মঙ্গলবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » আমন ধান ওঠার পরও কুষ্টিয়ায় চালের মূল্য বৃদ্ধি
আমন ধান ওঠার পরও কুষ্টিয়ায় চালের মূল্য বৃদ্ধি
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: চলছে আমনের ভরা মৌসুম। কুষ্টিয়ায়, অধিকাংশ মাঠ থেকে ধান কেটে তোলা হয়েছে কৃষকের ঘরে। এই সময় সাধারণত চালের দাম নিম্নমুখী থাকার কথা। কিন্তু, গত এক সপ্তাহ ধরে চালের দাম খুচরা বাজারে বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে। বিক্রেতারা বলছেন, মিলাররা সব রকম চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা করে বাড়িয়েছে। যার ফলে তাদেরকে বেশি দামেই চাল কিনে তা আবার বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে, ধানের ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। এ ব্যাপারে চালকল মালিকরা বলছেন, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে গাড়িতে ধান আনা এবং চাল বাইরে পাঠানো দুটোর খরচই বেড়ে গেছে। সেই সাথে সব ধরনের ধানের দামও বেড়েছে মণ প্রতি ৫০ থেকে ১শ’ টাকা, তার প্রভাবই পড়ছে চালের বাজারের ওপর। ধানের দাম না কমা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তারা। কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে, মোট ৮৮ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন চাষীরা।
কুষ্টিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত
কুষ্টিয়া :: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণ করেছে জাতি। আজ ১৪ ডিসেম্বর সকাল থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুষ্টিয়াসহ পাঁচটি উপজেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং বঙ্গবন্ধু মুর্যালে মুরালে ফুল নিয়ে উপস্থিত হন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা ১৯৭১ সালে দেশের জন্মলগ্নে শহীদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এ সময় ’৭১-এ পরাজিত শক্তির উত্তরসূরিরা এখন ‘নব্য রাজাকারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানছে মন্তব্য করে তাদের রুখে দেওয়ার ডাক দেওয়া হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি থেকে। মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধের প্রত্যয় উচ্চারিত হয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কণ্ঠে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তক অর্পণের কর্মসূচি ছিল। ছিল শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন, শোকযাত্রা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি। ভোরের আলো ফোটার আগেই মানুষের ঢল নামে। শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুস্পমাল্য অর্পন করেন জেলা প্রশাসক মোহাঃ সাইদুল ইসলাম। এরপর জেলা পুলিশ খাইরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।