মঙ্গলবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » দৌলতপুর স্কুল শিক্ষকের সন্তানের বিরুদ্ধে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ
দৌলতপুর স্কুল শিক্ষকের সন্তানের বিরুদ্ধে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের স্কুল শিক্ষকের সন্তানের বিরুদ্ধে কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সুমি (ছদ্দনাম) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে শান্ত। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার পর থেকে হাসিবুল নানান তালবাহানা করে সম্পর্ক বাদ দিতে চাই। ছাত্রীর অভিযোগ, ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়া লেখার সুবাদে দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর গ্রামের (লালনগর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক) শফিউল আজম এর ছেলে মো হাসিবুল ইসলাম শান্ত (২৩) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এক পর্যায়ে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে ধীরে ধীরে সেটাকে শারীরিক সম্পর্কে নিয়ে যায়। যখনই বিয়ে করার কথা বলা হয়েছে তখন হাসিবুল ইসলাম শান্ত তাল বাহানা করছে। এক বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক যখন তার মা ও বাবাকে জানায় এ বিষয়ে হাসিবুল ইসলাম শান্ত অস্বীকার করে। উল্টো আমার নামে মিথ্যা কথা ছড়ায়। আমি বিয়ের কথা বললে তাঁর পরিবার আমাকে গালমন্দ করে, পলিটিক্যাল চাপ এবং প্রশাসনের হুমকিও দেয়। আমাকে ভুলে যেতে বলে। বিয়ের দাবীতে আমাকে বদনাম ও এমনকি আমাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। উল্টা পাল্টা কথা এবং তার কাছে থাকা আমার সাথে ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের যে ছবি আছে, সেই ছবিগুলো ভাইরাল করে দিবে বলে তার মা আমাকে হুমকি দেয়। তার পরিবার আমার পরিবারকে অশান্তিতে রেখেছে, আমি শংকায় ভুগছি বলে জানান বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রী। এ বিষয়ে হাসিবুল ইসলাম শান্ত’র বাবা লালনগর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউল আজম প্রতিবেদককে জানান, বিয়ের দাবিতে কোন মেয়ে আমার বাড়িতে আসেনিএবং আমার ছেলের সাথে কোন মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই।
ভেড়ামারায় ১৭টি ইটভাটায় অভিযান, ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা
কুষ্টিয়া :: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ১৭টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এরমধ্যে একটি ইটভাটার চুলার (কিলন) কিছু অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে। ২৩ তারিখ রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া অফিসের কর্মকর্তা, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা অংশ নেন। অভিযানে এমএইচটি ইটভাটাকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আরএমবিকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার, এম আর আই ইটভাটাকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার, মানিক ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা, এমএইচ ব্রিকসকে এক লক্ষ টাকা, মা ব্রিকসকে ১ লাখ, এএমবি ব্রিকসকে ৪ লক্ষ টাকা, বিবিএফ ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা, এমবিএফ ব্রিকসকে ৪ লক্ষ টাকা, বিবিএফ ব্রিকসকে ৪ লক্ষ টাকা এবং ফোর স্টারকে দেড় লাখ টাকা, এএমবি ব্রিকসকে ২ লাখ, কে অ্যান্ড বিকে ৩ লাখ, এমআরএম ব্রিকসকে ৩ লাখ, এমএসএস ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, এসআরবিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও একতারা ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় বিবিএফ নামের ইটভাটার কিলন এ আংশিক ভাংচুর করা হয়। অভিযান চলাকালে দেখা যায়, অধিকাংশ ভাটা মালিকই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। কিছু কিছু ইটভাটায় জ্বালানি কাঠের স্তুপ একদিন আগে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। অনেক ভাটায় অভিযান পরিচালনাকারীদের জন্য বসার চেয়ার এনে পরিষ্কার করে রাখা হয়। আর অধিকাংশ জরিমানার টাকা প্রস্তুত ছিল, কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা বের করে দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ আইন অনুযায়ী এসব ভাটাকে জরিমানা করা হয়। সরেজমিন এসে ভাটাগুলো অবৈধ জায়গায় স্থাপিত এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি বলেন এভাবে অভিযান চালাতে চালাতে একসময় ভাটা গুলোকে আমরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আনতে পারব বলে আশা করি। আর জরিমানার পরিমাণ কম হয়েছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি। বলেন অধিকাংশ ভাটা মালিকেরই উচ্চ আদালতে রিট করা আছে। সে কারণে আদালতের নির্দেশনার বাইরে আমরা যেতে পারছি না। কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান জানান, কুষ্টিয়া জেলায় মোট ১৬১ টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ১৮ টি ইটভাটার পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে। কিন্তু এসব ইটভাটা মালিক দীর্ঘদিন ধরে আইন লংঘন করে দিনের পর দিন ভাটা পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে অনেকে আবার হাইকোর্টে রিট করে স্থগিতাদেশ এনে ইটভাটা পরিচালনা করছেন। অবৈধ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, একটি অভিযান পরিচালনা করতে গেলে প্রশাসনের অনেকগুলো উইং কে সংযুক্ত করতে হয়। সে কারণে যে কোন জায়গা থেকে ভাটা মালিকদের কাছে আগেভাগে তথ্য ফাঁস হয়ে থাকতে পারে। তবে ভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।