শুক্রবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে চেতনানাশক স্প্রে করে বাড়িতে দুর্র্ধর্ষ চুরি
ঘোড়াঘাটে চেতনানাশক স্প্রে করে বাড়িতে দুর্র্ধর্ষ চুরি
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চেতনানাশক উপাদান স্প্রেরের মাধ্যমে বাড়ির লোকজনকে অজ্ঞান করে ৫ ভরি স্বর্ণের গহনা সহ মূল্যবান জিনিসপত্র চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। এই চুরির ঘটনায় একজন মহিলা সহ ৫ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের শ্রী কালিদাস চন্দ্র মহন্তের বাড়িতে। এই ব্যাপারে কালিদাস চন্দ্র মহন্তের ছেলে শ্রী সুজিত কুমার শুভ বাদী হয়ে ৩০ ডিসেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় ৫ জনকে এজাহার নামীয় ও আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায় করেছেন।
এই চুরির ঘটনায় আটকরা হলো গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর উপজেলার পশ্চিম মির্জাপুর গ্রামের মৃত- কলিমুদ্দিনের পুত্র মোজাম্মেল অরফে ফাটুল (৪১), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের দারাজ উদ্দিনের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), ঘোড়াঘাট উপজেলার ঋষিঘাট গ্রামের মৃত- দিলজারের পুত্র তাহেরুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামের আদেক আলী অরফে সাদেক আলীর পুত্র সাবু মিয়া (৩৮) সহ লালমাটির গ্রামের চামেলি বেগম (৪০)।
বাদীর দাখিলকতৃ এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনা রাতে পরিবারের লোকজন খাওয়া-দাওয়া শেষে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর ৪ টার দিকে বাদী ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে দেখতে পায় অন্যান্য ঘরের দরজা খোলা এবং বিভিন্ন মালামাল মেঝেতে ছিটানো। বাদী বাড়ির লোকজনকে ডাকাডাকি করে উঠালে সকলে আবারও ঘুমের ঘোরে দুলতে থাকে। একটু স্বাভাবিক হলে দেখেন বাদীর বোনের বিবাহের জন্য বানানো ৫ ভরি স্বর্ণের গহনা আলমারির তালা ভেঙ্গে বের করে নিয়েছে। পাশাপাশি আরো কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে।
এই ঘটনায় বাদী স্থানীয় ইউ. পি সদস্য আজাদুল ইসলাম সহ অপরাপর লোকজন নিয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে নিয়ে আসে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই চুরির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। স্থানীয় ইউ. পি সদস্য আজাদুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় একই কায়দায় ১০-১২ টির চুরির সংঘটিত হয়েছে। ২-১ টির নামে থানায় মামলাও হয়েছে।
এই ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবু হাসান কবিরের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং জানান জড়িতদের ৫ জনকে আটকের পর ৩১ ডিসেম্বর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো চক্রটি ধরার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।