বৃহস্পতিবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আলীকদমে অবৈধ ইট ভাটায় অভিযানে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা
আলীকদমে অবৈধ ইট ভাটায় অভিযানে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা
হাসান মাহমুদ, আলীকদম প্রতিনিধি :: বান্দরবানের আলীকদমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ইউনিক ব্রীক ম্যানুফেক্সার (ইউবিএম) নামে এক ব্রীফ ফিল্ড বন্ধের নোটিশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যেট মোঃ মামুনুর রশীদ। হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ১২০৪/২০২২ এর গত ২৫/০১/২০২২ খ্রি: তারিখের আদেশমূলে এই ব্রিকফিল্ডেকে বন্ধ ঘোষনা করা হয়। একই সাথে ব্রীকফেল্ডের ড্রামচিমনি ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং নগদ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়। এসময় সাথে ছিলেন আরেক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যেট প্রবীর বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার বেলা বারটায় আলীকদম উপজেলার আমতলী ইউবিএম ব্রীকফিল্ডে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। একই দিনে উপজেলা ফাতেমা ব্রীক ফিল্ড (এফবিএম) এ আদালত পরিচালনা করার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে অভিযান পরিচালনা না করেই ফিরে আসে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
উল্লেখ্য যে, বিগত কয়েক বছর যাবত আলীকদম থানচি সড়কের বিভন্ন পয়েন্টে থেকে লক্ষ লক্ষ টন কাঠ কেটে এসব ব্রীকফিল্পে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ২০১৪ সালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দেশের সবচেয়ে উচ্চতার সড়ক আলীকদম-থানচি সড়ক। তৎসময়ে এসড়কের দুধারে নানা গাছপালায় প্রকৃতি ছিল সুসজ্জিত থাকলেও এখন আর তা নেই। আলীকদম থেকে থানচি পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার সড়ক অতিবাহিত করতে রাস্তার দুপাশে চোখে পড়ে শুধু ন্যাড়া পাহাড়। সেসময় থেকে শুরু করে এসব পাহাড় থেকে গাছ কেটে পোড়ানো হচ্ছে এসব ইট ভাটায়। অভিযান পরিচালনার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাটা এবং ভাটার আশে পাশের এলাকায় হাজার হাজার মন কাঠ মজুদ করা রয়েছে। এসব ভাটাগুলোর মধ্যে উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নে অবস্থিত দুটি ভাটাই ড্রামশিটের চিমনি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে আশে পাশের এলাকায় বায়ু দুষণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে। এসব ইটভাটায় লাকড়ি পরিবহনের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো সারা বছরই ক্ষতবিক্ষত থাকে। ভারি যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ চরমে ওঠে। রাস্তাঘাট ধুলায় একাকার হয়ে সর্বসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
আলীকদমের বড় বড় পাহাড় গুলো থেকে নির্বিচার গাছ কেটে লক্ষ লক্ষ টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে এসব ইট ভাটায়। যার ফলে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। বৃক্ষশুণ্য হয়ে পড়ছে পাহাড়গুলো। পাহাড়ে বন্য পশু পাখির বালাই নেই বললেই চলে।