শুক্রবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ২০২১ সালে ঝিনাইদহের আলোচিত খবর
২০২১ সালে ঝিনাইদহের আলোচিত খবর
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: করোনা মহামারি ধাক্কা কিছুটা সামলিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহ। করোনা মহামারির পর ঝিনাইদহের সব চেয়ে আলোচনার বিষয় ছিল সীমান্ত পারাপার, সড়ক দুর্ঘটনা আর নির্বাচন। ছিল হত্যা, হামলা, মামলা, ভাঙচুরের মতো ঘটনা। যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শৈলকুপা উপজেলা। এছাড়াও বছরের শেষের দিকে আলোচনায় আসে কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলায় ইউপি নির্বাচন। বছরজুড়ে ঝিনাইদহের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো। ঝিনাইদহে বছরের প্রথম আলোচিত ঘটনা ঘটে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি। জেলার শৈলকুপার মদনডাঙ্গা এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আলমসাধুর (থ্রি-হুইলার) ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক। একই সময় চলছিল শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন। সেদিন রাতে ১০টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ছোট ভাই। দিনগত রাত ২টার দিকে প্রতিপক্ষ আলমগীর খান বাবুর মরদেহ শৈলকুপার কুমার নদ থেকে উদ্ধার করা হয়। ১০ ফেব্রয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলার যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে বারবাজার তেলপাম্প এলাকায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১২ জন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগ মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী। মার্চ মাসজুড়ে বড় কোনো আলোচিত ঘটনা না ঘটলেও ছিল হত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবর। ছিল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার ঘটনা। এপ্রিলের শুরুতেই আলোচনায় ছিল শৈলকুপার আউশিয়া প্রামের ক্ষীর্ণকায় এক নারী ও পুরুষের বিয়ের খবর। ৩০ বছর বয়সী ৪০ ইঞ্চি উচ্চতার ছেলে আর ১৮ বছর বয়সী ৪২ ইঞ্চি উচ্চতার দু’জনের বিয়ের ঘটনা ছিল বেশ আলোচিত। আবার তাদের বিচ্ছেদের খবরটিও দেশে ভাইরাল হয়। ওই মাসেই শৈলকুপায় ঘটে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের ঘটনা। ধর্ষণের শিকার হয় এক প্রতিবন্ধী নারী। আর দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন। মে মাসে আলোচনায় ছিল সড়ক দুর্ঘটনা আর ভারত সীমান্ত থেকে অবৈধ পারাপারের ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন কলেজ ছাত্রসহ চারজন, আহত হন সংসদ সদস্যও। হত্যার ঘটনাও ঘটে কয়েকটা। জুলাই মাসে আবারও চোখ রাঙাতে শুরু করে মহামারি করোনা। ১৫ দিনে করোনায় মৃত্যুবরণ করে অর্ধশত মানুষ। মাসজুড়ে ছিল হত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মতো ঘটনাও। অক্টোবরের শুরুতেই আলোচনায় ছিল ঝিনাইদহ আদালতের মালখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা। মালখানায় বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এক নির্মাণ শ্রমিকের দেহ। ওই ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন। এছাড়াও শৈলকুপাতে ঘটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ। শৈলকুপা উপজেলার কামান্না ও বারইহুদা গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হন। সেসময় ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ৩০টি বাড়িঘর। পরের মাসে নির্বাচন শুরু হলে আলোচনায় আসে জেলার মহেশপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। বিশেষ করে আলোচনার জন্ম দেয় কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী নজরুল ইসলাম ঋতুর নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচনী আমেজের মাঝেও বাড়তি আমেজ ছিল ওই ইউনিয়নে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম সানাকে দ্বিগুণ ভোটে হারিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও আলোচনায় ছিল ডায়রিয়ার প্রকোপ। শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড তিন দিনের ব্যবধানে প্রায় ৩০০ মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। কয়েকদিনের ব্যবধানে তা ছড়িয়ে পড়ে সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। ১৫ দিনে আক্রান্ত হয় দেড় হাজারের বেশি মানুষ। চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হলে আবারো আলোচনায় আসে শৈলকুপা। এ উপজেলার সারুটিয়া, হাকিমপুর, দিগনগর ইউনিয়নের শুরু হয় হামলা, পাল্টা হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও লুটপাট। একইসঙ্গে জেলা সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের টিকারী বাজারে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। সংঘর্ষের দৃশ্য দেখে হৃদরোগে আক্রন্ত হয়ে এক মেম্বর প্রার্থীর মৃত্যু ঘটে। আহত হন এক পুলিশ কর্মকর্তা। শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় ১০টি মোটরসাইকেল, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় অন্তত ৪৫টি বাড়িঘর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খুলনা থেকে আনা হয় পুলিশ সদস্যদের। অসময়ে বৃষ্টিপাত জেলা জুড়ে কৃষকদের দুর্ভোগে ফেলে। মাঠের ধান নিয়ে কৃষককুল হাফিয়ে ওঠে। তাছাড়া অনেক ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২৬ ডিসম্বের ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির ঘটনা আলোচনার মাত্রা যোগ করে। নির্বাচনে ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করে। নৌকা প্রতিক নিয়ে পাশ করেন ৫ জন। তাছাড়া বছরজুড়ে ছিল সংর্ঘষ, হত্যা, ধর্ষণ, সড়ক দুর্ঘটনার মাঝেও ঘটেছে ভালো কিছু ঘটনা। ভালো খবরের মধ্যে জেলা জুড়ে ইউনিয়ন পরিষদের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার নির্বাচনকে শান্তিপুর্ন ও নিরপেক্ষ করতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করেন। তাছাড়া ১২৩ ফুট উচ্চতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন করে ভালোবাসার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে কালীগঞ্জের ডা. রাশেদ শমসের। বছরের মাঝামাঝিতে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখার পরও শেষ সময়ে মৃত্যু শূন্য ছিল এ জেলায়। কৃষিতেও গত বছরের চেয়ে এগিয়ে সীমান্তবর্তী এ জেলাটি। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি আমন ধানের আবাদ করা হয়েছিল। ছিল ধান, পাট ও পেঁয়াজের বাম্পার ফলন।
পরিকল্পিত ভাবে কোটচাঁদপুরে সাংবাদিককে হত্যা চেষ্টা, অভিযোগের পরেও আসামিরা গ্রেপ্তার নেই
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হাসপাতাল মোড় এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় কোটচাঁদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রমজান আলী (৩২) নামে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম করে হত্যা চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত সাংবাদিক মোঃ রমজান আলী কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের গাবতলা পাড়ার আবুল খায়েরের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (২৯শে ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতাল মোড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক রমজান আলী জানান গত ২৯শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খবর আসে জমাজমি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় এলাকার সাফা উদ্দীন নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানঘর অবৈধ ভাবে ভাংচুর করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং দোকান ভাংচুরকারী ফয়েজ আলী মন্ডলের ছেলে তোয়াজ উদ্দীন ও তায়াজ উদ্দীনের ছেলে শাহারিয়ার পারভেজ এর সাথে কথা বলতে গেলে এক পর্যায়ে তারা বাপ ছেলে তরিকুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ফারুক হোসেন পরিকল্পিত ভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ফারুক হোসেন আমাকে জাপটে ধরে রাখে এবং শাহারিয়ার পারভেজ একটি কাঠের বাটাম তুলে আমার মাথার পিছনে কপালে ও হাতে পায়ে এবং একের পর এক আঘাত করে রক্তাত্ত জখম করে আমাকে হত্যা চেষ্টা করে। এঘটনার পর আমার আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমার মাথায় ৫টি সেলায় দেয়া হয়েছে। বাম হাতের একটি আঙুল ভেঙে গেছে এবং হাতে পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত রয়েছে। আহত সাংবাদিক রমজান আলী আরো জানান তাকে হত্যা চেষ্টা করার পরেও কোটচাঁদপুর মডেল থানায় তার মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি। অথচ আমাকে পিটিয়ে জখম করে আসামিরা কোটচাঁদপুর থানায় আমার নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির দায়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। কারন আসামিরা প্রভাবশালী, তাই আসামিদের বিরুদ্ধে আমার মামলাটি গ্রহণ কার হয়নি। শুধুমাত্র অভিযোগ আকারে আমার মামলাটি গ্রহন করা হয়েছে। সাংবাদিক রমজান অভিযোগ করে বলেন অজ্ঞাত কারনে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ আসামিদের বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছে। এদিকে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক সমাজ দাবি করে বলেন আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার কার্যকর করা হোক। এবিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মঈন উদ্দিন জানান আমরা দু’পক্ষ থেকে দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। দুইটি অভিযোগই তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
৩ জন পৌর ট্রাফিক পুলিশের পাশে দাড়ালেন ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠান জাহেদী ফাউন্ডেশন
ঝিনাইদহ :: সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পৌরসভার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করেন ট্রাফিক পুলিশ মিজানুর রহমান। তার বাড়ী ঝিনাইদহ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে খাজুরা গ্রামে। চাকুরিতে জয়েন করেছেন ২০০৯ সালে। গত ১৩ বছর ধরে বেতন পান মাত্র ৫হাজার টাকা। কিভাবে সংসার চালান আর কিভাবেইবা যাতায়াত করেন আল্লাহই ভালো জানে বলে জানালেন তিনি। সংসারে স্বচ্ছলতা বলতে কী বোঝায় কোনকালেই তিনি চোখে দেখেননি। অন্যদুজন, ফতেহ আলী হোসেন বাড়ী আনসার ক্যাম্প ও বারেক আলী বসবাস করেন ব্যাপারী পাড়ায়। দুজনেরই একই হাল। শুধুই দারিদ্রতা ও অপ্রাপ্তির কথা তাদের চোখে মুখে। এ অবস্থায় এমন অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে ঝিনাইদহ ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠান জাহেদী ফাউন্ডেশন। তাদের যাতায়াত সহজীকরণ করতে জাহেদী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৩টি বাইসাইকেল প্রদান করা হয়েছে। ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডঙ্গা রোডে অবস্থিত জাহেদী ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কার্যালয়ে এ সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাহেদী ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়ক তবিবুর রহমান লাবু, ইউনুস আলী, মাসুদুর রহমান রানা, ওয়ালিদ হোসেন, আসমা জামান তপতীসহ অণ্যান্যরা। বাইসাইকেল পেয়ে মিজানুর রহমান, ফতেহ আলী হোসেন ও বারেক আলী আনন্দ প্রকাশ করেন। জাহেদী ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়ক তবিবুর রহমান লাবু বলেন জাহেদী ফাউন্ডেশন সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জাহেদী ফাউন্ডেশনে চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল মানুষকে ভালোবেসে সবসময় মানুষের জন্য কিছুনা কিছু করতে চান।
গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মহেশপুরে চা দোকানীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক চা দোকানিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি উপজেলা শহরের কুলতরা বাজারের চা দোকানি ইমামুল হক ইমা। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কোটচাঁদপুর-মহেশপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, বাজারে নিজের দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন ইমামুল হক। রাত ১২টার দিকে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সকালে ঘটনা জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কয়েক দিন আগে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ হয়েছিল ইমামুলের। ধারণা করা হচ্ছে তার জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম জানাতে অস্বীকার করেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শৈলকুপায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত সেই যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুত্বর আহত যুবলীগ কর্মী স্বপন শেখ ১৪ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শৈলকুপা শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় শৈলকুপা উপজেলা হাসপাতালের সামনে চায়ের দোকানে স্বপন (৩৫) ও রাব্বি (৩০) নামের দুই যুবলীগ কর্মী বসে ছিল। এমন সময় ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল রামদা , চাইনিজ কুড়াল সহ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ ও করিডোরে ঢুকে পড়লে সেখানেও তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে যায়। মুমুর্ষ অবস্থায় স্বপন কে প্রথমে শৈলকুপা পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় । সেখানে ১৪ দিন আইসিইউতে থাকার পর আজ ভোরে তার মৃত্যু ঘটে। এই হামলার পর ১৮ ডিসেম্বর ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টার মামলা হয়। তবে মামলার আসামীরা জামিনে রয়েছে। শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আহত স্বপন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে । আগের মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত স্বপন শেখ(৩৫) শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের মৃত আহাম্মদ শেখের ছেলে।