে। আমাদের এই ভোটার তালিকাটা করার জন্য যে গেজেটটা করা দরকার সেটা সম্পন্ন হয়নি। অধিকাংশ হয়ে গেছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলোকে আমরা তালিকাভুক্ত করে গেজেট করে একটি ভোটার তালিকা করে দিয়ে দেব। রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন। কেবিনেট সেক্রেটারীকে প্রধান করে, যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কমিটি আমাদের কাছে ভোটার তালিকা চেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের কাছে। মন্ত্রনালয় তালিকা দিলেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শাজাহান খান আর বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এটি সুসংবাদ যে খুব শ্রীঘ্রই তারা তাদের নিজস্ব সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শাজাহান খান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্দ্রেী কমিটির সদস্য সচিব ওসমান আলী, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সিদ্দিক আহম্মেদ, জেলা শাখার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, গোলাম রইচ. শৈলকুপা উপজেলা শাখার সাবেক কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিতা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা মুুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার জিল্লুর রহমান তাতার।