মঙ্গলবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » পুত্রবধূর নির্যাতনে প্রতিবন্ধী শাশুড়ী ননদসহ আহত-২
পুত্রবধূর নির্যাতনে প্রতিবন্ধী শাশুড়ী ননদসহ আহত-২
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুত্রবধূর নির্যাতনে প্রতিবন্ধী শাশুড়ী ননদসহ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পৌর শহরের রামপাশা রোডের ইরন এন্ড তোরন মঞ্জিলে বসবাসকারী বালু-পাথর ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়ার স্ত্রী ও পুত্রবধূর তারই আপন ভাই বোন মিলে প্রতিবন্ধী শাশুড়ী ও ননদের উপর হামলা করেন।
এঘটনায় রবিবার রাতেই ৬ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রঘুপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর স্ত্রী লায়লুন নাহার (৬৫)।
হামলাকারীরা হলেন, ফরিদ মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম(৩৩) ওসমানীনগর থানার ধুলিয়ারবন গ্রামের সায়েস্তা মিয়ার ছেলে সাহেদ মিয়া ( ৩০) জাহেদ মিয়া(২৫) রায়হান মিয়া (২০) পপি বেগম (২৪) লাকি বেগম (১৯)।
আহতরা হলেন, মৃত মদরিছ আলীর স্ত্রী লায়লুন নাহার (৬৫) লায়লুন নাহারের মেয়ে প্রতিবন্ধী রেসনা বেগম।
আহত অবস্থায় লায়লুন নাহারকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের বাসায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, ফরিদ মিয়ার স্ত্রী ও তারই আপন ভাই বোন মিলে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে দীর্ঘদিন যাবত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে।
আমি লোক লজ্জায় এবং কোনো উপায় না পাইয়া কষ্ট করে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়া তাদের নির্যতন সহ্য করিয়া আসিতেছি।
লিপি বেগম আমাকে ও আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাসা থেকে বাহির করে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ সুযোগ খুজিয়া আসিতেছে।
প্রায় ২০/২২ দিন পূর্বে আমার বড় ছেলে ফরিদ মিয়া তাহার ব্যক্তিগত কাজে ইন্ডিয়ায় চলে যায়। আমার ছেলে ইন্ডিয়ায় চলে যাওয়ার পর থেকে আমার ও আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে শারিরীক ও মানসিক নির্যতন আরো বেশি করতে থাকে।
এবং প্রতিদিন বাসা থেকে বাহির হয়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে। বাসা থেকে বাহির না হলে লিপি বেগমের ভাই ও বোন মিলে হঠাৎ করে দেশী অস্র দিয়ে আমি ও আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের উপর হামলা চালায়। এতে আমি ও আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে আহত হই।
এ ব্যাপারে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিবেশীদের হামলায় টমটম চালক নিহত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতিবেশীদের হামলায় সুজন মিয়া (২৬) নামে একজন টমটম চালক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের লহরী নোয়াগাঁও গ্রামের আসক মিয়ার ছেলে।
গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির কাছেই হামলার শিকার হন তিনি।
সে একজন পেশায় টমটম চালক-এমন অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে বিশ্বনাথের দশঘর ইউনিয়নের পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের উজির উদ্দিনের রাস্তা দিয়ে নিজেদের একটি গবাদী পশু নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন প্রতিবেশী আসক মিয়ার মেয়ে।
রাস্তা দিয়ে গবাদী পশু যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় জড়ান উজির উদ্দিনের ভাতিজা সিরাজ মিয়া ও আসক মিয়া।
বাকবিতন্ডায় এসে যোগ দেন উজির উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম ও আসক মিয়ার ছেলে টমটম চালক সুজন মিয়া।
সুজনের আপন মামাতো ভাই আজাদ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘রবিবার দুপুরের ওই বাকবিতন্ডার সময় নুরুল ইসলাম টমটম চালক সুজনকে চড়-থাপ্পড়ও দেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজের টমটম গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে যেতে বাড়ি থেকে বের হলে সুজনের উপর হামলা চালান নুরুল ইসলাম, তার ভাই রফিকুল ইসলাম, তাদের চাচাতো ভাই সিরাজ মিয়া ও মইনুল, একই গ্রামের মৃত মনোহর আলীর ছেলে ইকবাল, মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে আখলুছ আলী ও ইউসুফ আলীরা।
হামলায় গুরুতর আহত হলে আশংকাজনক অবস্থায় সুজনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোরে তিনি মারা যান।
অভিযুক্ত সিরাজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘রবিবার দুপুরে আসক মিয়ার মেয়ে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আমার খড় খেয়ে ফেলে গরুটি। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ক্ষুব্ধ হয়ে ছুটে আসেন আসক মিয়া।
তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তবে, সন্ধ্যার পর টমটম চালক সুজনের উপর হামলার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। সুজন আগেই থেকে অসুস্থ ছিলেন।
অসুস্থতার কারণে ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি বমি করেছেন। তাকে স্থানীয় ডাক্তারও দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল জগন্নাথপুর উপজেলায় হওয়াতে এ বিষয়ে ওই থানা পুলিশই পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্যে সুজনের লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে বলে তিনি জানান।