বৃহস্পতিবার ● ১১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ ২৭ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ ২৭ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
রাঙামাটি :: পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডোমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মুল) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ ২৭ আসামিকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
রাঙামাটির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় আসামিদের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন : রঞ্জন মনি চাকমা জেনিট (৫২), সবিচ চাকমা সজল সুকর্ণ (৫৭), শান্তিদেব চাকমা সানি (৫০), সুমেট চাকমা (৪৫), উদয় শংকর চাকমা (৫২), প্রমোদ বিকাশ খীসা (৫৩), অমর জীবন চাকমা (৫৫), সর্বানন্দ চাকমা মকানন্দ (৪১), কানন কুসুম চাকমা (৪৭), রবি চন্দ্র চাকমা (৪৮), বিমল চাকমা উদয় (৫০), সুবিকাশ চাকমা (৩৭), সুজন মনি চাকমা (৩২), মধুরঞ্জন চাকমা (৪৮), অনিল চাকমা (৩০), সুপন চাকমা সুশীল জীবন (৫২), জ্যোতি লাল চাকমা (৫২), বিদ্যাময়ী ডিএম (৪০), অমর কান্তি চাকমা (৫০),কালামনি চাকমা (৩০), বৌধিসত্য চাকমা রিচার্জ (৪৪), বাবুল চাকমা (৩৫), তুষাণ চাকমা (৩০), সুশীল চাকমা (৩০), রহিম চাকমা (২৫) ও বিবিদ রতন চাকমা (২২)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিলভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আসামিগণ গ্রেফতার এবং বিচার এড়ানোর জন্য পলাতক রয়েছেন বা আত্মগোপন করেছেন। যেহেতু তাদের গ্রেফতার হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই, সেহেতু আসামিগণকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো। ব্যর্থতায় আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল কালুময় চাকমা নামের এক ব্যক্তিকে তার নানিয়ারচরের বাসা থেকে তুলে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে বেতছড়ি থেকে শ্মশান থেকে কালুময় চাকমার দাহ করা লাশ উদ্ধার করা হয়। কালুময় চাকমার হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ্যাডমিশন চাকমা নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাঙামাটির নানিয়ারচর থানায় ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নানিয়ারচর থানার মামলা নং- ০৫, তারিখ- ২৬-০৪-২০১৮। মামলা দায়েরের পর বিগত সময়ে উল্লেখিত কোন আসামিকে গ্রেফতার যায়নি।
নানিয়ারচর থানার ওসি সুজন হালদার বলেন, ‘এটি ২০১৮ সালের একটি হত্যা মামলা। এ মামলায় পুলিশ উল্লেখিত আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই বিজ্ঞ আদালত আসামিদের আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জেনেছি।’