বুধবার ● ১০ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে এক চোরকে গণপিটুনি দিল জনতা
রাউজানে এক চোরকে গণপিটুনি দিল জনতা
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানে এক চোরকে হাতে নাতে ধরে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের এয়াকুব আলী তালুকদার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।
আজ বুধবার সকাল ৮টার সময় আটক চোরকে পুলিশের হাতে তোলে দেয়। আটক চোরের নাম মো. নুরুল ইসলাম। সে হলদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শরবত আলী তালুকদার বাড়ির ফজল কাদের বাবুলের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আটক নুরুল ইসলাম রাত ২টার সময় মদ খেয়ে ডাবুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের এয়াকুব আলী তালুকদার বাড়ির মো. নুরুল আলমের নির্মাণাধীন পাকা ঘরে চুরি করতে। প্রবেশ ঘরে। পাশের ঘরের বাসিন্দা বিবি খতিজা তালা ভাঙার শব্দ শুনে সবাইকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। পরে আমরা এলাকার আরও ৮/১০ জন উপস্থিত হয়ে পুরো ঘর ঘেরাও করি। সে ঘরের ছাদে উঠে আমাদের ঢিল ছুড়ে। অনেকক্ষণ পর তাকে ধরতে পারি।
যে ঘরে চুরি করতে প্রবেশ করে সে ঘরের মালিক মো. নুরুল আলম বলেন, আমরা এই ঘরে কেউ থাকি না। খামার বাড়িতে থাকি। রাতে খবর পায় ঘরে চোর ডুকেছে। এসে দেখি একটি রুমের তালা ভাঙা। তবে রুমে বিদ্যুৎতের তার ছাড়া তেমন কিছু ছিল না।
এদিকে আটক চোরের পিতা ফজল কাদের বাবুল বলেন, এটা ষড়যন্ত্র। আমার ছেলে চুরি করে না। তবে মদ খায়।
এ বিষয়ে চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুর রহমান বলেন, আমরা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।
রাউজানে তালা ভেঙে প্রবাসীর ঘরে চুরি
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে বসতঘরের তালা ভেঙে এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতের কোন এক সময়ে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকার মনু মিয়া ড্রাইভারের বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এতে প্রবাসী মো. ইউনুসের ঘরের দোতলায় তালা ভেঙে আলমিরা থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ ও প্লাস্টিকের ব্যাংকে থাকা ১৭ হাজার টাকা লোট করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে প্রবাসী মো. ইউনুসের মেয়ে জান্নাতুল কাউছার বলেন, আমার ছোট বোন ভূমিষ্ঠ হওয়ায় আমার মা কামরুন নাহার সহ গত ১৫ দিন আমরা শহরে ছিলাম। গতকালও বাসায় কেউ ছিল না, তালা বদ্ধ ছিল। রাতের সাড়ে ৩টার দিকে আমার চাচি খবর দেয় ঘরে চোর ডুকেছে। ভোরে এসে দেখি দুইটি রুমের আলমিরা, শো কেইজ, খাট-কাপড়, মেলামাইন জিনিসপত্র সহ সবকিছু তছনছ। প্রবাসী মো. ইউনুসের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ইসমত আরা বেগম বলেন, রাত ৩টার দিকে আমি দরজা ভাঙার শব্দ শুনতে পাই। তখন ভয়ে কাপতে থাকি। পরে দেখি ঘরে প্রবেশের দরজা খোলা। তখন সবাইকে খবর দিই। স্থানীয় কাউন্সিলর শওকত হাসান বলেন, যে ঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছে, তাদের কেউ ছিল না। শুনেছি তারা সবাই শহরে ছিল। এসুযোগে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করেছে। প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র নিয়ে গেছে জানতে পেরেছি।
চুরির ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী রাউজান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার পাল বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। চুরির ঘটনা ঘটেছে এটা সত্য। ঘরে কেউ ছিল না। আমরা বলেছি থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্যে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে।