বৃহস্পতিবার ● ১৭ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে চলছে সবুজ মেহগুনি গাছ কাটার মহাত্সব
ঝিনাইদহে চলছে সবুজ মেহগুনি গাছ কাটার মহাত্সব
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১৬ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫০মিঃ) প্রশাসননের ছত্রছায়ায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মহাসড়কের ধার থেকে সবুজ মেহগুনি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে ৷ সুবজ পাতাযুক্ত গাছ কাটা সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ হলেও ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে ছুটির দিনে গাছ কাটা শুরু করেছে প্রভাবশালী মহলটি৷ এ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের কোন উচ্চবাচ্য নেই৷ সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে এই গাছ বিক্রির দরপত্র আহবান করা হয়৷ ছুটির দিনে শ্রমিক নিয়োগ করে চলছে গাছ কাটা৷ গত দুই দিনে দুইটি বড় গাছ কাটা হয়েছে৷ শনিবার সকালে রাসত্মার ধারে গাছ কাটতে দেখে এলাকার লোকজন প্রশাসনকে খবর দেয়৷ প্রশাসন গাছ কাটা বন্ধ করে দিলেও পরে আবারো অনুমতি দেয়৷ আর পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরা বলছেন, সবুজ গাছ কাটার অনুমোতি দেওয়া অন্যায়৷ তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন৷ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কালীগঞ্জ অংশে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসষ্টান্ড হতে মোবারকগঞ্জ চিনিকল পর্যনত্ম তরতাজা সুবজ পাতাযুক্ত মেহগুনি গাছ রয়েছে৷ গাছগুলো এলাকায় সবুজ ছায়া করে রেখেছে৷ অথচ এই গাছগুলো গত শুক্রবার ও শনিবার কাটা হয়েছে৷ আরো কাটা হবে বলে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানিয়েছেন৷ মরা এবং পুরানো গাছের পরিবর্তে কেন তরতাজা সুবজ বৃক্ষ কাটা হচ্ছে এ নিয়ে কালীগঞ্জের মানুষের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ইতিপূর্বে এই গাছগুলো বিক্রির দরপত্র হয়েছিল৷ তারপর জমি নিয়ে সড়ক বিভাগ ও ভুমি মন্ত্রনালয়ের মধ্যে মামলা চলছিল৷ যে কারনে কাঠ ব্যাবসায়ীরা গাছগুলো কাটতে পারেনি৷ এখন আদালতে সেই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় ক্রেতারা গাছ কাটছেন৷ সবুজ গাছগুলো কেন বিক্রি করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা তার পূবের্র কর্মকর্তারা করে গেছেন৷ ফলে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না৷ ঝিনাইদহে জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির আহবায়ক মাসুদ আহম্মেদ ওরফে সনজু জানান, ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ কোনো প্রয়োজন ছাড়াই এভাবে সবুজ গাছ কাটা খুবই অন্যায়৷ তিনি অবিলম্বে এই গাছ কাটা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন৷ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহনাজ পারভিন জানান, তারা সাময়িক ভাবে গাছ কাটা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ পরে কাগজপত্র দেখে আবার কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ কালীগঞ্জের দায়িত্বে থাকা কোটচাঁদপুরের বন কর্মকর্তা আব্দুলস্নাহ আল মামুন জানান, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না৷ তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন গাছটি কাদের মালিকানায়৷