শনিবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত : মকছুদ আহমেদ
পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত : মকছুদ আহমেদ
রাঙামাটি :: পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাহাড়ের প্রথিতযশা চারণ সংবাদিক রাঙামাটির দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক এ
কে এম মকছুদ আহমেদ।
তিনি ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে রাঙামাটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পাহাড়ে যারা মানবাধিকার লংঘন করে চলেছে, তাদের আলাপ আলোচনায় বসে একটি সমাধানে আসার জন্য মকছুদ আহমেদ উদাত্ত আহবান জানান।
পাহাড়ের সংকট মোকাবেলায় সকলের সম্মিলিত ভাবে চেষ্ঠা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন আলোচনার মধ্য দিয়ে অন্তত মানবাধিকার লংঘনের
ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে তবলছড়িস্থ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন
করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি সুলতান কমরু উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক রাঙামাটি ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও এশিয়া
ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা শাখার মহিলা সম্পাদক সুফিয়া কামাল জিমি ।
বক্তব্য রাখেন এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন কেন্দ্রিয় সদস্য নুরুল ইসলাম, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন
রাঙামাটি জেলা সম্পাদক বেলাল হোসেন, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা পরিচালক নাসির উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক সম্পাদক মো শরীফ জিন্নাহ, ও এস জাহিদুল ইসলাম মুন্নাসহ উপজেলা শাখার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল পক্ষের সাথে অনেক আলাপ আলোচনা করে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির
মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার মানুষকে যুদ্ধাবস্থার পরিস্থিতি থেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু শান্তিু চুক্তির মাধ্যমে অনেক সেনা ক্যাম্প প্রত্যহার
হলেও পার্বত্য অঞ্চলে এখনো স্থায়ী শান্তি ফিরে আসেনি। তাই আইন শৃংখলা রক্ষায় সেনা ক্যাম্পগুলো পুন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
মকছুদ আহমেদ বলেন, পাহাড়ের গ্রামাঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি এতই খারাপ যে রাতে গ্রামের মানুষ ঘুমাতে পারেনা। চার পাঁচটা সংগঠনের কারণে তারা
অতীষ্ঠ ।
পাহাড়ে এখানো পাখির মতো গুলি করে নির্বচারে মানুষ মারা হচ্ছে। দেশে অনেক বুদ্বিজীবি ও মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে। তারা পার্বত্য অঞ্চলের মানবাধিকার
লংঘনের এ সব ঘটনা নিয়ে কোন কথা বলেন না।
পার্বত্য অঞ্চলের যে নাজুক পরিস্থিতি তা নিয়েও কেউ মাথা ঘামায়না। অথচ কেউ কেউ এ সব নিয়ে বিরূপ প্রচারণা চালায়। এ সব পরিহার করে পাহাড়ের সংকট
নিরসনে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
পার্বত্য এলাকায় সরেজমিনে এসে পরিন্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্যও তিনি দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আহবান জানান।