মঙ্গলবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » বস্তাপ্রতি চালের দাম তিন-চার শত টাকা বৃদ্ধিতে খেতমজুর ইউনিয়নের তীব্র ক্ষোভ
বস্তাপ্রতি চালের দাম তিন-চার শত টাকা বৃদ্ধিতে খেতমজুর ইউনিয়নের তীব্র ক্ষোভ
খেতমজুর ইউনিয়ন এর সভাপতি সাইফুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আকবর খান আজ গণমাধ্যমে বিষয়গুলো এক বিবৃতিতে হঠাৎ করে বস্তাপ্রতি চালের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ শত বৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন কৃত্রিম সংকট তৈরী করে সংগঠিত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিকভাবে চালের এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে চলেছে। তারা বলেন, বাজারে চালের সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই।যতটুকু ঘাটতি ছিল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করে তা মেটানো হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ভরা মৌসুমে ও পর্যাপ্ত মজুদ থাকা অবস্থায় চালের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কোন কারণ নেই।তাছাড়া আমন ধানও এখন উঠতে শুরু করেছে।মুনাফালোভী সিণ্ডিকেট চক্র যা খুশী তাই করে চলেছে। বাজারে কোন ধরনের মনিটরিং না থাকায় আমদানিকারক ব্যবসায়ী, মিলারসহ মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা রীতিমতো বেপরোয়া। মানুষকে এরা জিম্মি করে ফেলেছে। এদের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত সরকারকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তারা বলেন, বাজারে গেলে মনে হয়না দেশে কোন সরকার আছে।
তারা উল্লেখ করেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা চালসহ খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে।এখন আবার আমদানি বন্ধের অজুহাত দিয়ে খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। এরা যেন সরকারের মধ্যে আর এক সরকার।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধি শ্রমজীবী মেহনতী সাধারণ মানুষের জীবনে নতুন বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। দেশের পাঁচকোটি মানুষ এখন চরম অসহায় জীবন যাপন করছে।তাদের খ্যদ্যগ্রহন কমে গেছে।
নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটসমূহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, কার্যকরিভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং চালসহ খাদ্যদ্রব্যের দাম কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে তারা গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করারও দাবি জানান।