বুধবার ● ৫ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সিলেট জেলার সকল থানায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ‘সংরক্ষিত চেয়ার’
সিলেট জেলার সকল থানায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ‘সংরক্ষিত চেয়ার’
স্টাফ রিপোর্টার :: জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে সিলেটের পুলিশ প্রশাসন।
জেলার ১১টি থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার আসন’ নামাঙ্কিত সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থা চালু করেছে।
এখন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুলিশের যেকোনো সেবা নিতে থানায় গেলে নির্ধারিত আসনে বসবেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশে সম্প্রতি থেকে সব থানায় একটি করে চেয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা থানায় এসে নির্ধারিত চেয়ারে বসতে পারছেন এখন।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই সংরক্ষিত আসন চালু করতে জেলার ১১ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এরই অংশ হিসেবে বছরের শুরুতে থানায় আগত সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকায় অনেকে পুলিশ সুপারের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জেলার ১১টি থানার পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পুলিশ সুপারের কক্ষেও একটি সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেন।
থানা গুলো হচ্ছে- সিলেটের ওসমানীনগর, বিশ্বনাথ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের এমন বীরত্বপূর্ণ অবদানের কারণে আজকের এই বাংলাদেশ।
তাই আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্মান জানানোর জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ও মিডিয়া অফিসার মো. লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মহান বিজয় দিবসে সিলেট জেলা পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রত্যেক থানায় সংরক্ষিত আসন রাখার ঘোষণা দেন। এখন থেকে সিলেট জেলার সব থানায় মুক্তিযোদ্ধারা এই সুবিধা পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে ‘শেখ নেছার আহমেদ যুব ও ক্রীড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র যাত্রা শুরু
বিশ্বনাথ :: ‘লেখাপড়া, খেলাধুলা, শৃংঙ্খলা- এই তিনে জীবন গড়া’ স্লোগানকে সামনে রেখে নানান অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথে ‘শেখ নেছার আহমেদ যুব ও ক্রীড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র যাত্রা শুরু হয়েছে।
বুধবার ( ৫ ডিসেম্বর) সকালে পৌর শহরের শাহজিরগাঁও গ্রামস্থ সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন করা হয়। যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠানমালায় ছিল- সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ের উদ্বোধন, কার্যালয়ের দেয়ালে ‘মানবতার দেয়াল’ স্থাপন, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ব্যাগ বিতরণ ও সংস্থার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান শেখ মামুন উল্লাহ ক্রিকেট একাডেমি’র জার্সি উন্মোচন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব। উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুল আলম, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক।
সংস্থার সভাপতি রফিক আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম তুহেমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ প্রচার সম্পাদক এম. এ রুকন, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, ক্রীড়ানুরাগী প্রবাসী নূরুল হাসান, শাহজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তান্নি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সংস্থার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নূর উদ্দিন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শেখ মামুন উল্লাহ ক্রিকেট একাডেমির কোচ আবিদ হাসান রাজু, এলাকার মুরব্বী ময়না মিয়া, আব্দুল হাসিম, কদ্দুছ আলী, মিছবাহ উদ্দিন, ফয়জুল ইসলাম, পৌর শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, সংগঠক দয়াল উদ্দিন, ইমরান আহমদ সুমন, যুবলীগ নেতা আসাদ আহমদ, শামীম আহমদ, সংস্থার সহ সভাপতি আব্দুল মালিক লিলু, কয়েছ আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন, আব্দুস সামাদ রনি, অর্থ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন-২, দপ্তর সম্পাদক মোহন আহমদ, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, সুমন আহমদ-১, আল আমিন, ক্রীড়া সম্পাদক তামিম আহমদ, সহ ক্রীড়া সম্পাদক সুমন আহমদ-২, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক বাদল আহমদ, প্রচার সম্পাদক সাব্বির আহমদ, সহ প্রচার সম্পাদক নাঈম আহমদ, যুব উন্নয়ন সম্পাদক আলা উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজন আহমদ, দূর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক রাহিম আহমদ, সদস্য শাহীন আহমদ, আশিক আলী, বেলাল উদ্দিন বকুল, দিলোয়ার আলী, কয়েছ আহমদ, সামাদ উদ্দিন, সালা উদ্দিন, রাব্বী আহমদ, রাহাত আহমদ প্রমুখ।
বিশ্বনাথে অর্থের কাছে পরাজিত তৃণমূলের মতামত
বিশ্বনাথ :: তৃণমূলের ভোটাভোটিতে (২১ ডিসেম্বর) ২০টি ভোটের মধ্যে ১০টি ভোট পেয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী হয়েও কেন্দ্রের চু‚ড়ান্ত সিদ্ধান্তে (১ জানুয়ারী) নৌকার টিকেট পাননি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিগত নির্বাচনে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতাকারী শংকর চন্দ্র ধর।
অথচ প্রাথমিকভাবে ৭টি ভোট পেয়ে প্রাথমিকভাবে ২য় হয়েও কেন্দ্রের চু‚ড়ান্ত সিদ্ধান্তে নৌকার টিকেট পেয়েছেন বিএনপি-হেফাজত পরিবারের সদস্য সৌদি আরব প্রবাসী আরশ আলী গণি।
আর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুহিবুর রহমান সুইট পান ৩টি ভোট।
তৃণমুলে হেরেও কিভাবে প্রবাসী আরশ আলী গণি নৌকার মনোনয়ন পেলেন এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র উঠেছে আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত প্রবাসীর টাকার কাছে পরাজিত হয়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
তৃণমূলের দাবী, কেন্দ্রের কাছে যদি তাদের (তৃণমূলের) মতামতের কোর গূরুত্ব নাই থাকে তবে কেন ওই ভোটাভোটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী আরশ আলী গণি বৃহত্তর সিলেট আওয়ামী পরিবার জেদ্দার সভাপতি। তবে তিনি (আরশ) আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ বা সহযোগী কোন সংগঠনের সাথে জড়িত নন।
এমন কি তার পরিবারের কেউই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত নয়। প্রবাসী আরশ আলী গণিন আপন ছোট ভাই আনছার মাহমুদ ছিলেন খাজাঞ্চী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও আবিদ মাহমুদ গণি খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক এবং আপন চাচাতো ভাই শওকত আলী খাজাঞ্চী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
আর তার বাবা প্রয়াত আব্দুল গণি ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। পারিবারিকভাবে তারা এলাকায় আওয়ামী লীগ এন্ট্রি হিসাবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ দলের সাথে যুক্ত না হয়েও বা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যোগদান না করে কিভাবে নৌকার মনোনয়ন পেলেন সেই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
এ ব্যাপারে তৃণমুলে বিজয়ী প্রার্থী শংকর চন্দ্র ধর বলেন, তৃণমুলে, উপজেলা, জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাব আমার পক্ষে গেলেও কালো টাকার কাছে আমি হেরে গেছি।
ব্যক্তি যেই হোক নৌকার পক্ষে কাজ করতে দলকে সংগঠিত করা হচ্ছে যাতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হয়।
আর আমি কখনও নৌকার বিরুদ্ধে যাব না, আজীবন নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে জীবন দিয়ে হলেও কাজ করে যাব।
অপর প্রার্থী মুহিবুর রহমান সুইট সাংবাদিকদের বলেন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি-হেফাজতের হাত থেকে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা রক্ষা করা যায়নি।
বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় আওয়ামী এন্টি পরিবারের হাতে নৌকাকে বিক্রি করে দেয়া হল।
দূর্দিনের কর্মীদের অবমূল্যায়ন করে অনুপ্রবেশকারীর হাতে নৌকা দিয়ে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকাকে কলংকিত করা হয়েছে।
তবে সবকিছুর পরে নৌকা প্রতীক যেখানে আমি, আমরা সেখানেই থাকবো।
আওয়ামী লীগের কোন শাখার সদস্য তা বলতে না পারলেও নিজেকে আওয়ামী লীগের সদস্য দাবী করে প্রবাসী আরশ আলী গণি সাংবাদিকদের বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত আছি। আমি বৃহত্তর সিলেট আওয়ামী পরিবার জেদ্দার সভাপতি।
আর নিজের পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের নেতা বা সমর্থক আছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বুঝতে পারছি না, এখন ব্যস্ত, পরে কথা বলছি বলে ফোন রেখে দেন প্রবাসী আরশ আলী গণি।
এবিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমদ বলেন, নৌকার মনোনয়ন দিতে তৃণমুলের ভোটের পাশাপাশি স্থানীয় ভোটের মাঠ নিয়ে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট হয়।
তারই প্রেক্ষিতে ভোটের মাঠের অবস্থান অনুযায়ী কেন্দ্র প্রার্থী নির্ধারণ করে। তিনি বলেন, আরশ আলী গনি একজন প্রবাসী, গত ইউনিয়ন নির্বাচনে তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। ইতিমধ্যে এলাকায় তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন।
তাছাড়া উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। প্রার্থী বিবেচনা না করে উন্নয়নের প্রতিক নৌকায় ভোট দিতে তিনি ইউনিয়নবাসীকে আহবান জানান।
বিশ্বনাথে কেক কেটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে কেক কেটে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’র ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পৌর শহরের পুরাণ বাজারস্থ আল-হেরা শপিং সিটির সামনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে ওই কেক কাটা হয়।
কেক কাটা অনুষ্ঠানের পর এম এ মজনু ফোরামের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্থরের জনসাধারণকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইন।
অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবরুল আহমদ বাবুল, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম উদ্দিন রাজন, অলংকারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এ এইচ রুহেল, দশঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহির আহমদ, লামাকাজী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা বিলাল হোসেন, শেখ শাহীন, আনা মিয়া, আহমদ আলী, ফরহাদ আলী, আলী কামরান সুজন, ফয়সল আহমদ, সুমন আহমদ, তানভির আহমদ, জাহির আহমদ, আকলাকুর রহমান তুহিন, কামরান আহমদ, সুহেব আহমদ, সাঈদ আহমদ, আতিকুজ্জামান, আব্দুর রহমান, আলমগীর, জাকির হোসেন, আবু বক্কর, রায়হান মিয়া, মিজান মিয়া, রাসেল আহমদ প্রমুখ।