শনিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » আবির নিখোঁজের ৩ দিন পর মেহেরপুর থেকে উদ্ধার
আবির নিখোঁজের ৩ দিন পর মেহেরপুর থেকে উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে নিখোঁজ হওয়া আলী আহমদ আবির (১৬) কে তিন দিন পর ঢাকা মেহেরপুর থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
সে উপজেলার গন্ধারকাপন গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার ( ৯ নভেম্বর) এ ব্যাপারে নিখোঁজ আবিরের বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন। ডায়েরি নং ৪২৮ ( তাং ০৯/১১/২১ ইং)।
ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার তার বাবার কাছ থেকে মোবাইল ক্রয় করার জন্য তিন হাজার টাকা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে আসে।
এর পর থেকে সন্ধা পর্যন্ত অপেক্ষা করে বাড়ীতে না আসায় তার পরিবারের সদস্যরা অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে তার বাবা আব্দুল কাদির বিশ্বনাথ থানার সাধারণ ডায়রী করেন।
এব্যাপারে কথা হলে থানার এসআই রুমেন আহমদ বলেন, থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান এর নির্দেশক্রমে মেহেরপুর জেলার গাংনি থানা এলাকা এবং ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিখোঁজ আলী আহমদ আবির (১৬) কে উদ্ধার করা হয়েছে।
এব্যাপারে কথা হলে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, আবির নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ঢাকা মেহেরপুর থেকে উদ্ধার করে তার বাবার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে তিন বছরেও চালু হয়নি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘ এই সময়েও চালু হয়নি ৫০ শয্যার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
শুধুমাত্র প্রশাসনিক দপ্তর ও বহির্বিভাগ চালু হলেও অন্য সব কার্যক্রম চলছে ৩১ শয্যার পুরনো ভবনেই।
ফলে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও বিশ্বনাথ পৌরসভার সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে।
শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, জনবল ও অবকাঠামো সংকটের কারণে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা চার থেকে পাঁচ শতাধিক রোগীকে কাঙ্খিত সেবা দিতে হিমশীম খেতে হয় কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদের বিদায়ী বছরে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয় বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অই বছরের ৩০ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সফরকালে ৫০ শয্যায় উন্নীত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৮ সালে ১৮ অক্টোবর ওই ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার আধুনিক ভবনে শুধুমাত্র প্রশাসনিক দপ্তর ও বহির্বিভাগের কার্যক্রম চলছে।
অন্যসব সাস্থ্যসেবা চলছে ৩১ শয্যার পুরনো ভবনেই। কিন্তু চিকিৎসক, জনবল ও অবকাঠামো সংকটে ওই ভবনের কার্যক্রমেও ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৮৯টি পদের মধ্যে ৫৯টি পদই শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ১০ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৬ জন। এর মধ্যে নেই গাইনি চিকিৎসক। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রসূতিসেবাও।
বন্ধ রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও অপারেশন থিয়েটার। তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে দুটিই বিকল।
অন্যদিকে, ইউনিয়ন পর্যায়ের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৫টি পদের মধ্যে ১৩টি পদই শূন্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা বলেন, ৫০ শয্যার ভবন হস্তান্তর করা হলেও ভবনের অনুমোদন আমরা এখনও পাইনি।
যে কারণে ৩১ শয্যারই কার্যক্রম চলছে। অনুমোদনের জন্যে সিলেট সিভিল সার্জন অফিস থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অনুমোদনের পর চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলাবাসীকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।