শনিবার ● ১৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » পাহাড়ী এলাকায় বারি ভুট্টা উত্পাদন শীর্ষক মাঠ দিবস
পাহাড়ী এলাকায় বারি ভুট্টা উত্পাদন শীর্ষক মাঠ দিবস
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: (১৯ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৩০মিঃ) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর কারিগরী সহায়তায় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে উল্লেখ করে,নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রায় ১০,০০০ কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষমাত্রা নিয়ে প্রকল্পটি ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে কাজ করছে ৷ এই পর্যন্ত প্রায় ৫০০০ কৃষক সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে উল্লেখ করে,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি তথা আম, লিচু, কলা, মাল্টা, পেঁপে, তুলা প্রভৃতি উত্পাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ও বসত বাড়িতে বছরব্যাপী সবজি চাষে প্রকল্পটি সফলতার মুখ দেখেছে ৷ তিনি আরও বলেন প্রকল্পটি কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পাহাড়ী অঞ্চলের দরিদ্র কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে এবং বারি উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তি অত্র অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে ৷ এই সফলতা আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে যার ফলশ্রুতিতে চাষীরা লাভকবান হচ্ছে এবং হবে ৷ এই প্রকল্পের আওতায় বারি উদ্ভাবিত আম, লিচু, কলা, মাল্টা, ভুট্টাসহ নানান প্রকারের সবজি যে সমস্ত চাষীরা বড় আকারে চাষাবাদ করছেন মূল্য সংযোজন এর মাধ্যমে তারা যথার্থ বাজার মূল্য পাচ্ছে এবং পাবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন ৷ তিনি ১৭ মার্চ খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা পথাছড়া পাহাড়ী এলাকায়,’বারি উদ্ভাবিত ভুট্টা ও লাউ চাষ’ শীর্ষক মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ৷ এসময় আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আমীন সভাপতিত্বে উক্ত মাঠ দিবসে অনুষ্ঠানে শতাধিক কৃষক, বিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷ পাহাড় বেষ্টিত এলাকায় ইতোমধ্যে বারি হাইব্রিড ভুট্টা-৯ ও বারি লাউ-৪ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ৷ বারি হাইব্রিড ভুট্টা-৯ স্বাদে মিষ্টি বিধায় পাহাড়ী এলাকার জনগন ভাতের বিকল্প হিসাবে সিদ্ধ করে এটি খেয়ে থাকেন ৷ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সিদ্ধ করে সাইজ অনুযায়ী ৫-১০ টাকা হারে প্রতিটি কব বিক্রি হচ্ছে৷ বারি লাউ-৪ গ্রীষ্ম কালে হয় বিধায় গ্রীষ্মকালীন সময়ে সবজির অপ্রতুলতার কারনে বারি লাউ-৪ কৃষকের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে ৷ বারি লাউ-৪ প্রতিটি ৩০-৫০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে ৷ এর আওতায় ৩ পার্বত্য জেলায় ৫০ জন চাষী এবং ৪০ জন চাষীর মাঠে যথাক্রমে লাউ ও ভুট্ট করা হয়েছে ৷ উক্ত মাঠ দিবসে উপস্থিত সবাই বারি লাউ-৪ ও বারি হাইব্রিড ভুট্টা-৯ এর উত্পাদন দেখে নিজেরা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ৷