শনিবার ● ২২ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » রাউজানে উৎপাদিত রাবার দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে
রাউজানে উৎপাদিত রাবার দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ বনলিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন এর অধিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বেশকয়েকটি রাবার বাগান রয়েছে। তার মধ্যে নতুন করে রাবার বাগান গড়ে তুলা হয়েছে পাহাড়াতলী, কদলপুর এলাকার পাহাড়ী জমিতে। এছাড়ও উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের হিংগলা, সুড়ঙ্গা, মেলুয়া, নন্দগাও, উত্তর আইলী খীল, রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আইলী খীল, ওয়াহেদের খীল, এলাকায় ২ হাজার ৪’শত ১৬ একর পাহাড়ী জমিতে ডাবুয়া রাবার বাগান রয়েছে। উপজেলার এসব রাবার বাগান গুলোতে কস আহরণের পর রাবার প্রক্রিয়াজাত করতে শুকানো হচ্ছে। উপজেলার রাবার বাগান গুলোতে এখন চলছে ভরা মৌসুম। জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৪ মাস রাবার উৎপাদনের ভরা মৌসুম তাকে। তবে শীতের সময়ে আহরন বেশি পরিমানে উৎপাদন হয়। বর্ষার সময়ে রাবার উৎপাদন অনেকটাই কমে আসে। প্রায় এসব রাবার বাগানে উৎপাদিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাবার। বর্তমানে এখানে উৎপাদিত হওয়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে, রপ্তানি করা হচ্ছে ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশে। তবে বিশাল বিশাল এসব রাবার বাগানে রয়েছে শ্রমিক সংকট। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছেনা। বাগানে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, যেহেতু এবার দক্ষিণ রাউজানে নতুন করে রাবার বাগান করা হয়েছে, সেই অনুপাতে আমাদের আরও শ্রমিক প্রয়োজন রয়েছে। শ্রমিক বাড়ানো গেলে রাবার উৎপাদ আরো বাড়ানো যাবে। রাউজান থেকে উৎপাদিত এসব রাবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে, জুতা, গাড়ির টায়ার, পানির ট্যাষ্ক, পাইপসহ ইত্যাদি। এছাড়াও রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রাবার বাগানটি চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কপথে হওয়াতে সড়কের দুই পাশে দৃষ্টিনন্দন দেখাছে। এসব বৃক্ষ গুলো রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে পর্যটকদের মনোমুগ্ধকর করছে। রাঙামাটি বা খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে অনেক পর্যটকরা রাউজানের রাবার বাগানে গাড়ি থামিয়ে প্রাকৃকিত সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। সরেজমিনে রাবার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ডাবুয়া রাবার বাগান বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করেও তারা রাবার উৎপাদন করে আসছে । ডাবুয়া রাবার বাগানের মধ্যে ২লাখ রাবার গাছ রয়েছে বলে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়নের সূত্রে জানা যায়। তারমধ্যে ২লাখ রাবার গাছে হতে ১লাখ ১ হাজার রাবার গাছ থেকে প্রতিদিন ৪হাজার ৫’শত কেজি রাবার উৎপাদন হয় । উৎপাদিত ৪হাজার ৫’শত কেজি রাবারের কস থেকে প্রক্রিয়াজাত করে প্রতিদিন ১’হাজার ১’শত ২৫ কেজি শুকনা রাবার উৎপাদন করা হচ্ছে । প্রতি কেজি ৩’শত ৫০ টাকা করে ১’হাজার ১’শত ২৫ কেজি থেকে প্রতিদিন ৩লাখ ৯৩ হাজার ৭শত ৫০ টাকা আয় করছে উপজেলার ডাবুয়া রাবার বাগান । ডাবুয়া রাবার বাগানের ২লাখ রাবার গাছের মধ্যে জীবন চক্র হারানো রাবার গাছ রয়েছে ৩২ হাজার ৯৪৬টি । বাকি ১লাখ ৬৭ হজার ৫৪টি রাবার গাছের মধ্যে ১লাখ ১ হাজার রাবার গাছ থেকে প্রতিদিন রাবার উৎপাদন হচ্ছে। অবশিষ্ট ৩৩ হাজার রাবার গাছ নতুন করে সৃজন করা হয়েছে। ডাবুয়া রাবার বাগানের ম্যানেজার শোভন কান্তি শাহা বলেন, ডাবুয়া রাবাবার বাগোনের রাবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২’শত ৯৫ মেট্রিক টন । কিন্তু এবার লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছি। তিনি জানান রাবার বাগানে কর্মকর্তা কর্মচারী সংকট রয়েছে । ২জন কর্মকর্তা ৭০ জন শ্রমিক দৈনিক ভিত্তিত্বে ১’শত ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে বিশাল আয়তনের রাবার বাগান থেকে প্রতিদিন রাবার উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদন বাড়লেও নেই পর্যাপ্ত শ্রমিক। যদি জনবল সংকট নিরসন করা যাই তবে ডাবুয়া রাবার বাগানের রাবার উৎপাদন আরো দ্বিগুন বৃদ্বি করা যাবে। তিনি আরোও জানান, বিশ্বের রাবার উৎপাদশীল দেশের মতো যদি আধুনিক মেশিন ধারা রাবার প্রক্রিয়াজাত করা যায়। তাহলে কমে আসবে খরচ। তখন কম দামে দেশে ও বিদেশে বিক্রি করা যাবে আমাদের দেশের উৎপাদিত রাবার গুলো। আগে বিভিন্ন সময়ে রাউজানের রাবার বাগানে বেশির ভাগই লোকসান গুনতে হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে লোকসান কাটিয়ে আশার আলো দেখছেন রাউজানের রাবার শিল্প। এদিকে উপজেলার পাহাড়তলী ও কদলপুর ইউনিয়নে লাগানো রাবার গাছ গুলো হতে আগামী কয়েক বছের মধ্যে নতুন করে শুরু হবে রাবার উৎপাদন। এতে প্রতি মৌসুমে বাড়বে রাবার উৎপাদন মাত্র।
আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারি ওরশ উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা
রাউজান :: গাউসুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারী (ক:) এর পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাউজানে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়েছে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষকে। ২১ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল থেকে মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তর পাড়া শাখার উদ্যোগে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিনামূল্যে এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এ সময় মুসলিম-হিন্দু ধর্মে নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে সকাল থেকে ভিড় করেন। রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা সেবা প্রদানে সহযোগিতা করেন রাউজান ব্লাড ব্যাংকের মো. নরুল ইসলাম নাহিদ, সুব্রত দত্ত, মো. নাঈম উদ্দিন, উত্তম রায়, শহিদ উদ্দিন, রিমন, বিজয় মাহজন, শাহীন আকতার, অপির্তা দাশ। গাউসিয়া হক কমিটি ঊনসত্তর পাড়া ৩৪নং শাখার সদস্য হেলাল উদ্দিন, আবু তাহেরসহ প্রমূখ।
পরে ঊনসত্তর পাড়া হাই স্কুল মাঠে সন্ধ্যা থেকে সামাজিক সচেতনামূলক তথ্যচিত্র ভিডিও প্রদর্শনী দেখানো হয়।