বৃহস্পতিবার ● ২০ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কুষ্টিয়ায় অবৈধ ভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালু
কুষ্টিয়ায় অবৈধ ভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালু
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ১০ টির অধিক অবৈধ ড্রাম চিমনি ইট ভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কাঠ পুড়িয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গত একমাস পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ৬ টি ইট ভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবার এক সপ্তাহের মধ্যে পূণরায় সেই সমস্ত ভাটা মালিক প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে হাইব্রিট হফম্যান, জিগজ্যাগ, ভার্টিক্যাল শ্যাফট কিলন অথবা পরীক্ষিত পরিবেশবান্ধব ইটভাটা করার কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকলেও এসব নীতিমালা কোনোভাবেই মানছেন না ওই ড্রাম চিমনি ইটভাটার মালিকরা। এমনই অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটা যদুবয়রা ইউনিয়নের আরিফুল ইসলামের মেসার্স এসআরবি ব্রিকস, ফারুখ হোসেনের মেসার্স টিজেবি ব্রিকস, আমিরুল ইসলামের মেসার্স একেবি ব্রিকস, মো. করিম শেখের সৈনিক ব্রিকস ও সামছুলের মেসার্স নিয়াত ব্রিকস, পিপিজে ব্রিকস এ গত মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও কাঁচা ইট সহ ভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি ভাটা সংস্কার করে বীরদর্পে কাঠ পুড়িয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। অন্যদিকে শিলাইদহ ইউনিয়নে মেসার্স বিবিবি ভাটার স্বত্বাধিকারী মিরাজ হোসেন, সবুর ও নাসির তাদের ড্রাম চিমনির অবৈধ ইট ভাটায় টন টন কাঠের স্তুপ জমিয়ে কাঠ পুড়িয়ে ইটভাটার কার্যক্রম চালাচ্ছ। এসময় ভাটার স্বত্বাধিকারী সবুর জানান, প্রতিবছর পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের ইটভাটা ভেঙে দেয়। কিন্তু পূণরায় ভাটা চালু করা ছাড়া তাদের উপায় নেই কারণ প্রচুর টাকা লোকসান হয়েছে ইতিমধ্যে। তিনি জানান, এপর্যন্ত তিনবার তাদের ভাটা ভেঙে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আতাউর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, যে সমস্ত ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিডি মহোদয়ের সাথে তার কথা হয়েছে। যে সমস্ত ইটভাটা পরিবেশের ছাড়পত্র বিহীন ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং দ্রুতই সমস্ত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
হাড় কাঁপানো শীতে উষ্ণতা দিচ্ছেন কুষ্টিয়া নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান খোকন
কুষ্টিয়া :: উত্তরের শীত মানেই কুয়াশার চাদরে ঘিরে রাখা প্রকৃতি। সবকিছুকে কোলে টেনে নেওয়া কুয়াশার মাঝে হাড় কাঁপানো শীত। আর এমন প্রকৃতিতে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলা নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগরের বাসিন্দা বিশিষ্ট শিল্পপতি হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ এর ভাতিজা নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের অসহায়, দিনমজুর ও গরিব-দুঃখীদের মাঝে মাসব্যাপী কম্বল বিতরণ করে যাচ্ছেন। গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত একটানা কয়েকদিন ধরে চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন তার ভাই সাইফুল ইসলাম তপন, ভাতিজা সেলিম সহ গ্রামের অনেককেই সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নের খালপাড়া, বোর্ড অফিস, নন্দলালপুর, সোন্দাহ, বাঁশআড়া, কাশিমপুর, দাসপাড়া, হাবাসপুর, চড়াইকোল রেলগেট পাড়া, বরুরিয়া, এলঙ্গী সহ আরো কয়েকটি গ্রামে কম্বল বিতরণ করেছেন। এ বিষয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, এই কনকনে শীতে আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অসহায়, গরিব দুঃখী মানুষের জন্য রইল ‘শীতার্তের জন্য ভালোবাসা’। এভাবে আমি আগামী দিনগুলো গরিব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করে যেতে পারি। তিনি আরো বলেন আমার কোন চাওয়া পাওয়া নাই। আমার পিতৃতুল্য চাচা আলাউদ্দিন আহমেদ এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আজ আমি ইউনিয়ন বাসীর পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি ইউনিয়ন বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, তার জন্য ও আপনাদের ভোটে আজ আমি আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন যেন আপনাদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যেতে পারি, আপনারা আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।