সোমবার ● ৩ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কুষ্টিয়া গণপূর্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর গাড়ি নিয়ে জিপ ক্লিনারের প্রমোদ ভ্রমণ
কুষ্টিয়া গণপূর্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর গাড়ি নিয়ে জিপ ক্লিনারের প্রমোদ ভ্রমণ
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: মোঃ সদর উদ্দিন, তিনি কুষ্টিয়া গণপূর্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিভাগের একজন জিপ ক্লিনার। জিপ ক্লিনার সদর উদ্দিন গত ১লা জানুয়ারি ২০২২ শনিবার সকাল আনুমানিক ৭.১৫ সময় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরীর অফিশিয়াল কুষ্টিয়া ঘ: ০২- ০০০২ নম্বরের জিপ গাড়ি নিয়ে তার পরিবার পরিজনসহ ইংরেজি নববর্ষ পালনের উদ্দেশ্যে মেহেরপুরে প্রমোদ ভ্রমণ করে ঐদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুষ্টিয়া অফিসে ফিরে আসেন। যার অফিশিয়াল সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। সদর উদ্দিন ইতিপূর্বেও একাধিকবার উক্ত গাড়ি নিয়ে পরিবার পরিজন সহ তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া-আসা করেছেন বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে। যেখানে সরকারি নীতিমালায় বলা আছে, যে কর্মকর্তার নামে গাড়ি বরাদ্দ আছে উক্ত কর্মকর্তাও তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। অথচ একজন জিপ ক্লিনার কিভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের গাড়ি নিয়ে পরিবারসহ নববর্ষ পালন উপলক্ষে প্রমোদ ভ্রমণ করে বেড়ালেন। শুধু এটাই নয়, একজন জিপ ক্লিনারের কাজ গাড়ি পরিষ্কার করা, ড্রাইভারি করা নয়। তার কোন ড্রাইভারি লাইসেন্স নাই। কিভাবে তিনি গাড়ি ড্রাইভ করে তার নিজের ব্যক্তিগত কাজে প্রমোদ ভ্রমণ করলেন। সেই সাথে মোঃ সদর উদ্দিন বিনা লাইসেন্সে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরীকে নিয়ে অফিশিয়াল কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ড্রাইভ করে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়টি জানার জন্য গণপূর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলামকে ফোন করে উপরোক্ত বিষয়টির সার্বিক তথ্য জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে প্রতিবেদককে প্রথমে জানান। পরবর্তীতে সবকিছু খুলে বলা হলে, তিনি বিষয়টি দুঃখজনক এবং অপরাধমূলক কাজ বলে উল্লেখ করেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করব এবং তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে আমরা জিপ ক্লিনার সদর উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিব। তিনি এটাও বলেন, গণপূর্ত অফিসের ড্রাইভার স্বল্পতার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন। ড্রাইভার না থাকার কারণে জিপ ক্লিনারই ড্রাইভারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ড্রাইভার স্বল্পতার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছেন এবং বিষয়টি অতি দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করেন।
জনসমর্থনে এগিয়ে কুষ্টিয়া উজানগ্রাম ইউপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী ছানোয়ার মোল্লা
কুষ্টিয়া :: আগামী ৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত নির্বাচনে ১০ নং উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ছানোয়ার মোল্লা আনারস প্রতীক নিয়ে জনসমর্থনে এগিয়ে আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার একটাই কারণ, তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত সৈনিক হিসাবে এলাকার মানুষের অন্তরে ঢুকে গেছে। তিনি ২০১৬ সালে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন না করে বর্তমান চেয়ারম্যান সাবুবিন ইসলামের পক্ষে কাজ করে তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিলেন। কিন্তু এবারও বর্তমান সরকার ছানোয়ার মোল্লাকে নৌকা প্রতীক না দিয়ে বিএনপি নেতা সাবুবিন ইসলামকেই পুনরায় নৌকা প্রতীক দিয়েছে। এবার উজানগ্রাম ইউপিবাসী তাকে আর ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান না বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। ভোট জরিপ বিষয়টি নিয়ে উজানগ্রাম ইউনিয়নের উজানগ্রাম, গজনবীপুর, সোনাইডাঙ্গা, বিত্তিপাড়া, রঞ্জিতপুর, মাধপুর, বরইটুপি, মৃত্তিকাপাড়া, শ্যামপুর, দুর্বাচারা, মহিষাডাংগা, করিমপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা প্রতিবেদককে বলেন, যে ব্যাক্তি দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর ধরে উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে থেকে এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন তাকে এবার নৌকা প্রতীক না দিয়ে বিএনপি’র নেতাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে। এবার আমরা তাকে আর ইউনিয়ন পরিষদে দেখতে চাই না। দীর্ঘ এক মাস ধরে ছানোয়ার মোল্লা ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে ছুটে বেড়াচ্ছেন। সেই সাথে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের পাড়া-মহল্লায় পথসভা করে বেড়াচ্ছেন। লক্ষ্য করা গেছে উক্ত পথসভাগুলি পরিণত হয়েছে জনসভায়। উক্ত পথসভায় থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, ছানোয়ার মোল্লার নির্বাচনী পাল্লাটা কতখানি ভারী, তা জনগণই বলে দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানের পথসভায় একজন বক্তা বর্তমান চেয়ারম্যান সাবুবিন ইসলামকে নিয়ে বলেই ফেললেন, এবার আমরা ওই গণেশকে উল্টে দেবো, গণেশ আর চেয়ারে বসতে পারবে না, এবার বসবে ছানোয়ার মোল্লা। উজানগ্রাম ইউনিয়নের জন্য ছানোয়ার মোল্লা একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তিনি দুর্বাচারা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তিনি ইউনিয়নের সমস্ত পাড়া-মহল্লা ছুটে বেড়াচ্ছেন এবং জনগণ ও তার পক্ষে রায় দিবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে ছানোয়ার মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে আমি ৯০% ভোট পাবো বলে আশা করছি। তবে আমার ইউনিয়নে বিশৃংখলার আশঙ্কা লক্ষ্য করছি, প্রতিপক্ষের হুমকি-ধামকিও পাচ্ছি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করে বলেন, আগামী ৫ তারিখের ভোটের দিন উজানগ্রাম ইউনিয়নের প্রতিটা কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি কামনা করছি।