মঙ্গলবার ● ৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » গোলাবাড়ি ইউপির ২নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী সৈয়দ আলী জনপ্রিয়তার শীর্ষে
গোলাবাড়ি ইউপির ২নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী সৈয়দ আলী জনপ্রিয়তার শীর্ষে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: আসন্ন পঞ্চম ধাপে ৫জানুয়ারী’২২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর উপজেলার ৩নং গোলাবাড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন মো. সৈয়দ আলী(বর্তমান মেম্বার)।
সোমবার(০৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে এলাকার ২নং ওয়ার্ড ঘুরে এ চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।
সাধারণ মানুষের কাছে বর্তমান মেম্বার হিসেবে তিনি অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যাক্তি হিসেবে সু-পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। এবারও জনগণ তাঁকে নির্বাচিত করলে তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।বর্তমান মেম্বার হিসেবে সাধ্যানুযায়ী সাহায্য করেছেন সাধারণ মানুষকে। তিনি আজীবন নিজেকে মানব সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান।
স্থানীয়রা বলেন, তিনি সবসময় এলাকার সকল বিপদে আপদে জনসাধারণের পাশে এগিয়ে আসেন। রাত-দিন যখনই চাই আমরা তাকে সকল বিপদ-আপদে পাশে পাই।
আসন্ন ৫জানুয়ারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাহাড়ি-বাঙালী দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের স্বার্থে ২নং ওয়ার্ডে পূণরায় মেম্বার হিসেবে পাহাড়ি-বাঙালী, হিন্দু-মুসলিম তথা আপামর জনসাধারণ সমাজসেবক সৈয়দ আলীকে দেখতে চান।
মো. সৈয়দ আলী(বর্তমান মেম্বার) বলেন, জনগণ আমাকে ইতিপূর্বে ২বার মেম্বার নির্বাচিত করায় একনাগারে ১৪বৎসর জনগনের সেবায় নিয়েজিত থেকে এলাকার উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছি।
২০১৩ইং সালে চেঙ্গি নদী থেকে জিরোমাইল পর্যন্ত ১২ফুট প্রশস্ত রাস্তাসহ এলাকার গঞ্জপাড়া শাহী জামে মসজিদ ও শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা, বলপাইয়া আদাম এলাকা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত চলাচলের রাস্তা নির্মাণ ও ৩টি কালভার্ট নির্মাণ করে দিয়েছি।
করোনাকালীন শতভাগ ভিজিএফ কার্ড প্রদান করা হয়েছে। ২৩মার্চ প্রথম করোনাকালীন কোয়ারান্টাইনে থাকা রোগীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছি। নিজে সকল ঝুঁকি-বিপদ উপেক্ষা করে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজ অর্থায়নে নিজ পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে খাবার ও প্রয়োজনীয় মেডিসিন পৌঁছে দিয়েছি।
এলাকার বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, গর্ভ ভাতা ৯০ভাগ ও বিধবা ভাতা শতকরা ৮০ভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। ৮০ভাগ স্বামী পরিত্যাক্তা পরিবারকে ভিজিডি কার্ড করে দিয়েছি।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের উপহার ঘর সমূহ এলাকার বিধবা, হত-দরীদ্র অসহায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য স্বচ্ছতার সাথে নির্মাণে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছি। প্রাকৃতিক দূর্যোগে সরকারি ত্রাণ বিতরণ শেষ হলেও নিজ অর্থায়নে বিপদ গ্রস্থদের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতেও এলাকার গন্যমান্যদের সাথে নিয়ে এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখবো।
আমি মেম্বার থাকাকালীন এলাকার মাদক তৈরীর কারখানা সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছি।
এবারও জনগণ আমাকে মেম্বার নির্বাচিত করলে
যুবসমাজকে মাদকাসক্ত জীবন থেকে পরিত্রাণ দিতে মাদক ও জুয়ার আড্ডা বন্ধ করতে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে আমার ২নং ওয়ার্ডকে একটি আদর্শ ওয়ার্ডে পরিণত করবো।
বিশেষ করে এলাকায় বাল্য বিবাহ কোন অবস্থাতেই হতে দিবো না। বাল্য বিবাহ বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবো।
বর্তমান মেম্বার হিসেবে পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এলাকার অসম্পূর্ণ কাজ গুলি শতভাগ সম্পন্ন করতঃ বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
এবারও জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে উন্নয়নমূলক কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমার ২নং ওয়ার্ডকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত করবো।
তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন এলাকাবাসীর সেবা করা।এলাকার বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন মূলক জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখে সুখে দুঃখে পাশে থাকতে আবারও এলাকাবাসীর সমর্থন চাই।
এজন্য আপনাদের সকলের দোয়া-আশির্বাদ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমর্থন একান্তভাবে কাম্য।