রবিবার ● ২ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শৈলকুপায় একই ইউনিয়নে আরও এক খুন : আটক ১
শৈলকুপায় একই ইউনিয়নে আরও এক খুন : আটক ১
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় ২০ ঘন্টার ব্যবধানে একই ইউনিয়নে জসিম বিশ^াস(৩৫) নামের আরো এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামে এ খুনের ঘটনা। এ সময় মিলন(৩২) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। নিহত জসিম ভাটবাড়িয়া গ্রামে আব্দুস সাত্তার ও আহত মিলন শহিদুল ইসলামের ছেলে এবং দুজনই নৌকা প্রতীকের সমর্থক। হারান খুনের ঘটনায় খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থান ত্যাগ করার সাথে এ খুনের ঘটনা ঘটলো। জানা গেছে, ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারের আধিপত্য নিয়ে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হারান মন্ডল নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়। এ খুনের ২০ ঘন্টা যেতে না যেতেই প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হলো জসিম বিশ^াস নামের আরো এক ব্যক্তি। নিহত জসিমের ভাই মুক্তার হোসেন জানান, তার ভাই জসিম ও মিলন রাস্তায় দাড়িয়ে ছিল। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস মার্কার জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকরা তার ভাইদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সাথে সাথে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জসিম বিশ^াসকে মৃত ঘোষনা করেন এবং মিলনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জসিম ও আহত মিলন তার সমর্থক। এ ঘটনায় আনাসর মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাটবাড়িয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে জসিম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আক্রমনকারীকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান।
কোটচাঁদপুরে সাংবাদিকের সাংবাদিক সম্মেলন
ঝিনাইদহ :: পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা চেষ্টার ন্যায় বিচার ও মিথ্যা হয়রানি মূলক চাঁদাবাজি মামলা থেকে অব্যহতি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর গাবতলা পাড়ার আবুল খায়েরের ছেলে কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ভুক্তভোগী রমজান আলী। শনিবার (১লা জানুয়ারী) সকালে পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, গত ২৯শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আমার কাছে খবর আসে পৌর হাসপাতাল মোড় এলাকায় ঝিনাইদহ আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় সাফা উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানঘর অবৈধভাবে ভাংচুর করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং দোকান ভাংচুরকারী মৃত ফয়েজ আলী মন্ডলের ছেলে তোয়াজ মন্ডল এর কাছে ভাংচুর এর বিষয়টি জানতে চাইলে তোয়াজ মন্ডল ও তার ছেলে শাহারিয়ার পারভেজ আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে তারা বাপ ছেলে ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী ফারুক হোসেন মিলে আমার ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় ফারুক হোসেন আমাকে জাপটে ধরে রাখে এবং শাহরিয়ার পারভেজ ও তার বাপ তোয়াজ মন্ডল দুজনাই কাঠের বাটাম তুলে আমার মাথার পিছনে কপালে ও হাতে পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। এঘটনার পর আমার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমার মাথায় ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বাম হাতের একটি আঙুল ভেঙে গেছে এবং হাতে পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুধু হত্যা চেষ্টা করে শান্ত হয়নি, আমাকে পিটিয়ে জখম করে আসামিরা কোটচাঁদপুর মডেল থানায় আমার নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাকে হত্যা চেষ্টা করার পর আমি নিজে বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে আমার অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন আসামীরা প্রভাবশালী ও আত্মীয় স্বজনরা প্রশাসনের উদ্ধতর কর্মকর্তা হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে আমার মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি। শুধুমাত্র অভিযোগ আকারে আমার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় তিনি বলেন,হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় থেকেও বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি এবং আমার পরিবারের ওপর হত্যা, গুম ও মামলার ভয় দেখাচ্ছে আসামিরা। ইতিমধ্যে আমার ভাইয়ের বাসায় পুলিশ যেয়ে বিভিন্ন হুমকি সরুপ আচরণ করেছেন। এমতবস্থায় আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও আমাকে হত্যা চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার কার্যকর করা হোক। পাশাপাশি সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক। সাংবাদিক সম্মেলনে দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি কাজী মৃদুল, দৈনিক যশোরের কামাল হাওলাদার, দৈনিক নবচিত্রের নজরুল ইসলাম,দৈনিক যায়যায়দিনের আলমগীর খান, দৈনিক আমার দেশের মঈন উদ্দিন, দৈনিক নওয়াপাড়ার এস এম রায়হান, দৈনিক ভোরের দর্পন ও কোটচাঁদপুর রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ জামান,সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক এই আমার দেশের খন্দকার আব্দুল্লাহ বাসার, দৈনিক ভোরের সময়ের সোহেল চৌধুরী, দৈনিক নবচিত্রের শহিদুল ইসলাম, দৈনিক খুলনাঞ্চলের আশাদুল ভূঁইয়া, দৈনিক সাপ্তাহিক দিগন্ত বাণীর আরিফ হোসেন সহ স্থানীয় অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদাবাজি ও ১৩টি হত্যা মামলার আলোচিত আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্র্টির আঞ্চলীক কমান্ডার অস্ত্র-গুলিসহ আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে আবু হানিফ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৬। এসময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আবু হানিফ ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার আহাদ নগর গ্রামের মৃত রাহাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। র্যাব-৬ এর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্ত্বরে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর উদ্দ্যেশে কয়েকজন অবস্থান করছে। এসময় র্যাবের একটি দল সেখানে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়। র্যাব-৬ আরো জানায়, আটকের সময় সন্ত্রাসী আবু হানিফের কাছ থেকে একটি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, আটককৃত হানিফ এলাকায় অনেক দিন ধরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি নামে একটি চরমপন্থী গ্রুপ চালিয়ে আসছে। তার নামে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যাসহ ১৩টি হত্যা মামলা রয়েছে।
মহেশপুরে বড় ভাই’র ছোট ভাইকে হত্যার দায় স্বীকার, হাতুড়ী ও মাফলার উদ্ধার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইনামুল হক মন্ডল (৪১) নামের এক চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে ও শ^াসরোধ করা হত্যার কথা স্বীকার করেছে আপন ভাই আজানুর মন্ডল(৫০)। পুলিশের হাতে আটক নিহত ইনামুল হক মন্ডলের মেজো ভাই আজানুর মন্ডল পুরো হত্যা কন্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিক্তি পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহেশপুর থানা চত্তরে এক প্রেস ব্রিফিনে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিক্তি পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, নিজেদের জমি জমা নিয়ে বিরোধের কারনেই মেজো ভাই আজানুর মন্ডল ঘুমন্ত ছোট ভাই ইনামুল হক মন্ডলের মাথায় হাতুরী দিয়ে প্রথমে আঘাত করে। পরে দু’ভায়ের মধ্যে বেশ কিছু সময় ধস্তা ধস্তি হয়। পরে ঘাতক মেজো ভাই ছোট ভাইকে গলাই মাফলার দিয়ে পেচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে বলে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। থানা চত্তরে প্রেস ব্রিফিনে উপস্থিত ছিলেন মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,এস আই আবদুল জলিল প্রমুখ। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার রাতের কোন একসময় মহেশপুর দত্তনগর সড়কের চৌমহনী বাজারের চা বিক্রেতা ইনামুল হক মন্ডলকে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে ও শ^াসরোধ করা হত্যা করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে পুলিশ নিহত ইনামুল হক মন্ডলের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ঐদিন বিকালে ঘাতক মেজো ভাই আজানুর মন্ডলকে আটকসহ হাতুড়ী ও মাফলার উদ্ধার করে।