রবিবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ইউপি সদস্য হত্যায় অভিযুক্ত আরিফ গ্রেফতার
ইউপি সদস্য হত্যায় অভিযুক্ত আরিফ গ্রেফতার
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবদুর রউফ মিয়াকে (৪২) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব-১৩ জানায়, শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড় থেকে মূল অভিযুক্ত আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে দিনাজপুরে হেফাজতে রাখা হয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে র্যাব।
গ্রেফতার আরিফ মিয়া লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুড়াকুটি গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন রউফ। পথে বামুনিরপাড়া এলাকায় গোবিন্দরপুর মসজিদ সংলগ্ন সড়কে একটি ব্রিজের সংস্কার কাজ চলায় তিনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে হেঁটে ওই স্থান পার হচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুবৃর্ত্ত আবদুর রউফের পথ রোধ করে তাঁকে অতর্কিতভাবে লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এ সময় আবদুর রউফের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নিলে রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, রউফের ওপর হামলাকারী যুবকের নাম আরিফ। এদিকে এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই উত্তেজিত জনতা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় আরিফ মিয়ার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আরিফের আস্তানা হিসেবে পরিচিত স্থানীয় একটি ক্লাবঘরও গুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবসী। হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে কয়েক হাজার শোকার্ত মানুষ গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গুলিবিদ্ধ হামিদুল, চিকিৎসাধীন আবস্থায় মৃত্যু
গাইবান্ধা :: নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড়ে গুলিবিদ্ধ হামিদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে রংপুর মেডিকেলে মারা গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন হামিদুলের শ্যালক আরিফুল।
নিহত হামিদুল বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের রুকুর সমর্থক ছিলেন। সে ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ ধানঘড়ার গ্রামের আবু সরকারের ছেলে।
দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড়, মালিবাড়ী, গিদারী ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে শিশুসহ ২৫ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুসহ ২জনকে রংপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
এসময় গিদারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে হারুনুর রশীদ ইদু ও গিদারী ইউপির আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, বল্লমঝাড় ইউনিয়নের চান মিয়া, হামিদুল ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রাসেল গুরুতর আহত হয়ে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরেরদিন অবস্থার অবনতি হলে হামিদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। সেখানে রোববার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ভোটগণনা শেষে ব্যালট বক্স ও নির্বাচনী সরাঞ্জামাদী ভোট কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসার সময় সমর্থকরা বাধা দেয়ায় পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে। সেখানেই হমিদুল গুরুতর আহত হন।