শুক্রবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মানিকছড়িতে মংশে মারমার ২২তম শহীদবার্ষিকীতে পিসিপি’র স্মরণসভা
মানিকছড়িতে মংশে মারমার ২২তম শহীদবার্ষিকীতে পিসিপি’র স্মরণসভা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে মংশে মারমার ২২তম শহীদবার্ষিকীতে আজ ৩ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার স্মরণসভা করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) মানিকছড়ি উপজেলা শাখা।
স্মরণসভা শুরুতে শহীদ মংশে মারমাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আত্ম-উৎসর্গকারী সকল শহীদদের সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
“বিপ্লবীর মৃত্যু নেই, বেঁচে থাকে অনন্তকাল বিপ্লবের চেতনায়” এই শ্লোগানে এবং “শত শহীদের আত্মত্যাগের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে, জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে তথা পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আন্দোলন জোরদার করি” এই আহ্বানে আয়োজিত স্মরণসভায় পিসিপি’র মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি অংহ্লাচিং মারমার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক অংসালা মারমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের মানিকছড়ি ইউনিটের সমন্বয়ক ক্যহ্লাচিং মার্মা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য শুভ চাকমা, জনপ্রতিনিধি মানেন্দ্র চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক লিটন চাকমা ও এলাকাবাসীর পক্ষে বাবু মারমা।
সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ মংশে মারমা অনেক অবদান রেখে গেছেন। তিনি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। ভূমি বেদখল, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। যার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, মংশে মারমা আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি যে আদর্শ-চেতনা ধারণ করে লড়াই সংগ্রাম করেছেন সে চেতনার কোন মৃত্যু নেই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তার লালিত চেতনা ধারণ করে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর সাংগঠনিক কাজে গেলে কালাপানি নামক স্থানে জেএসএস’র লেলিয়ে দেওয়া সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা মংশে মারমাকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে।