বুধবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ডাঃ মুরাদ হাসানসহ ২ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আদালতে মানহানি মামলা
ডাঃ মুরাদ হাসানসহ ২ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আদালতে মানহানি মামলা
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাস হাসান এমপি সহ দুইজনের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম ও আইন জীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিলন বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন, ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি ও তার সহযোগী মুহাম্মদ নাহিদ হেলাল জিয়াউর রহমান ও পরিবারের কনিষ্টতম সদস্য ব্যরিষ্টার জাইমা রহমানকে সামাজিক ও ব্যক্তিগত ভাবে অপমান অপদস্থ করার জন্য ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে করে জিয়া পরিবারের সাথে সাথে সমগ্র নারী সমাজের মানহানি এবং অপমান করা হয়েছে। আসামীরা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ঘৃনা বিদ্বেষ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। ফলে ১৮৬০ সনের পেনাল কোডের ১৫৩-ক/৫০৫-ক/৫০৯ ধারার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ৪জন আইনজীবীসহ অনেকের স্বাক্ষী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক তানিয়া বিনতে জাহিদ মামলাটি গ্রহন করেছেন।
জমি নিয়ে বিরোধ : কোটচাঁদপুরে যুবককে জবাই করে হত্যা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কপোতাক্ষ নদী ধার থেকে রিয়াদ খান (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দুপুরে কোটচাঁপুর উজেলার কপোতাক্ষ নদীর ধারে ঝিনু মিয়ার বাগান বাড়ীর পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রিয়াদ খান কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের সলেমান আমীন খানের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে কপোতাক্ষ নদীর ধারে ঝিনু মিয়ার বাগান বাড়ীর পাশে রিয়াদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মঈন উদ্দীন জানান, রিয়াদ খান কোটচাঁদপুরে একটি রাইচ মিলের শ্রমিকের কাজ করতো। মঙ্গলবার রাতে রাইচ মিলের কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে নিয়ে কপোতাক্ষ নদীর ধারে ঝিনু মিয়ার বাগান বাড়ীর পাশে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। পরে দুপুরে খবর নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার অভিাযান রয়েছে। এদিকে সলেমান আমিন অভিযোগ করে বলেন- একটি জমি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো এলাকার শাহাদৎ খানের ছেলেদের সাথে। তারাই আমার ছেলেকে খুন করেছে। শাহাদৎ খানের ছেলেদের সাথে জমি নিয়ে বেশ কয়েক বার গোলযোগ হয়। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে এটা আমি আগে থেকেই আঁচ করেছিলাম। সে কারণে রিয়াদকে সন্ধ্যার পর বাইরে থাকতে নিষেধও করেছিলাম। ঘটনার রাত ৭টার দিকে রিয়াদ পার্শ্ববর্তী সাইন বোর্ড মোড়ে অবস্থিত আমার রাইচ মিল থেকে বেরিয়ে যায়। সে বাড়ীতে না আসায় রাত ৮টার দিকে তিনি রিয়াদকে ফোন করেন। সে সময় রিয়াদ বলে অল্প সময়ের মধ্যে সে বাড়িতে ফিরবে। তার ঘণ্টা খানেক পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে (বুধবার) এলাকার লোকজন কপোতাক্ষ নদের পাশেই হাঁটু পানিতে জবাই করা ও মাথা কোপানো অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহায়মেনুল ইসলাম, ওসি মইনুদ্দীন, ওসি (তদন্ত) ইমরান আলম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহায়মেনুল ইসলাম বলেন, এ হত্যাকারীদের সনাক্তকরা খুব একটা কঠিন হবেনা। আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। দ্রুতই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।