রবিবার ● ২০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » সিরাজগঞ্জে ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক
সিরাজগঞ্জে ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: মুহতামিমের কাছে মারপিট ও অসদাচারণের অভিযোগ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জে শাহাদত হোসেন (৯) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছেন দুই শিক্ষক৷
শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে শহরের মালশাপাড়া মহল্লায় ওমর আলী দারুল উলমু ইসলামী কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে৷ আহত শাহাদত বেলকুচি উপজেলার রয়নাপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় মক্তবের ছাত্র৷ তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
শিক্ষকের মারপিটে আহত মাদ্রাসাছাত্র শাহাদত ও তার পরিবারের লোকজন জানান, জহুরুল ইসলাম নামে মাদ্রাসায় নতুন এক শিক্ষক যোগ দিয়েছেন৷ তিনি যোগদানের পর থেকেই ছাত্রদের কারণে অকারণে মারপিট ও খারাপ আচরণ করেন৷ শাহাদত ওই ওই ক্লাসের নেতা হওয়ায় অন্যান্য ছাত্রদের পক্ষ থেকে মুহতামিমের কাছে অভিযোগ দেয়৷ এ কারণে শনিবার রাতে তুচ্ছ কারণ সাজিয়ে শিক্ষক জহুরুল ইসলাম ও রফিবুল ইসলাম শাহাদতকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করে৷ দুই শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শাহাদতের পা, পিঠ ও পশ্চাতদেশ জখম হয়েছে৷
শাহাদত জানায়, হুজুরের দু’পা জড়িয়ে ধরে মাপ চাইলেও ছেড়ে দেয়নি৷ মারপিটের পর তার মাথায় পানি ঢালে ও পরে ওষুধ খাইয়ে দেয়৷
আহত শিশুটির বাবা জহুরুল ইসলাম জানান, ৩/৪ বছর ধরে আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়েছি ৷ কেউ কোন অভিযোগ করেনি৷ নতুন শিক্ষক জহুরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে অন্যান্য ছাত্রদের পাশাপাশি আমার ছেলেকেও মারপিট করে৷ শনিবার রাতে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে আমার ছেলেকে বেদম মরপিট করে৷
২০ মার্চ রোববার দুপুরের দিকে শিশুটির বাবা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন৷ এ ঘটনায় মাদ্রাসার মুহতামিম ওমর ফারুককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত শিক্ষকদের থানায় জমা দেয়ার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ৷
এ বিষয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম ওমর ফারুক বলেন, আমি বগুড়ায় একটি এজতেমায় ছিলাম৷ খবর পেয়ে এজতেমা ছেড়ে চলে আসি৷ মারপিটের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেলে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, দুপুরে ছেলেটির বাবা অভিযোগ দেয়ার পরেই মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে ৷ তদন্ত ও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে৷ এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে৷