রবিবার ● ২০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে হামলায় নারীসহ আহত ২
বিশ্বনাথে হামলায় নারীসহ আহত ২
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মহিলাসহ ২ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ উপজেলার সদলপুর গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে৷ গুরুতর আহত অবস্থায় জগন্নাথপুর উপজেলা জিগলী গ্রামের মৃত রমজান আলী ওরফে কোটিপতি’র স্ত্রী রাহিমা বেগম (৩৮) ও রিকশা চালক আবুল কালাম খান (৩৭)’কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এঘটনাকে কেন্দ্র করে আলাপুর গ্রামের দবিরুল ইসলাম ও সদলপুর গ্রামের সিতাব আলী গং একে অপরকে দায়ী করছেন৷
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজের বসতবাড়ী বিক্রি করে বিশ্বনাথ উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারস্থ দবিরুল ইসলাম’র বাসা ভাড়া নিয়ে প্রায় ৫ বছর পূর্বে স্ব-পরিবারে বসবাস শুরু করেন রমজান আলী ওরফে কোটিপতি৷ এর কিছু দিন পর রমজান আলী মৃত্যুবরণ করেন৷ বিধবা রাহিমা বেগম ৩ সন্তান নিয়ে ওই বাসাই বসবাস করে আসছেন৷ স্বামীর বসত বাড়ি বিক্রি থেকে প্রাপ্ত টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা স্বামীর মুত্যুর প্রায় ২ বছর বিশ্বনাথ উপজেলার সদলপুর গ্রামের সিতাব আলীকে ধার (খরজ) হিসেবে দেন রাহিমা বেগম৷ কিন্তু একাধিক বার সিতাব আলী তারিখ করেও রাহিমা বেগমের টাকা পরিশোধ করছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ এবিষয়টি রাহিমা বেগম এলাকার মুরব্বীদেরকেও অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে৷
এদিকে জানা গেছে, দাদনের (সুদ) টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন দবিরুল ইসলাম ও সিতাব আলী গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে৷ এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে৷ এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলাও চলছে৷
এব্যাপারে দবিরুল ইসলাম বলেন, রাহিমা বেগম সিতাব আলী-আফরোজ আলী গং লোকজনের কাছে ৩ লাখ টাকা পান৷ টাকা পাওয়ার বিষয়টি রাহিমা বেগম এলাকার অনেককেই অবহিত করেন৷ শনিবার তিনি (রাহিমা) নিজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা (সিতাব-আফরোজ) তাকে মারধর করে৷ পরে আমরা খবর পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করি৷ পুলিশ এসে আফরোজ আলীর বসত ঘরের বারান্দা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাহিমা বেগমকে উদ্ধার করে৷ তাদের বিরুদ্ধে সিতাব আলী গংদের আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন৷
রাহিমা বেগমের টাকা পাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা ও রাহিমাকে অপরিচিত দাবি করে সিতাব আলী বলেন, দবিরুল, ছৈফুল ও কবিরের কাছ থেকে সুদে (দাদন ব্যবসা) মাসে ২০ হাজার টাকা প্রদানের বিনিময়ে ১০লক্ষ টাকা আনি৷ সেই ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে আমি (সিতাব) কালীগঞ্জ বাজারস্থ মার্কেটে দুটি দোকান কোঠা দেই, ১৮শতক ভূমি, হাওরে এক কিয়ার ভূমি ও নগদ ২৭ লাখ টাকা প্রদান করেছি তবুও তাঁর ১০ লাখ টাকা পরিশোধ হয়নি৷ আদালতে মামলা দায়ের করেছে আমার উপর৷ এখন দবির আমার কাছে আরোও ২০ লাখ টাকা দাবি করেছে৷ কোন ভাবে আমাকে (সিতাব) ঘায়েল করতে না পেরে তারা (দবিরম্নল, ছৈফুল, কবির) ওই মহিলাকে (রাহিমা) মারধর করে আমার ঘরের বারান্দায় ফেলে গেছে আমাকে (সিতাব) ফাঁসানোর জন্য৷