সোমবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে শীঘ্রই ইমিগ্রেশন চালু হবে- নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে শীঘ্রই ইমিগ্রেশন চালু হবে- নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু করার ব্যাপারে ২দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানান, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী দুপুরে জেলার রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করা ভূমি, নির্মানাধীন অবকাঠামো ও মৈত্রীসেতু পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শুধু ব্যাবসা বাণিজ্য নয় ভারতের সাথে আমাদের আন্তরিকতার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রকল্প-১ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সরোয়ার আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, রামগড় ৪৩বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ারুল মাজহার, প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সরোয়ার আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. ইখতেয়ার উদ্দীন আরাফাত, রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল, রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন ও রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান প্রমুখ।
রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ব্যবসা-বানিজ্যের উন্নয়নসহ ২দেশের পারস্পরিক বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে। সাংস্কৃতিরও বিকাশ ঘটবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আলমগীর জানান, রামগড় স্থল বন্দরকে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রামের দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। বন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক সংস্কার হতে শুরে করে একাধিক বড় প্রকল্পের সেতু নির্মাণ হচ্ছে। রামগড়ের এ বন্দরে স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় পরিবর্তন হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯মার্চ রামগড়ে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ের মহামনি সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন।ভারতের অর্থায়নে ১১০কোটি টাকা ব্যায়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে এবছরের ১০ই জানুয়ারি ১২৫ কোটি টাকা ব্যায় নির্ধারণ করা হয়। বন্দর এলাকার জন্যে প্রথমে ১০একর পরে আরো ১৬একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়।
অধিগ্রহনকৃত ভূমিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৪সালের মধ্যে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেড কে দায়িত্ব দেয়।