রবিবার ● ২ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি জেলা মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নে ফের নির্বাচন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
রাঙামাটি জেলা মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নে ফের নির্বাচন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
রাঙামাটি :: ভোটে কারচুপি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে রাঙামাটি জেলা মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নে ফের নির্বাচন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাঙামাটি জেলা মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক নেতারা।
গত ২৭ডিসেম্বর জেলা মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়ন ত্রি-বার্ষিক কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে ভোট কারচুপি ,অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের দোয়েল চত্বর একটি আবাসিক হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। নির্বাচন কমিশন একটি পক্ষ নিয়ে ভোট গ্রহনসহ ভোটের রেজাল্ট নিয়ে তালবাহানা এবং ২৪ ঘন্টা পার হওয়া সত্ত্বেও ভোটের ফলাফল দিতে পারেনি। নির্বচিন কমিশনের পছন্দের প্রার্থীদেরকে জিতাতে ভোট কারচুপি ও ঝায়-ঝামেলা সৃষ্টি করছে তারা।তাই পুনঃরায় নির্বাচন দাবি করেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। মিনি ট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও এ নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী মো. রুহুল আমিন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ভোটারের সাথে ভোটের কোন মিল নাই। ভোট শেষে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা না করে নির্বাচন কমিশন ২৪ ঘন্টা পরেও ফলাফল দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। নির্বাচন কমিশন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে যথা সময়ে ফলাফল ঘোষনা করেনি। মোট ভোটার সংখ্যা-৭০২টি তার মধ্যে কাষ্ট হয়েছে ৬২২ ভোট। কিন্তু ভোট গনণা করা হয়েছে ৫৮৩ ভোট তাদের প্রশ্ন বাকি ভোট গেল কোথায়। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন অযোগ্যতার প্রমান দিয়েছে। যে আসছে নাম্বার বলে ভোট প্রদান করছে। সে কে তার কোন পরিচয় তারা নিশ্চিত করে নি। এদিকে নির্বাচন কমিশন যাকে সভাপতি ঘোষনা দিয়েছে তার ছেলে মোটরবাইক পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে। কিন্তু থানায় অভিযোগ করছে আমি রুহুল আমিন ও আমার ছেলে মিলে তাকে মারধর করেছি। এসব মিথ্যা কথা দিয়ে তারা নির্বাচনকে প্রবাহিত করতে চায়। শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কিশোর চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনের লোকজন নির্বাচনকে প্রবাহিত করছে। কমিশনের লোকজন নির্বাচনে সুষ্টু কারচুপি করা হয়েছে। লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি টাকার মাধ্যমে তাদের পক্ষে ভোট দিতে উৎসাহিত করে। নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমি পুনঃরায় রাঙামাটি জেলা মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন দাবি করেন। নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী আইয়ুব খাঁন বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেল কিন্তু এখনো নির্বাচনের ফলাফল দিতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২-৩জন লোক লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের কানে কানে বলে দিচ্ছে তাদেও পছন্দের প্রার্থীদের যেন ভোট দেন। এত বড় ব্যয় বহুল নির্বাচন কি দরকার ছিল। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে না পারলে। কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন ( আকাশ) বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশন রোমান সাহেব নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন অভিযোগ দেওয়ার পরেও হাসান এবং ইমামুল প্রকাশ্য নির্বাচনকে বাঁনচাল করে দিয়েছে। হাসান ও ইমামুলের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই। নির্বাচন যদি এ ধরনের হয় তাহলে মানুষ ভাবে নির্বাচনে যাবে বা নির্বাচন করবে। সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশন মো. শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, যথাযথ নিয়ম কানুন ও আইন মেনেই শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কোন প্রকার অনিয়ম বা কারচুপি করা হয়নি। নির্বাচনের ফলাফল ওই দিনই ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। যারা নির্বাচনে হেরে গেছে তারা তো অভিযোগ করবেই। এটা চিরাচরিত নিয়ম। কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, শ্রমিক নেতা হাসমত নামের একজন থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। তবে এব্যাপারে এখনো কোন মামলা করা হয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। ওই দিন শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।