সোমবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠি সদর হাসপাতালেচিকিৎসক ও ব্রাদারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালেচিকিৎসক ও ব্রাদারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও ব্রাদারের বিরুদ্ধে চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মৃত রোগীর স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার বাসিন্দা ও বড় বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাঁর বড়ভাই কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন শহরের বড় বাজারে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তমাল হালদার ও ব্রাদার সমর চক্রবর্তী ফারুক হোসেনের প্রেসার মেপে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বলে জানায়। ওই চিকিৎসক ও ব্রাদার তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে অনেকক্ষণ হাসপাতালে বসিয়ে রাখেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ করা হলে ডাক্তার ও ব্রাদার তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ফারুককে প্রেসার কমার কোন প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে বরিশালে রেফার করেন ওই চিকিৎসক। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মৃতের পরিবার অভিযোগ করেন, ফারুক হোসেনকে দ্রুত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও ব্রাদার চিকিৎসায় কোন গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি প্রাথমিক চিকিৎসাও তাঁরা করেনি। উল্টো তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। চিকিৎসা অবহেলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাই ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ওই চিকিৎসক ও ব্রাদারের বিচার দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৃত ফারুক হোসেনের বাবা মো. লাল মিয়া, বড় বোন জ্যোসনা বেগম, ভগ্নিপতি নূর ইসলাম, শ্বশুর আবু বিশ্বাস, ফারুকের মেয়ে জুই ও জুথি।
মৃতের বোন জ্যোসনা বেগম বলেন, আমার ভাই ফারুক হোসেনের স্ত্রী চার বছর আগে দুটি কণ্যা সন্তান রেখে মারা যান। মেয়েদের দেখাশুনা করতেন ওদের বাবা। চিকিৎসকের অবহেলায় ওদের বাবারও মৃত্যু হলো। এখন মেয়ে দুটি এতিম হয়ে গেলো। এ মৃত্যুর জন্য দায়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তমাল হালদার ও ব্রাদার সমর চক্রবর্তী। আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ডা. তমাল হালদারের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারো কাছে কোন বক্তব্য দেব না।