শনিবার ● ১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার একই সূত্রে গাঁথা : নাসির উদ্দীন বুলবুল
বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার একই সূত্রে গাঁথা : নাসির উদ্দীন বুলবুল
রাঙামাটি :: ওয়ার্ল্ড পীস এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব নাসির উদ্দীন বুলবুল বলেন,বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের অধিকারবঞ্চিত জনগণের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার একই সূত্রে গাঁথা। এ কারণেই তিনি বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান নাসির উদ্দীন বুলবুল।
ওয়ার্ল্ড পীস এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটি,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখার উদ্যোগে ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে,২০২১ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বিজয় দিবস এবং মুজিব শতবর্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০২১ উপলক্ষে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও দুঃস্থদের শীতবস্ত্র উপহার অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে নাসির উদ্দীন বুলবুল একথা বলেন।
ওয়ার্ল্ড পীস এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটি,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখার সভাপতি অরূপ মুৎসুদ্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ঢাকা’র সদস্য চিং কিউ রোয়াজা, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী মো. কামাল উদ্দীন, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, অনুষ্ঠানের আহবায়ক সুফিয়া কামাল ঝিমি, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ রাঙামাটি জেলার সভাপতি দীপন কান্তি ঘোষ, কবিতা ত্রিপুরা কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মিসেস শিমুল বড়ুয়া, সদস্য সচিব রবিন্দ্র নাথ মাষ্টার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা এক এবং অবিচ্ছেদ্য। তিনি ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। সাধারণ মানুষের হূদয়ের গভীরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত
কথা, আশা ও আকুলতা, তা-ই তাকে টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু পরিচয় দিয়েছে। আজীবন সংগ্রামী বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শনই ছিল শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা সংবর্ধনা এবং সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন-১. বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন, ২. বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ৩. বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল শুক্কুর তালুকতার, ৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, ৫. বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চৌধুরী, ৬. বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া, ৭. বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা, ৮. বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, ৯. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল আমীন, ১০. বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্ণেল (অবঃ) মনীষ দেওয়ান, ১১. বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল কান্তি বড়ুয়া, ১২. বীর মুক্তিযোদ্ধা বন কুসুম বড়ুয়া, ১৩. বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম, ১৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা রনজিৎ কুমার বড়ুয়া ১৫. বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, ১৬. বীর মুক্তিযোদ্ধা রনজিৎ কুমার বড়ুয়া, ১৭. বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্ত রঞ্জন দাশ, ১৮) বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকুল রতন বড়ুয়া, ১৯. বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁন্দু বড়ুয়া, ২০. বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল কাদের, ২১. বীর
মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার দাশ, ২২. বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু লাল দাশ, ২৩. বীর মুক্তিযোদ্ধা সুধীর কান্তি মজুমদার, ২৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার (অবঃ) ছৈয়দ আলী, ২৫. বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুন মগ, ২৬. বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হক, ২৭. বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল মগ, ২৮. বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহমেদ, ২৯. বীর মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ রায় বড়ুয়া, ৩০. বীর মুক্তিযোদ্ধা ফনি ভুষন দে, ৩১.বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকুমার মুৎসুদ্দী, ৩২. বীর মুক্তিযোদ্ধা বরকত উল্লাহ্, ৩৩. বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মিয়া, ৩৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মফিজুল আলম এবং ৩৫. বীর মুক্তিযোদ্ধা অমরেন্দ্র ভট্টাচার্য।
“করোন” যোদ্ধা হিসাবে ৩টি সংগঠন, ১০ জন দানশিল ব্যক্তি, সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন ১১ জনসহ মোট ৬০ জন সম্মাননা স্মারক এবং ১০০ জন শীতবস্ত্র উপহার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মিয় গ্রন্থাদি পাঠ এবং ওয়র্ল্ড পীস্’র শিল্পীদের পরিবেশনায় সকলে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।