মঙ্গলবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে ইলিয়াস আলীকে নিয়ে ‘কুটুক্তি’ করলেন বিএনপি নেতা ধলা মিয়া
বিশ্বনাথে ইলিয়াস আলীকে নিয়ে ‘কুটুক্তি’ করলেন বিএনপি নেতা ধলা মিয়া
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ‘আমি এম ইলিয়াস আলী অথবা তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনার নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচন করবোনা। গত তিনবারও তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ও বিএনপির পরিচয় দিয়ে ইউনিয়নবাসীর কাছে ভোট চাইনি।
এবারের নির্বাচনেও আমি বিএনপি অথবা তাদের পরিচয়ে নির্বাচন করবোনা। বর্তমানে আমি আমার বাবার পরিচয়ে নির্বাচন করবো।
নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী ও তার পরিবারকে নিয়ে এমন বাজে মন্তব্য করলেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (শোক’জ প্রাপ্ত বিএনপি নেতা) ও লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারে চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া।
অথচ গত ২০১৬ সালের ইউনিয়ন নির্বাচনে তিনি ইলিয়াসপত্নী লুনা’র আশির্বাদ ও বিএনপির সমর্থন নিয়েই ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে তার অনেক জনসভায় ভোটও চেয়েছেন লুনা। আগমী ইউনিয়ন নির্বাচনেও তিনি ইউনিয়নবাসীর চাপে প্রার্থী হবেন বলে জানান।
শনিবার ষষ্ট ধাপের তফসিলে উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর ৩১ জানুয়ারী এদুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে।
ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবেনা, আপনি কি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন? জানতে চাইলে প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে এম ইলিয়াস আলী তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনাকে নিয়ে এমন বাজে মন্তব্য করেন কবির হোসেন ধলা মিয়া।
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, তিনি দল থেকে বহিস্কৃত একজন নেতা। গত উপজেলা নির্বাচনে শোকজ করা হলেও তিনি এর কোনো জবাব দেননি।
তাই কবির হোসেন ধলা মিয়া ছাড়া খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী দেয়া হবে কিনা সেটা জেলা বিএনপির নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে দুই ইউপিতে বিএনপির দূর্গে হানা দিতে প্রস্তুত দুই তরুণ
বিশ্বনাথ :: বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। তারুণ্যের সম্মিলিত শক্তি একটি সমাজের আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে।
নিজের এলাকায় এমন পরিবর্তন আনতে দীর্ঘ একযুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্বনাথের দুই তরুণ।
একজন উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রত্যাশী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুহিবুর রহমান সুইট।
আরেকজন লামাকাজি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রত্যাশী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ফয়ছল আহমেদ।
বয়সে তারা তরুণ হলেও বিগত একযুগ ধরে ভোটারদের মন জয় করতে নিজ নিজ এলাকায় মানুষের পাশে থেকে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আর্থমানবতার সেবায় কাজ করেছেন।
এবার তারা উপজেলার এই দুই ইউনিয়নে বিএনপির দুর্গে হানা দিতে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নিতে চান। ইতিমধ্যে তারা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুজনের প্রাথমিক ভাগ্য নির্ধারন করবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতারা।
জানা গেছে, উপজেলার ১নং লামাকাজি ও খাজাঞ্চি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবত প্রতিটি ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যানরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এই দুই ইউনিয়নে যেন ভোটের দূর্গ গড়ে তুলেছে বিএনপি।
এই দূর্গ ভাঙ্গতে তরুন নেতৃত্বের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতারা বলছেন, এবার বিএনপি ইউনিয়ন নির্বাচন বর্জন করেছে।
তাই বিএনপির ধানের শীষ প্রতিক থাকছেনা। তবুও সতন্ত্র হয়ে বিএনপির নেতারা নির্বাচন করবেন।
আওয়ামী লীগের এই সুযোগ কাজে লাগাতে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়ার বিকল্প নাই বলে মনে করছেন তারা।
লামাকাজি ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ফয়ছল আহমেদ বলেন, বিগত দিনে ইউপি সদস্য থাকাকালীন সময়ে আমার ওয়ার্ডসহ পুরো ইউনিয়নে মানুষেসেবা ও কল্যানে কাজ করেছি।
আশা রাখি আমার কাজের মুল্যায়ন দিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা আমাকে নৌকার মনোনয়ন পেতে সহযোগিতা করবেন।
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতিক নৌকা পেলে বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
২নং খাজাঞ্চি ইউনিয়নে নৌকা প্রত্যাশি মুহিবুর রহমান সুইট বলেন, বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রত্যাশি ছিলাম। গত একযুগ ধরে এলাকার মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম।
এবার নোকা প্রতিক পেলে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে দেখিয়ে দিব তরুনরাই পারে বদলে দিতে।
তিনি তার প্রতি দয়া করতে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে অনুরোধ জানান।
যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে, তারা কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হতে পারে না : এমপি আমু
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে, স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে যারা জোট করে, সরকার গঠন করে, তারা কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হতে পারে না।
তিন বলেন,আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। রাজনৈনিতক ভাবেই সব ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে জেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ব্যারিষ্টার সুমাইয়া হোসেন অদিতি জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার আগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।