বুধবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রুমায় স্যাপলিং কর্মসূচীর ক্লোজআউট সভা
রুমায় স্যাপলিং কর্মসূচীর ক্লোজআউট সভা
রুমা প্রতিনিধি:: পার্বত্য শান্তি চুক্তির আগে কোনো সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো এনজিও কাজ করার সুযোগ ছিলনা। প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতায় ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির হওয়ার কারণেই এ অঞ্চলে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে এনজিওগুলো। তাই এনজিও-র সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে এ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থাকতে হবে। বান্দরবানের রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি উহ্লাচিং মারমা প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বুধবার ২২ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্যাপলিং কর্মসূচীর ক্লোজআউট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন শিবলী। তিনি বলেন সরকার নানা কর্মসূচী হাতে নিয়ে জনগনের সেবা করে যাচ্ছে। সারা দেশে যাদের জায়গা জমি ও ঘর নাই, তাদের জন্য আট লক্ষ ঘর করে নিয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে সারা দেশে দুই লক্ষ পরিবারকে ঘর করে দেয়া হয়েছে। ইউএনও মামুন শিবলী আরো বলেন ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রথম কাতারে আছে, বাংলাদেশ সেই কাতারে পৌছে যায় এ লক্ষে কাজ করছে সরকার। তাই এনজিওরাও সরকারকে সহযোগিতা হিসেবে নানা উদ্যোগ নিয়ে উন্নয়নের কাজ করছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বামংপ্রু মারমা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবীব উল্লাহ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মংসিংনু মারমা, পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা, গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেনরত ম্রো ও স্যাপলিং কর্মসূচীর মা, শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিচালক ডা. অংসাজাই মারমা। সভার শুরুতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিগত ৬ বছরে টেকসই কৃষি, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতায় সম্পাদিত কাজের ধারাবাহিক উপস্থাপন করেন- হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষন পরিচালক রোজেনা বেগম ও স্যাপলিং কারিতাসের ব্যবস্থাপক প্রিয়াংকা নাথ। স্যাপলিং ফেসআউট কর্মসূচীর সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন , হেলেন কেলার ইন্টার ন্যাশনাল (এইচকেআই) লাইপলী হুডের উপদেষ্টা মো. জাহিদুল ইসলাম, এম এ্যান্ড ই ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ আক্তার, রুমা প্রেসক্লাবের সভাপতি শৈহ্লা চিং মারমা, উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া গ্রাউসের প্রকল্প সমন্বয়ক বেনেডিক্ট ত্রিপুরা, কোলাদি মৌজা হেডম্যান শৈচিংথুই মারমা, ও চনুমং মাস্টারসহ সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বিভিন্ন উপকাভোগিরা এ সভায় অংশ গ্রহন করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানায় আউসএ্যাড অর্থায়নে হেরেন কেলার ইন্টরন্যাশনাল পরিচালনায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে ছয় বছর মেয়াদে বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় কৃষি, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ আরো কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে স্যাপলিং কর্মসূচী শুরু হয়। ছয় বছরে কর্মসূচী শেষ করবার লক্ষ্যে এ ফেসআউট সভা আয়োজন করে স্যাপলিং। স্যাপলিং কর্মসূচীর মা, শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিচালক ডা. অংসাজাই মারমা বলেন স্যাপলিং কর্মসূচী এ পর্যায়ে শেষ হলেও চিন্তার কোনো কারণ নাই। আগামী বছর থেকে পুষ্টিসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে আমেরিকার সাহায্য সংস্থার আউসেএ্যাড (এইউএআইডি)আবারে টানা ছয় বছর নিয়ে কাজ করবে। এ কর্মসূচীর আওতায় দেশের অন্যান্য জায়গার মতো তিন পার্বত্য জেলাতেও কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ডা. অংসাজাই মারমা। উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা তাঁর বক্তৃতায় ২০১৮ সালে বন্যায় ব্যাপক সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার স্যাপলিং কর্মসূচী থেকে নগদ অর্থসহ নানাভাবে সহযোগিতা পেয়েছিল। কর্মসূচিটি থাকলে দুর্যোগ সময়ে স্থানীয়রা আরও সহযোগিতা পেতো। তবে আমাদের অজান্তে স্যাপলিং কর্মসূচী শেষ হয়ে গেল এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আবারও পার্বত্য এলাকায় কাজ করবার উদ্যোগ নেয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন ডা. অংসাজাই।