সোমবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে জনগণের সীমাহীন হয়রানি
ঝালকাঠিতে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে জনগণের সীমাহীন হয়রানি
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে সাধারণ জনগণের সীমাহীন হয়রানি ও দুর্ভোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিতার নামের স্থানে স্বামীর নাম, স্ত্রী নামের স্থানে মায়ের নাম, পিতার থেকে সন্তানের বেশি বয়স। এছাড়াও জন্মের সন, মাস, এমনকি এক জেলার নামের স্থানে অন্য জেলার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই হচ্ছে জন্ম নিবন্ধনে ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ করার নমুনা। এসব আজব তথ্য সংশোধনে সাধারন মানুষের হয়রানীর শেষ নেই। সেই সাথে আছে আর্থিক ও সময় ক্ষেপনের হয়রানি। একবার পৌরসভায়ও ইউনিয়ন পরিষদে আরেকবার ডিসি অফিসে যেতে হয়। তাই মন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপিতে প্রশ্ন রাখা হয়েছে কার ভুলের মাসুল কে দিচ্ছে।
জন্ম নিবন্ধনে ভুল তথ্য লেখায় তা সংশোধনে মানুষের হয়রানি ও ভোগান্তির শেষ নেই। এই হয়রানির প্রক্রিয়া সহজ ও সংক্ষেপ করতে সোমবার বেলা ১২ টায় স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ নাজমুল আলম। ভুক্তভোগী জনগণের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন নলছিটি উপজেলার তাইফুর রহমান তুর্য এবং এফ.এইচ রিভান ও আনিসুর রহমান। তারা বলেন কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে জন্ম নিবন্ধন সনদে ভুল তথ্য আপলোডের কারণে তা সংশোধন করতে হয়রানি হতে হচ্ছে। নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে ও পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলেও পুনরায় তাদের জন্ম নিবন্ধন করাতে হচ্ছে। যা সময় সাপেক্ষ, হয়রানিমূলক, এবং বিরক্তিকর। এ ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে এবং সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসকদের সুপারিশের প্রদেয় ক্ষমতা উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হস্থান্তর ও অর্থ অপচয় বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখার রেজিষ্ট্রার জেনারেল’র দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। একই সাথে স্থানীয় সরকার এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বরাবর ঝালকাঠী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। যাতে নাগরিকরা জেলা পর্যায়ে না গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আপলোডকৃত ভুল তথ্য সংশোধন করতে পারেন। স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয় জন্ম নিবন্ধনে কোনো না কোনো ভুল তথ্য অনলাইনে আপলোড করা হয়। যা নাগরিকদের কাগজের সাথে কোন মিল নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কারো কারো পিতার নামের স্থানে স্বামীর নাম, স্ত্রী নামের স্থানে মায়ের নাম, পিতার থেকে সন্তানের বেশি বয়স লেখা থাকে। এই ভুল তথ্য সংশোধন করতে যেমনি অর্থের অপচয় হচ্ছে তেমনি ৫/৬ বার সুপারিশ আনতে নাগরিকদের মারাত্মক ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে । বিশেষ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বার বার গিয়েও সমস্যার সমাধান মিলছে না। এই ভুলের দায় নাগরিকদের নয়। কারণ ভুল তথ্য আপলোডের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।
একটি সূত্রে জানায়, অদক্ষ জনবল দ্বারা জন্ম নিবন্ধের কাজ সম্পাদন কনা হয়েছে বিধায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ইহার মাসুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।