বৃহস্পতিবার ● ১৮ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » প্রেমিকাকে হোটেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ- ধর্ষক আটক
প্রেমিকাকে হোটেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ- ধর্ষক আটক
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে এমন খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে হোটেলে ডেকে নিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে ধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে দুজনের মধ্যে চলছিলো প্রেমের সম্পর্ক। সম্প্রতি প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়। এ খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রেমিক।
প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনেরই বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকায়। তাদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে দুজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিক জাহাঙ্গীর তার প্রেমিকা ওই তরুণীকে খবর দিয়ে হোটেলে নিয়ে কক্ষে আটকে ধর্ষণ করে।
তরুণী কৌশলে বিষয়টি তার বান্ধবীকে জানালে বান্ধবী ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের কাছে বলেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেই প্রেমিকাকে উদ্ধার ও প্রেমিককে গ্রেফতার করে।
গতকাল বুধবার (১৭ নভেম্বর) জাহাঙ্গীর আহমেদ (২৮) নামের সেই প্রেমিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার বিকেলে এক নারী ৯৯৯ নম্বরে কল করে বলেন, তার বান্ধবী বিপদে পড়েছে। তার বান্ধবীকে সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হচ্ছে।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কোতোয়ালি থানায় জানিয়ে দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল ওই আবাসিক হোটেল থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে (২২) উদ্ধার করা হয়।
এসময় ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক জাহাঙ্গীর আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে খুনি সাইফুল ৫ দিনের রিমান্ডে
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে স্কুল ছাত্র সুমেল ও কৃষক ছরকুম আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি খুনি সাইফুলকে ৫দিনের রিমান্ডে থানায় আনা হয়েছে।
জব্দ করা হয়েছে তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক। সুমেল হত্যা মামলায় গত (১৫ সেপ্টেম্বর) মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের সময় নিয়ে এসে ২৯ সেপ্টেম্বর শাহপরাণ থানায় বন্দুকটি জমা দেয় সাইফুল।
(১৬ নভেম্বর) মঙ্গলবার সন্ধা ৭টায় শাহপরাণ থানা থেকে বন্দুকটি জব্দ করে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।
এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের আজ ৩য় দিন। অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে কোন তথ্য দিয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, আসামীর এখনও রিমান্ড শেষ হয়নি। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাবে না।
একটি সূত্র মতে, একটি প্রভাবশালী মহল সাইফুলকে সহায়তায় নানামূখী চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। বাদী পক্ষ সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দাবী জানিয়ে আসছে।
প্রসঙ্গ, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী চৈতননগর গ্রামের ছরকুম আলী দয়াল নিজ কৃষি জমিতে কাজ করার সময় সাইফুল ও তার বাহিনীর বন্দুকের আঘাতে দয়ালকে হত্যা করে এবং ১মে স্কুলছাত্র সুমেলের চাচার জমি থেকে মেশিন দিয়ে সাইফুল ও তার বাহিনীর জোরপূর্বক মাটি কাটা শুরু করলে জমির মালিকরা বাধা দিলে পরিকল্পিতভাবে খুনিরা গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় সুমেল সহ ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকে। গত ২১ অক্টোবর বাদী পক্ষ ঢাকার সেগুনবাগিছার একটি ১১তলা ভবন থেকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী খুনি সাইফুলকে আটক করে রমনা থানায় হস্থান্তর করে।
পরে বিশ্বানথ থানা পুলিশ সাইফুলকে থানার নিয়ে আসেন এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।