শনিবার ● ২০ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে বিএনপির গণ-অনশন কর্মসূচী পালিত
ঝিনাইদহে বিএনপির গণ-অনশন কর্মসূচী পালিত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ঝিনাইদহে গণ-অনশন কর্মসূচী পালন করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শনিবার সকালে শহরের এইচ এস এস সড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে দলটির জেলা শাখা। সেসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. এস এম মশিয়ুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান, জাহিদুজ্জামান মনা, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু, সদস্য এনামুল কবির মুকুল, শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, কৃষকদলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। গণ-অনশন কর্মসূচীতে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
মহেশপুরে রাজহাঁস নিয়ে বিরোধ; লাঠির আঘাতে প্রতিবেশি নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের নস্তিপুর গ্রামে রাজহাঁস মারাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশির লাঠির আঘাতে মফিজ মোল্লা (৪৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। নিহত মফিজ মোল্লা ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে। নস্তিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য বশির উদ্দিন জানান, নিহত মফিজ মোল্লার প্রতিবেশী কামালের রাজহাঁস মারাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশি মফিজ ও কামালের পরিবারের মাঝে ঝগড়া হয়। এসময় মফিজ সেখানে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে গেলে কামাল ও তার পরিবারের লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। ঠেকাতে গেলে মফিজের ভাই লাবুকেও মারধর করে তারা। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মফিজের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে যশোর রেফার্ড করা হয়। যশোর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। নিহতের লাশ এখনও এলাকায় পৌঁছায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহের ১৬ লাখ ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কর্মরত মাত্র দুইজন
ঝিনাইদহ :: জনবল সংকট নিয়েই চলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এই সংস্থাটি ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করলেও এখনও পরিপূর্ণ রূপ পায়নি। পায়নি প্রয়োজনীয় জনবল। অর্জন করতে পারেনি আইন বাস্তবায়নের সক্ষমতা। এর মধ্য দিয়েও সংস্থাটির কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে দেশের ১৬ কোটির অধিক ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে সংস্থাটি। অধিদফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৩০৫ জন জনবল নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রশাসন প্রাথমিক পর্যায়ে ২০৬ জনবল অনুমোদন করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই নগণ্য ও অপ্রতুল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সরকার একটি আইন প্রণয়ন করেছে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ক্ষমতাবলে ভোক্তা অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করছে সংস্থাটি। তবে আইন প্রয়োগের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা না থাকায় সাধারণ মানুষ এই সংস্থা ও আইনের সুফল সেভাবে পাচ্ছে না। তার ওপর জনবল সংকট তো রয়েছেই। জানা গেছে, দেশের ১৬ কোটির অধিক সংখ্যক ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানটির জনবল রয়েছে মাত্র ২০৮ জন। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা জনবলের সংখ্যা ১০৮ জন। ঝিনাইদহের ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন মাত্র কর্মকর্তাসহ ২ জন। তবে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে অমীমাংসিত রয়ে যাচ্ছে শত শত অভিযোগ। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে তা তদারকি করে ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শাস্তি ও জরিমানা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। জানা গেছে, দেশে অধিকাংশ পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভেজাল ও প্রতারণার মহোৎসব চলছে। বস্তুুত বাজারে মাছ-গোস্ত, দুধ-ডিম ও ফলমূল থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও ভেজালের মিশ্রণসহ নানা প্রক্রিয়ায় প্রতারণা করা হচ্ছে। অসাধু ব্যক্তিরা অধিক মুনাফার লোভে মত্ত হয়ে একদিকে চাল, মাছ, সবজি, মসলা, দুধ, দই, মিষ্টি, বেকারি পণ্যসহ নকল ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করছে; অন্যদিকে বিভিন্ন সেবা প্রদানে অবাধে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। পাশাপাশি পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় জনবলের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবব দেয়া আছে। বাজেট পাওয়া সাপেক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জনবল অনুমোদন করছে। তিনি জানান, ‘নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্য দিয়েই সাধারণ ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছি।’ অধিদফতরে দাখিল হওয়া অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সীমিত জনবল দিয়েই সাধ্যমতো এগুলো নিষ্পত্তি করছি।’
ঝিনাইদহে ব্যক্তি উদ্যোগে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের চারা রোপন
ঝিনাইদহ :: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ঝিনাইদহে ব্যক্তি উদ্যোগে ২’শ গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলা দোবিলা গ্রামের শিশু মার্কেট থেকে গাইঘাটা নামক স্থান পর্যন্ত ও ধোপাবিলা চৌরাস্তা থেকে রামচন্দ্রপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের চারা রোপন করেন পরিবেশবিদ ফারুক হোসেন। ব্যক্তিঅর্থায়নে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের চারা রোপনের অংশ হিসেবে তিনি এ গাছের চারা রোপন করেন। ফারুক হোসেন বলেন, জলবায়ু বিবর্তনের কারণে পৃথিবী দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মানুষ নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করছে কিন্তু গাছ লাগাচ্ছে না। যে কারণে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। আমার সাধ্যমত আমি চেষ্টা করছি পরিবেশের এই ভারসাম্য রক্ষার জন্য। তাই সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের চারা রোপন করছি। এর আগেও বজ্রপাত প্রতিরোধে তাল চারা রোপন করেছি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি তিনি আহ্বান জানান তারা যেন গাছের চারা রোপন করেন।