বুধবার ● ১০ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » রামগড় পৌর নির্বাচনে ইভিএম এ ভোট কারচুপির অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রামগড় পৌর নির্বাচনে ইভিএম এ ভোট কারচুপির অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির রামগড় পৌর নির্বাচনে ইভিএম এ ভোট কারচুপির অভিযোগে রিটার্ণিং অফিসারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
ফলাফল বাতিল ও গেজেট স্থগিত চেয়ে খাগড়াছড়ি নিম্ন আদালতে পরাজিত ৭ কাউন্সিলর প্রার্থী এ মামলা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার ৯ নভেম্বর বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আফসার হোসেন রনি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত সোমবার বিকেলে খাগড়াছড়ির যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন পরাজিত ৭ কাউন্সিলর প্রার্থী। এতে রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, বিজয়ী ৭ কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও এ মামলায় মোকাবিলা বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রামগড় পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বল্টুরাম, ২ নম্বর জগন্নাথ পাড়া, ৪ নম্বর মাস্টারপাড়া, ৫ নম্বর চৌধুরীপাড়া, ৭ নম্বর এ কালাডেবা, ৮ নম্বর সোনাইপুল এবং ৯ নম্বর রামগড় সদরের কেন্দ্রগুলোতে ছলছাতুরি করে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ করেন।
বাদী পক্ষ জানায় প্রতিটি কেন্দ্রে বুথ ভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা না করে সম্মিলিত ফলাফল ঘোষণা করে। এ জন্য মাস্টার কার্ড তলব, ফলাফল বাতিল ও পরবর্তী গেজেট প্রকাশ স্থগিতের আবেদন করা হয়।
মামলার বাদীরা হলেন, রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বাদশা মিয়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার তারেক সুমন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোশাররফ হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নজির আহম্মেদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সাহাব উদ্দিন এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আফছার।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ আফসার জানান, নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়ে ছিলেন। কিন্তু ভোট গণনার সময় নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত দেখানো হয়। প্রতিটি বুথের ফলাফল আলাদা ভাবে না দিয়ে হাতে লিখে সম্মিলিত ফলাফল দেওয়া হয়েছে। বুথের ফলাফল এজেন্টকেও দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রামগড় পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ হয়নি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বেসরকারিভাবে মেয়রপদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল আলম কামাল এবং ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মোহাম্মদ শামীমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
রামগড় পৌরসভায় এবার ৮টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচন করেন।
আমতলীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী গনির শেষ মূহুর্তের প্রচারণা
খাগড়াছড়ি :: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৮নং আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবদুল গনির সর্বশেষ নানা নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে ভোটারদের ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে।
মঙ্গলবার ৯ নভেম্বর সরেজমিনে এলাকার বেশ কিছু উঠোন বৈঠক ও নির্বাচনী সমাবেশে উপস্থিত থেকে ও অপরাপর এলাকা বিচরণ করে এ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়েছে।
পূর্ব থেকেই জনসেবার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে অল্প সময়ে সু-পরিচিতি লাভ করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এ রাজনীতিবিদ।
সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করেছেন সাধারণ মানুষকে। ঘূর্ণিঝড় ও মহামারী করোনায় পাশে ছিলেন সাধারণ মানুষের। তিনি নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান।
স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণ বলেন, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সবসময় সকল বিপদে আপদে জনসাধারণের পাশে এগিয়ে এসেছেন। রাত-দিন যখনই চাই আমরা তাকে পাশে পাই।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাহাড়ি-বাঙালী দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের স্বার্থে সমাজ সেবক চেয়ারম্যান আবদুল গনিকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান এলাকাবাসী।
পাহাড়ের দূর্গম বিশাল এলাকায় উঠোন বৈঠক ও নানা প্রচারণার মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে এ ইউনিয়নকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত করার ধারণা দিয়ে তিনি তার নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন রাত-দিন নিরলসভাবে।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আবদুল গনি বলেন, যদি জনগণ আবারও তাদের সেবা করার সুযোগ দেন, তাহলে আমি নির্বাচিত হয়ে ৮নং আমতলী ইউনিয়নকে একটি রোল মডেল ইউনিয়ন হিসেবে উপহার দিবে।
তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন এলাকাবাসীর সেবা করা। এলাকার বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখে সুখে দুঃখে পাশে থাকতে এলাকাবাসীর সমর্থন চাই।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮নং আমতলী ইউনিয়নের প্রার্থী হয়েছি। এজন্য আপনাদের সবার দোয়া-ভালোবাসাপূর্ণ সমর্থন একান্ত কামনা করছি।
কুমিল্লা টিলা আইডিয়াল হাইস্কুলের সভাপতির দ্বায়িত্বে সাইফুল্লাহ
খাগড়াছড়ি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার কুমিল্লাটিলা আইডিয়াল হাইস্কুল এর পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এর অফিস কক্ষে এ কমিটি গঠন করা হয়।
বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন আবু আনসারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য পুর্নমনি ত্রিপুরা, আব্দুল মোতালেব, রতন কুমার রায়, আছিয়া, মো. আবু তাহের।
সভায় উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
নতুন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ (সাইফুল), সহ-সভাপতি সদর উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান, মো. আকতার হোসেন, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ২নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মো. মানিক মিয়া পাটোয়ারী, বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো. আসাদ উল্লাহ, সদস্য, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউছুপ আলী (আদনান), অভিবাবক সদস্য, পুর্নমনি চাকমা, অভিবাবক সদস্য, মনোয়ারা বেগম, সদস্য, মো. আবুল কাশেম, সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি, আসমা বেগম, সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি, মো. আবু তাহের।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.সাইফুল্লাহ (ছাইফুল) বলেন, কুমিল্লা টিলা আইডিয়াল হাই স্কুলের ৩বৎসর মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে আমার দায়িত্ব পালন কালে শিক্ষার মানোন্নয়নে ধারাবাহিক অবস্থা তৈরী করবো। শিক্ষার মান সম্মত পরিবেশ তৈরী করবো।
এর পর যে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে এ ধারিাবাহিকতা অব্যাহত রাখলে শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে।
আমি এ এলাকায় শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে সবাইকে নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
২নং তবলছড়ি ইউপির ১নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী তাজুল জনপ্রিয়তার শীর্ষে
খাগড়াছড়ি :: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২নং তবলছড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মো. তাজুল ইসলাম(সাবেক মেম্বার)।
সোমবার (০৮ নভেম্বর) সরেজমিনে এলাকার ১নং ওয়ার্ড ঘুরে এ চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।
সাধারণ মানুষের কাছে সাবেক মেম্বার হিসেবে তিনি অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে সু-পরিচিতি।
দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এবারও জনগণ তাঁকে নির্বাচিত করলে তাদের সেবায় নিজেকে ব্যস্ত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করেছেন ও করছেন সাধারণ মানুষকে।
তিনি নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান।
স্থানীয়রা বলেন, তিনি সবসময় এলাকার সকল বিপদে আপদে জনসাধারণের পাশে এগিয়ে আসেন। রাত-দিন যখনই চাই আমরা তাকে পাশে পাই।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের স্বার্থে সমাজসেবক মো. তাজুল ইসলামকে ১নং ওয়ার্ডে পূণরায় মেম্বার হিসেবে দেখতে চান এলাকাবাসী।
মো. তাজুল ইসলাম (সাবেক মেম্বার) বলেম, জনগণ আমাকে মেম্বার নির্বাচিত করায় জনগনের সেবায় নিয়েজিত থেকে এলাকার উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছি। এবারও জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে উন্নয়নমূলক কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমার ১নং ওয়ার্ডকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত করবো।
তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন এলাকাবাসীর সেবা করা।এলাকার বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখে সুখে দুঃখে পাশে থাকতে আবারও এলাকাবাসীর সমর্থন চাই।
এজন্য আপনাদের সবার দোয়া-আশির্বাদ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমর্থন একান্তভাবে কামনা করছি।