বুধবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » বিশ্বনাথে মাঠে মাঠে শীতকালীন সবজি
বিশ্বনাথে মাঠে মাঠে শীতকালীন সবজি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন সবজির ঘ্রাণ।
এই মৌসুমের সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন স্থানীয় কৃষকরা। বর্তমান মৌসুমে সবজি তুলা শুরু করেছেন বিশ্বনাথের মাঠে-মাঠে কৃষকরা।
উপজেলায় এবার শীতের আগাম সবজি চাষের ধুম পড়েছিল। কেউ কেউ আরো আগেই সবজি চাষে নেমেছিলেন। এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের প্রায় সব ধরনের আগাম সবজি।
এর মধ্যে রয়েছে মুলা, শিম, বাঁধাকপি, আলু, লাল শাক, ফুলকপি, টমেটো, শসা,গাজরসহ নানা ধরনের সবজি। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শীতকালিন সবজি পাওয়া যাচ্ছে।
তবে দাম একটু চড়া। তারপরও লোকজন নতুন সবজি ক্রয় করছেন। আগাম সবজি বাজারে তুলতে পারলে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব সেই চিন্তা মাথায় রেখে চারা তৈরি ও সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরা।
উপজেলার খাজাঞ্চি ও অলঙ্কারী ইউনিয়নে শীতকালিন সবজি বেশি চাষাবাদ হয়। ফলে এসব ইউনিয়নে সবজি চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সিলেটের বাজারেও বিশ্বনাথের সবজি বিক্রি হয়। কিন্তু দাম দিগুণ -তিনগুণ বেড়েছে সবজির দাম।
বেশী দামের আশায় প্রতিবছরের মত এবারও অনেক চাষী বৃষ্টিকে অপেক্ষা করে আগাম জাতের টমেটো, বেগুন, বাধাঁকপি, ফুলকপির বীজ বপন করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে বীজতলা নষ্ট হয়নি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, বিশ্বনাথে এ বছর ১৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করার টার্গেট থাকলেও এপর্যন্ত মাত্র ৬৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। তবে আবাদ চলমান রয়েছে। গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। তবে বিশ্বনাথের সবজি চাষীদের আলাদা তালিকা কিছু আছে।
উপজেলার কর্মকলাপতি, মাধবপুর, রহিমপুর, হরিপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। যারা পিছিয়ে পড়েছেন তারা এখন চাষে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। তবে চাষিরা জানান, সবজি চাষে এখন খরচ বাড়ছে। কীটনাশক, সার,শ্রমিক, সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।
উপজেলার হরিপুর গ্রামের সবজি চাষি উস্তার আলী জানান, শীতের আমেজ শুরু হয়েছে সে কারণে শীতকালীন শাকসবজি চাষাবাদ করছি।
তেলিকোনা গ্রামের সবজি চাষী নুরুল হক বলেন, বৃষ্টির কারণে আমাদের সবজি চারা কিছুটা নষ্ট হলেও ফলন ভালো হয়েছে। লাল শাকঁ, আগাম জাতের চিচিঁঙ্গা, ঝিঁঙ্গার আবাদ করেছি। আশা করি লাভবান হবো।
খাজাঞ্চি ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি সবজি চাষাবাদ হয়। এখানে আগাম জাতের সবজি চাষ হয়েছে। বর্তমানে এলাকার সবজি চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, সিলেটের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বিশ্বনাথে টমেটোর চাষ বেশী হয়। প্রতি হেক্টরে ২০ টনেরও বেশী ফলন হয়েছে এ অঞ্চলে। তবে অতি বৃষ্টির কারণে আগাম চাষ হয়নি।
তবে শীতকালীন সবজি চাষে কোন প্রভাব পড়বে না। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মাধ্যমে চাষীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত আছে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে চাষীদের মাঝে প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ক্ষেত, বিনামূল্যে সবজির বীজ ও সার দেয়া হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।